তোমায় পেয়ে জীবনের কালনি স্রোতে
আমি ভাবতেই পারি আছি স্বর্গ সুখে,
কাল্পনিক ভাষাগুলো হাতছানি দিয়ে
ফাগুনের মধু মিশে স্বপ্ন রাঙিয়ে।
দূরে তুমি অতি দূরে নীহারিকা হয়ে
অযাচিত বন্ধনে সদা হৃদয় ছুঁয়ে,
তৃণলতার দেহে গোছা নিষ্পাপ চোখ
অধরে বিকশিত কি যে মমতার মুখ।
মৃদু হাসি ভালবাসি অতিদূর পথ
আকাশের নীলিমায় মেঘেদের শপথ,
তীর ঘেঁষে ভেসে গেছে সরু রুপবিথী
ফলে ফুলে ভরে গেছে যুবতীর বৃতি।
পাল তুলে তরী চলে মাঝী ধরে গান
মুখ ফুটে নাহি বলে শিশিরের শ্মশান ,
ফুল ফুটে মধু জমে মোমাছির তরে
নিঝুম সাগরের পর কাশবনের নীড়ে।
সন্ধ্যার দিগ্বলয়ে ঝিঁঝিঁদের ধ্বনি
কবির চোখেতে দেখ মুছে দাও পানি,
সবুজের সমারোহে রক্তক্ষয়ী লাল
হৃদয়ে তোমায় জপি সকাল বিকাল।
[রাসেল হোসেন, ১২-০২-১৪]