দু’বেলা তোমায় দেখতে দিও
নিঝুম রাতে ঘুমিয়ে গেলে আঁখি ছোব
কেউ যেন না দেখে মুচকি মুচকি হেসে
বলে দিও ভালোবেসে আরও কাছে এসে
আমি ফাঁশতে চাই তোমার প্রেমে
ভাসতে চাই অনুরাগের অনুরণনে
দিন দিন পথ হারিয়ে তোমার পথে
নিজেকে ভুলে, সহসা শীতের রাতে
ওম কুড়াতে দুদন্ড স্বপ্নের মায়াতে
আলিঙ্গনে,পাশাপাশি প্রেম বিনিময়ের
হিসাব নিকাশে সঞ্চিত আবেগে।
দু’বেলা দুটি লাল গোলাপের হলদে ছোপে
অমানিতার পিছু পিছু ছুটেছিলাম পথে পথে
শঙ্কিত মনে বলেছিলে ভুলে যেতে
আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আকাশের গায়ে
চেনা শহরের নির্জন গলিতে তোমার গন্ধে ছিল ছেয়ে
সাদা হলুদে ভরা একাকী ছবিটি কল্পনার চোখে ভেসে
যেটা অন্য কেউ দেখতে গেলে আজ চপেটাঘাত দেই কষে
আমি তার সাধক মাত্র সাধু নাহি পারি হতে
অজস্র বার মরতে পারি তোমার তরে জীবন সপে
দু’বেলা হাতের স্পর্শ দিও
তোমার ছোঁয়ায় তুষ্ট হয়ে
একবার কাছে টেনে অতি মধুর রজনী
হাস্নেহেনার ঘ্রানে যাবে ভরে তোমার ক্রোড়ে
মাথা রাখলে হাত বুলিয়ে বেচে দিও ঘুমের রাজ্যে।
দু’বেলা তুমি অভিমান কর
ছোট খাট বায়না ধর
অপারগতায় রোষ ঝাড়িও
মুখ বাকিয়ে পরমানন্দ দিও।
তুমি কি জান,
যে দেখতে সুন্দর
তার মুখ বাঁকানোটা অতিরিক্ত সুন্দর।
[রাসেল হোসেন, ১৬-০১-১৪]