১
-হ্যালো
-বল
-ঈদতো শেষ।আমার মেরুন রঙের পাঞ্জাবীর কাপড় কই?
-আর বলন আম্মু দেখে ফেলেছে, তাই ওটা এখন কামিজ হয়ে আমায় গায়ে ঝুলছে।
২.
জেনে শুনে যাইনি সে দিন ওখানে
যদি নাই হবে দেখা নাই হবে পাশাপাশি বসা
তবে কেন জরুরী তলব দিলে অযথা ।
৩.
জন্ম শৈশব সব ঠিক যৌবন ভুল
জৈনিকের দেহ ঠিক তবে মন ভুল।
৪.
দূরে আছি ভালো আছি
সুখের একটু কাছাকাছি।
৫.
রাত্রি একটু গভীর হলে চুপিচুপি এসো
তোমায় নিয়ে দীঘির পাড়ে চাঁদ দেখতে যাব।
৬.
কাল শিরোনাম হবে
আমি নীল আর তুমি হলুদ ছোঁবে।
৭.
আর একদিনও এ সোনা আমার হৃদয় জুড়ে
বাকি জীবন কাটিয়ে দিব স্মৃতির পাতা ছিঁড়ে।
৮
আছে প্রশ্ন নেই উত্তর
কোথায় তুমি কতদূর।
।৯.
তুমি হাসলে তরল
আমি হাসলে সরল
আমার অশ্রু নির্মল
তোমার চোখ টলমল ।
১০.
বড় শহরে পুরনো গলিতে আমার ছোট জীবন
নদীর জলে খুঁজে পাবেনা বিগত অশ্রু সজল।
১১.
কেউ শুনেনি তাকে কেউ বোঝেনি তখন
শুধু একটি সাদা বক অতি ক্লান্ত মনে
নীড় খুঁজে পেয়ে হাসি হাসি মুখে জবাব দিল,
চেঁচিয়ে কি হবে দেখ ঐ আকাশের কর্ণ নেই
শুনবেও না,
তার চেয়ে ভালো বিরক্তি নিয়ে একফোঁটা
অশ্রু ছেড়ে পাশের জলাধারে মিশিয়ে দাও
সারাজীবন মনে রাখবে।
১২.
।সমবয়সী যুগলের মাঝে ভালবাসা জন্মে,
তবে কর্তব্য মৃতপ্রায়।
১৩.
দায়িত্ব কর্তব্যগুলো,ভালবসার চেয়ে বিশাল বড়।
১৪.
কর্তব্য হল করুণা
ভালবাসা হল করুণাও কর্তব্য।
১৫.
বহুদিন থেকে মনে সুখ নাই
অজান্তে উড়াতে ছাই
বহমান নদীর তীরে তোমাকে পাশে চাই।
১৬.
যারে যারে উড়ে যারে প্রথম ভালবাসা
ভাঙা ডানায় পূর্ণ হবেনা মনের শত আশা।
১৭.
ক্রন্দন অপেক্ষা মুখের মলিন হাসি
একধাপ এগিয়ে রয়েছে চাপা বেদনার রাশি।
১৮।
ভোর হয়েছে আঁখি মেলো
ডাকছে তোমায় কবি
মুগ্ধ নয়ন দেখছে তোমায়
শিশির কণায় প্রতিচ্ছবি।
১৯.
কুহেলিকা কুহেলিকা
এই যে তোমার যবনিকা
রাজত্ব শেষ সূর্যের প্রবেশ
শীত কেটে উষ্ণ আবেশ।
২০.
মনে না পড়লে আমার
ভুলেই বস তুমি
এপাশে শূন্য হৃদয় তোমার
ও পাশে একলা আমি।
২১.
চাঁদটা ডুবে দীর্ঘশ্বাসে
রবির কিরণ এলে
আকাশে জোছনা বাতাসে সুবাস
হারাবে না কোন কালে।
২২.
সেদিন মেঘ ধরতে গিয়েছি
দ্বের্থহীন কণ্ঠে বলে দিয়েছে
মেঘে মেঘে কেটে যাবে বেলা
অশ্রু হয়ে করবোনা খেলা।
২৩.
তুমি ঘুমলে পুরো শহর ঘুমায়
জোনাকিরা জাগে পাহারায়
আমি ঘুমলে মাসি স্বপ্নে ঘুরায়
হাঁট হাঁট ধমকিয়ে গরু চড়ায়।
২৪.
ছল ছলাইয়া চলে নদী
জোয়ার যদি আসেরে
মনের মানুষ বৈঠা নিছে
নৌকায় আমি একারে।
২৫.
অকুল ধরিয়ায় চাইয়া আমি
দৃষ্টি গেছে মুছেরে
কবে জানি আলো আসবে
তোমার দেখা পাবোরে।
২৬.
কেউ বলে পাগল কেউবা বলে অসুস্থ
দু’চার লাইন লিখি তাই সমাজের দুঃস্থ
কেউ ডাকে গালি দিয়ে কেউবা মারে টিটকারি
বড় হলে অকর্মা আমি দিব কবিতার ফ্যাক্টরি।
২৭.
ঘুম ঘুম চোখে জেগে দেখি
অ্যালার্মের শব্দ হচ্ছে ঘড়িতে
শুনেও না শুনার ভান করে শুয়ে আছি
মন চায়না উষ্ণ বিছানা ছাড়িতে ।
২৮.
অন্ধকার রাত আছে স্নিগ্ধ ভোরের অপেক্ষায়
তুমি আছো ভাঙ্গা স্মৃতির অশ্রু বিন্দুর সুরক্ষায়।
২৯.
আমি পরশু আবার আসব
তোমার ইচ্ছেমত সাজবো
চারদিকে জোনাকি,
আমি ছন্দে ছন্দে বলব
তোমার চুপটি কথা শুনবো
নির্জনে একাকী।
৩০.
পথ যেতে যেতে তুমি এসে
বলেছিলে থেমে যেতে কাল
দূর হতে তাকিয়ে দেখি আমি,
নীল আকাশে মেঘের পাল।
৩১.
গিয়েছিলাম সেদিন তোমায় দেখিতে
মিটি মিটি তারা আর জোনাকির আলোতে।
৩২.
তুমি একা একা কই যাও
আমাকেও সাথে নাও
স্বপনে এখনো রয়েছি পড়ে
তুমি ফোন দিবে বলে
অপেক্ষায় আছি ওগো
টানা তিনদিন ধরে।
[রাসেল হোসেন]