শিশির ভেজা ঘাসে যেমন ভোরের ছবি ভাসে
পদ্ম বোনা পুকুরটাতে জল তরঙ্গ হাসে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ক্ষিপ্র নদীর পলি যেমন খসে
নোনা জলের বাহার দেখি সৈকতের বালু চরে
কুয়াশায় ঢাকা পার্থিব জীবনের সকাল যেমন মিছে
তীর্থে ডাকা কাকের গর্জে ভণ্ড বাবার পিছে
চড়ুই পাখির দুইটি ছানা দশতলার ঐ কোণে
সকাল সকাল নাস্তা করছে বাসি রুটির ঘ্রাণে
শৈবালের নির্ঘুম অশ্রু যেমন দীঘির জলে ঝরে
কুমড়ার ফুলে ভ্রমর পোকা প্রজননের কাজ করে
দমকা হাওয়ায় সঙ্গীর খোঁজে শিমুল তুলা উড়ে
কাচা ভিটে বর্ষ আগমনে কাঁদা মাটি ছুড়ে
নডুলস আর চিকেন এসেছে ফিরনী পায়েস তারিয়ে
খেজুরের রস পাব কোথায় গাছ গেছে সব হারিয়ে
মালসা ভরা আগুন থাকতো উষ্ণ আবেশে জুড়িয়ে
ভাপা পিঠার পুলি পিঠার যুগটা দাওনা ফিরিয়ে
সূর্যি মামার হঠাৎ প্রকাশ দূর হয়েছে শীত
কুয়াশায় হারানো মানুষগুলো পথ পেয়েছে ঠিক
তৈলচিত্রের সূর্যি এঁকেছে রুপাসা নদীর জলে
শীতের সকাল উঁকি দিয়েছে পত্র ঝরা বনে
[রাসেল হোসেন, ৩১-১২-১৩]