অপেক্ষা এবং আক্ষেপ
আজ সেই জনসভা। যার জন্য অধীর আগ্রহে শহরের মানুষ দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছে। ধারনা করা হচ্ছে এই জনসভা শহরের সব শ্রেণীর মানুষকে এক কাতারে নামিয়ে আনবে। কারন এই সভায় মঞ্চে শুধু একজনই থাকবে। বাকিরা সব শ্রোতা। মান্যগণ্য শ্রোতাদের জন্য কোন আলাদা ব্যাবস্থা নেই। প্রথমে মেয়র এই বিধান মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু তার আসলে অন্য কোন উপায় নেই। তাকেও আসতে হবে জনসভায়। শহরের সবচেয়ে ধনী লোকটিকেও আজ হয়তো কোন শ্রমিকের পাশে দাঁড়িয়ে যাদুকরের কথা শুনতে হবে।
শিহরণ এবং নির্লিপ্ততা
তুমি কি আজ বিদ্রোহ করবে? নাকি মাথা পেতে নিবে আরোপিত কোন সত্যের বিধান?
নিহিনকে কেমন যেন খুব অস্থির লাগছে আজ। তার চিরাচরিত নির্লিপ্ত দৃষ্টিভঙ্গিটারই খুব প্রয়োজন এখন। কিন্তু নিহিন কোন সিন্ধান্তেই স্থির হতে পারছেনা। একবার বলছে চল বিদ্রোহ করি। আবার বলছে, আমরাও স্রোতে গা ভাসিয়ে দেব। দেখি সময় আমাদের কোথায় নিয়ে যায়!
জুলি তাকে কি উত্তর দিবে ভেবে পায়না। এমন একটি দিনের মুখোমুখি তাদের হতে হবে, সেটা তারা জানত। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়েই সময়গুলো চলে যাচ্ছিল। দুজন দুজনকে আবিষ্কারের নেশায় বিভোর হয়ে ছিল। নিহিন যেদিন প্রথম জুলিকে স্পর্শ করেছিল সেদিন এ শহরে বাৎসরিক উৎসব চলছিল। এই দিনটিতে কিছু সামাজিক রীতি নীতি ভঙ্গ করলে তাকে অপরাধ হিসাবে দেখা হয়না। জুলি সেদিন প্রথম নিহিনের চোখে কামনা দেখে শিহরিত হয়েছিল। আসলে তার মনে হয় সে নিহিনের চোখে নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছিল। পরে সেদিনের সেই ঘটে যাওয়া কিছু মুহূর্ত নিয়ে নিহিন এবং জুলির মধ্যে অনেক আলোচনা, তর্ক বিতর্ক হয়েছে। নিহিন বলেছে তার নিজের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ছিল। কিন্তু জুলির মনে হয়েছে ঠিক যে মুহূর্তে নিহিন তার ঠোঁটে ঠোঁট রাখে, সেই মুহূর্তটায় সেখানে আসলে নিহিন ছিলনা। অন্য কোন শক্তি নিহিনের উপর ভর করেছিল যার নিয়ন্ত্রন তার নিজের হাতে ছিলনা। কিন্তু জুলি নিহিনকে সেদিন সরিয়ে দেয়নি, দিতে পারেনি। নিহিন যখন তাকে স্পর্শ করে তার মধ্যে এমন এক ঝড়ের খেলা শুরু হয় যা সে আগে কখনোই অনুভব করেনি। তারপর তারা খুব দ্রুতই একে অপরের মাঝে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
আমি বিদ্রোহ করব। যদি তোমার কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়! তোমার প্রতি আমি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করি। তোমার স্পর্শ আমাকে এমন এক শিহরন দেয় যার কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। কিন্তু তাই বলে এমনটাও না যে, শুধু মাত্র সে কারনেই আমি তোমার সাথে থাকতে পছন্দ করি। তোমার সাথে প্রতিদিন শারীরিক ভাবে মিলিত হওয়াটাকে আমি আমাদের সম্পর্কের একটা সেতু হিসাবেই বিবেচনা করি। আমি মনে করি আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেতুটা ভেঙে যাবে। আমি অবদমন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাইনা। তবে এ ব্যাপারে তোমার ভিন্ন কোন চিন্তা ভাবনা থাকলে আমাকে জানাতে পার। জুলি কথাগুলো বলে নিহিনের চোখের দিকে তাকায়।
নিহিনের নির্লিপ্ত ভাবটা আবার ফীরে আসছে।সে খুব দ্রুত চিন্তা করছে। এখন সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ে ফেলতে হবে। যদি তারা বিদ্রোহ করে তবে কি হবে জানা নেই। আগে যারাই বিদ্রোহ করেছে তাদেরকেই বরন করে নিতে হয়েছে মৃত্যু। যদি তারা মরে যায় তবে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। যদি না করে বেঁচে থাকে তাহলেও তারা একসাথে থাকতে পারবেনা। তবে বেঁচে থাকবে। বেঁচে থাকা মানেই জুলিকে কাছে পাওয়ার তীব্র বাসনা! কিন্তু না পাওয়ার যন্ত্রণা। জুলি তার দিকে এখনো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নিহিনের চোখে হঠাৎ করেই একটু আগুন জ্বলে ওঠেই নিভে যেতে দেখে সে। সেখানে এসে ভীড় করতে থাকে কামনার মেঘ। জুলিও তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে।
ক্ষমতা এবং জ্ঞান
ক্ষমতার খেলা খুব মজার খেলা। যে এই খেলা খেলেনি সে কখনো বুঝবেনা। আরিয়ান জানে এই খেলা কিভাবে খেলতে হয়। অনেক খেলায় জিতেই আজ সে এই শহরের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। যদিও সাধারন মানুষ মনে করে মেয়র সবচেয়ে বেশী ক্ষমতাবান। কিন্তু খুব কম মানুষই জানে মেয়র আরিয়ানের হাতের খেলার পুতুল মাত্র। এই মেয়রকে সেই ক্ষমতায় বসিয়েছে। তার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ আরিয়ানের কর্পোরেট সাম্রাজ্যকেই আরো শক্তিশালী করছে। কিন্তু আরিয়ান আজ খুব চিন্তিত। আজ তার নিজেকে ক্ষমতাবান মনে হচ্ছে না। বরং নিজেকেই খেলার পুতুল বলে মনে হচ্ছে। সে কোনভাবেই যাদুকরের আগমন বন্ধ করতে পারেনি। আজই এ শহরে যাদুকরের প্রবেশ ঘটবে। তারপর যা হবে তার জন্য আরিয়ান কোন ভাবেই প্রস্তুত না।
প্রোফেসর, কি অদ্ভুত সময়, তাইনা? আমি আর আপনি একই সমস্যা সমাধানের জন্য মুখোমুখি বসে আলোচনা করছি। অথচ আমার শত্রুদের মধ্যে আপনি হচ্ছেন এক নম্বর। আপনি অনেকবার আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। কারন আপনার একটা অসাধারন ব্রেন আছে যার কদর আমাকে করতেই হয়। বিশেষ করে গতবার যখন এ শহরের মানুষগুলোর অর্থনৈতিক দাসত্ব নিয়ে বই লিখিছিলেন এবং কিছু উঠতি বুদ্ধিজীবী এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল, আমি বুঝেছিলাম একটা বিদ্রোহ আসন্ন। কিন্তু সেটা বন্ধ করতে আমাকে অনেক কিছুই করতে হয়েছিল। কয়েকজনকে কিনে ফেললাম। যারা নিজেদের বেচতে চায়নি তাদের হত্যা করালাম। একবার ভেবেছিলাম আপনাকেও সরিয়ে দেই। কিন্তু ভেবে দেখলাম সেটা ভুল পদক্ষেপ হবে। আপনি এ শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় বুদ্ধিজীবী। আপনাকে হত্যা করলে জনতা ক্ষেপে যেতে পারে। তাছাড়া আপনার লেখা বইগুলো আমার নিজের কাজেও লাগে। কারন আমি মনে করি যারা ক্ষমতার খেলা খেলে, তাদের প্রতিপক্ষ থেকেও শেখা উচিৎ। কিন্তু প্রোফেসর, কিছু সময় পর এসবের আর কোন মূল্য থাকবেনা। আমিও ক্ষমতা হারাব। যে আপনি দাসত্বের বিরুদ্ধে সারা জীবন সংগ্রাম করে এসেছেন, সেই আপনিও কিছুক্ষন পর সেই দাসেই পরিনত হবেন। এমনকি বিদ্রোহ করার ইচ্ছাটুকু পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে কেঁড়ে নেওয়া হবে।
কবিতা পড়েন? প্রোফেসর হাসি মুখে আরিয়ানের কাছে জানতে চাইল। এই মানুষটা কিভাবে হাসিহাসি মুখ করে বসে আছে- আরিয়ান বুঝতে পারছেনা। অতি জ্ঞানী হলে মানুষ আসলেই কিছুটা পাগল হয়ে যায় বলেই আরিয়ানের ধারনা।
না পড়িনি। কবিতা আমার কাছে মূল্যহীন ব্যাপার। অনুভূতির চর্চা করা মানে সময়ের অপচয়। কিন্তু হঠাৎ এ প্রশ্ন করলেন কেন? যাদুকরের সমস্যার সাথে কবিতার কি সম্পর্ক! আরিয়ান কিছুটা বিরক্তি নিয়েই জানতে চাইল।
গভীর সম্পর্ক আছে। তবে তা ব্যাখ্যা করার মত পর্যাপ্ত সময় আমার হাতে নেই। বরং আপনাকে একটা কবিতা শোনাই-
ভগবান, তুমি যুগে যুগে দূত, পাঠায়েছ বারে বারে
দয়াহীন সংসারে,
তারা বলে গেল "ক্ষমা করো সবে', বলে গেল "ভালোবাসো--
অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো'।
বরণীয় তারা, স্মরণীয় তারা, তবুও বাহির-দ্বারে
আজি দুর্দিনে ফিরানু তাদের ব্যর্থ নমস্কারে।
আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে,
আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে
আমি-যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে।
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,
তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে--
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো।
রবিঠাকুর নামে এক বিখ্যাত বাঙ্গালি কবি এই কবিতাটি লিখেছিলেন। আমরা এখন জানি ভগবান মানে পরম সত্ত্বার ধারনা একটা বিমূর্ত ধারনা। তবে সব যুগেই যখন মানুষ কোন না কোন সিস্টেমের জালে ঘুরপাক ক্ষেতে থাকে, তখন অবতার রুপে কেউ একজন আবির্ভূত হয়ে যান। আপনি যদি যাদুকরকে বুঝতে চান তবে আপনাকে এইসব অবতারদের শক্তির উৎস সম্পর্কে জানতে হবে। যুগে যুগে অনেক অবতার এসেছে। মানুষ তাদের গ্রহন করেছে। আবার প্রয়োজন শেষ হলে অগ্রাহ্যও করেছে। কিন্তু তার একটা টাইম সাইকেল সবসময় থাকে। সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে এই টাইম সাইকেলের ব্যাপারটা এখন যাদুকরের পক্ষে আছে। এখন তাকে গ্রহন করার করার সময় চলছে। তবে সময়ের প্রয়োজনে তাকেও একদিন অগ্রাহ্য করা হবে। কিন্তু সেই সময় আসতে এখনো অনেক দেরী! প্রোফেসর এবার কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গীতে সিগারেট ধরালেন। আরিয়ান খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে।
সিগারেটে একটি লম্বা টান দিয়ে প্রোফেসর আবার কথা বলা শুরু করলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই যাদুকরকে কিন্তু আমরাই সৃষ্টি করেছি। তাই এখন চাইলেও আমরা তাকে পরাজিত করতে পারবনা।
আমরা সৃষ্টি করেছি? কিভাবে? আরিয়ান অবাক হয়ে জানতে চায়।
আপনি জানেন সকল ক্রিয়ারই একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এখন ভেবে দেখুন আপনি নিজে কি করেছেন। এই শহরে আপনি ক্ষমতার নামে এক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ফাঁদের জাল বিনির্মাণ করেছেন। মানুষ কিন্তু জানে তারা জালে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার এক তীব্র বাসনা তাদের মধ্যেও আছে। কিন্তু ক্ষমতা নেই। উপায় নেই। কিন্তু তাদের এই সিস্টেম ভেঙে ফেলার আকাঙ্ক্ষা থেকেই যাদুকরের জন্ম। যাদুকরের ক্ষমতার প্রধান উৎস হচ্ছে আপামর জনগনের এই মুক্ত হওয়ার বাসনা।আমিও তাই চেয়েছিলাম। এই পরিবর্তন আনার জন্যই বছরের পর বছর জ্ঞানের চর্চা করেছি। কিন্তু আমি সফল হইনি। তবে যাদুকর হবে। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও সে সফল হবে। কারন আপনি জানেন তার কাছে এমন এক ক্ষমতা আছে যা আমাদের কাছে নেই।
কি সে ক্ষমতা? আরিয়ান জানতে চাইল।
সে সম্মোহিত করতে পারে। তবে শুধু তাদেরই যারা সেটা হতে চায়। এ শহরের অধিকাংশ মানুষ তাদের জীবনকে যন্ত্রণা মনে করছে। তাই তারা যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সম্মোহিত হওয়ার প্রহর গুনছে। তারা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় বিভোর হয়ে আছে।
কিন্তু প্রোফেসর, আমরা কিন্তু সম্মোহিত হতে চাচ্ছি না। কিন্তু সে আমাদেরকেও সম্মোহিত করবে? কিভাবে?
কারন আমরা যদি সম্মোহিত না হই তবে জনতা আমাদের মেরে ফেলবে। তাই এখানে দুটো পথই খোলা আছে। এক হচ্ছে যাদুকরের দ্বারা সম্মোহিত হয়ে দাসত্ব মেনে নেওয়া! অথবা মৃত্যুকে বরন করে নেওয়া! আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আরিয়ান সাহেব। এবার আপনি আপনারটা নিয়ে ফেলুন। আমাদের হাতে খুব বেশী সময় নেই আর! আরিয়ান হতবাক হয়ে প্রোফেসরের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রোফেসরের মুখে এখনো হাসি লেগে আছে।
উৎসব এবং মূর্ছনা
শহরের মানুষের জন্য আজ উৎসবের দিন। অবশেষে যাদুকর আজ তাদের শহরে আসবে। কাল থেকে সব নতুন ভাবে শুরু হবে। সব সমস্যার অবসান হয়ে যাবে! যাদুকর এ শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবেন। ক্ষমতার নামে, অর্থের নামে, জ্ঞানচর্চার নামে, ভালোবাসার নামে কেউ আর যা খুশী তা করতে পারবেনা। যাদুকর আসছে! যাদুকর আসছে!
জনসভা চলছে। শহরের সব মানুষ মন্ত্র মুগ্ধের মত যাদুকরের কথা শুনছে। সম্মোহনের মূর্ছনায় তারা সব ভেসে বেড়াচ্ছে এক অধরা স্বপ্নের জগতে। তবে তাদের কাছে কোন কিছুই আর স্বপ্ন মনে হচ্ছেনা। যা কিছু একদিন অধরা ছিল তাই যেন আজ তাদের কাছে এসে ধরা দিয়েছে। তারা তাদের ভীষণভাবে বেঁচে থাকায় আজ পরিবর্তনের স্বাদে সম্মোহিত!
মুহূর্ত এবং সিদ্ধান্ত
জুলি পরম মমতায় নিহিনকে আঁকড়ে ধরে আছে। তারা ভেবেছিল শেষ সময় পর্যন্ত তারা একে অপরের সাথে মিলিত হতে থাকবে। যেন মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তারা একে অপরকে শিহরিত করতে পারে। কিন্তু জুলির মাথা নিহিনের বুকে নিয়ে নিহিন যেন তাকে সব ভুলিয়ে রাখতে চাচ্ছে। জুলি নিহিনের হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছে। যখন জুলি কেঁপে কেঁপে উঠছে নিহিনের হৃদস্পন্দনও বেড়ে যাচ্ছে!
আরিয়ান কবিতা পড়ছে। সে তার শেষ সময়টা কবিতা পড়ে কাটাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জীবনের শেষটা হোক নতুন কিছু শুরু করে। সে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই আবৃতি করার চেষ্টা করছে,
Therefore trust the physician, and drink his remedy
in silence and tranquillity:
For his hand, though heavy and hard, is guided by
the tender hand of the Unseen,
And the cup he brings, though it burn your lips, has
been fashioned of the clay which the Potter has
moistened with His own sacred tears.
প্রোফেসর জনতার ভীড়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি এমন এক তথ্য জানেন যা এই শহরের কেউ জানেনা। তিনি জানেন, তিনি সম্মোহিত হচ্ছেন না।তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা সে সফল ভাবেই শেষ করতে পেরেছে।
আরম্ভ
আমরা আরেকটি শহরের দখল নিতে পেরেছি। এই মাত্র প্রোফেসর আমাদের খবর পাঠিয়েছে যে, যাদুকর সফল ভাবেই সে শহরের নাগরিকদের সম্মোহিত করতে পেরেছে। খবরটি শুনে কয়েকজন বৃদ্ধ লোক পরস্পর পরস্পরের সাথে বিজয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭