নেশা
আজিজ মিয়ার মন খুব খারাপ। কিছুদিন থেকেই নতুন কোন লাশ আসছে না। নতুন কোন গল্প শোনা হচ্ছে না। এক একটি নতুন লাশ মানে এক একটি নতুন গল্প। প্রায় সব গল্পেই একটা ব্যাপার কমন থাকে। সব মানুষের গল্পই আসলে না পাওয়ার গল্প। এই না পাওয়ার গল্পে আজিজ মিয়ার নেশা হয়। সে নেশায় সে বুঁদ হয়ে বসে থাকে। সবাই তাকে পাগল ভাবে। অনেকে ভয়ে কাছেও আসেনা। জীবন্ত মানুষ নিয়ে অবশ্য আজিজ মিয়ার কোন ভাবনা নাই। জীবিত মানুষ মিথ্যা কথা বলে। মিথ্যা গল্পে আজিজ মিয়ার নেশা হয় না। যেমন কিছুদিন আগে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিল। কবর দেওয়ার পর আজিজ মিয়া সারারাত তার সাথে কথা বলেছে। সেই যুবক তাকে বলেছে মাত্র সামান্য কিছু টাকার জন্য তারই প্রিয় বন্ধু তাকে নেতার নির্দেশে হত্যা করে। সেই নেতার নামও সে আজিজকে বলে। আজিজ চিনতে পারে। পোস্টারে দেখেছে। তাই যখন সেই নেতাকে কবরের সামনে এসে কাঁদতে দেখে তখন আজিজ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে থাকে। লোকজন তাকে পাগল বলে সরিয়ে নিয়ে যায়! জীবিত মানুষের গল্পে তাই ভেজাল আছে। ভেজাল নেশা আজিজ মিয়ার পছন্দ না। তাই সে নতুন লাশের অপেক্ষায় আছে। নতুন লাশ মানেই নতুন গল্প। নতুন নেশায় বুঁদ হয়ে জীবনের স্বাদ নেওয়া!
সময়
মিলির আজ স্কুলে যেতে ইচ্ছে করছে না। তাদের বাসায় এক নতুন কাজের মেয়ে এসেছে। মিলি কাল দেখেছে সেই মেয়ে একা একা কথা বলে। মিলি সারাদিন বাসায় বসে থাকে। স্কুল থেকে এসে বাসায় গেম খেলা, হোমওয়ার্ক করা ছাড়া তার তেমন কিছু করার থাকেনা। স্কুলেও মিলি চুপচাপ থাকে। কেন যেন কারো সাথে কথা বলতে মিলির ভালো লাগেনা। তবে তার সমবয়সী এই নতুন কাজের মেয়েটাকে মিলির খুব ভালো লেগে যায়। তার সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু ভয়ে কথা বলেনা। মিলির মা বাবা মিলিকে এদের সাথে মিশতে বারন করে দিয়েছে। মিলি তার বাবাকে খুব ভয় পায়। তার বাবা যখন রেগে যায় তখন বাবাকে তার মানুষ মনে হয়না। অনেকবার বাবার ভয়ে মাকে কাঁপতে দেখেছে মিলি। তাই বাবাকে নিয়ে সে খুব ভয়ে থাকে।
প্রার্থনা
কানা কালামকে আজ একটা ছবি পাঠানো হয়েছে। অনেকদিন ধরেই সে নতুন কোন কাজ খুঁজে পাচ্ছিল না। টাকাও শেষ হয়ে আসছে। তার টাকা দরকার। তাছাড়া তার কাজ তার কাছে একটা নেশার মত ব্যাপার। না করলে কেমন যেন অস্থির লাগে তার! কিছুদিন থেকেই এই অস্থিরতা তীব্র হয়ে উঠেছে। তাই আজ এই ছবি পাওয়া মানে তার কাছে ইদের চাঁদ দেখার মত ব্যাপার। ছবিতে একটা নিস্পাপ বালিকার ছবি দেখা যাচ্ছে। পাশে তার সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা আছে। মেয়ের নাম মিলি। ক্লাস এইটে পড়ে। স্কুলের নাম দেওয়া আছে। অনেক বড় ব্যাবসায়ীর মেয়ে সে। যদিও এসব কিছু কালামের চিন্তা না। খুন করতে তার কারন লাগেনা। সে এই দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত কন্ট্রাক্ট কিলার। খুন করেও সে খুব মজা পায়। খুন করার আগে সে তার শিকার নিয়ে খেলতে খুব পছন্দ করে। শিকারের চোখে এক অপার্থিব ভয় খেলা করে। মৃত্যু ভয় এবং বাঁচার আকাঙ্ক্ষা মিলে এমন এক আকুতি তার চোখে মুখে লেগে থাকে যা কালামকে শিহরিত করে। তার নতুন শিকার খুব পছন্দ হয়েছে। এই বালিকাকে নিয়ে সে অনেক খেলবে। এমন সিদ্ধান্ত সে নিয়ে ফেলে।
শব্দ
তুমি সারাদিন কার সাথে কথা বল। মিলির প্রশ্নে আমিনা কেমন যেন চমকে উঠে! এই মেয়েটাকে তার ভালো যেমন লাগে তেমনি ভয়ও লাগে। কেমন শান্ত চোখে তাকিয়ে থাকে। মনে হয় তার হৃদয়ে অনেক মায়া।
নিজের লগে কথা কই। আর কার লগে কমু? আপনাগো বাড়িতে কেউ আমার লগে কথা কয়না। আমি নিজেই নিজের লগে কই! যেমন নিজেই নিজেরে কই কিরে আমিনা তোর মন ভালো? আবার নিজেই কই না ভালা না!
আমিনার কথার ধরনে মিলি মজা পায়। তার কাছে মনে হয় আমিনা খুব সহজ সরল মেয়ে। গ্রামের মেয়েদের সাথে সে আগে কখনো মিশে নাই। এই মেয়েগুলোর মনে হয় অনেক কষ্ট। কিন্তু মিলির তারপরও মনে হয় আমিনা তার চেয়ে অনেক আনন্দে থাকে।
তুমি কি গ্রামে অনেক ঘুড়ে বেড়াতে?
সুযোগ পাইলেই ঘুরতাম আপা। তয় একটু বড় হওয়ার পর মায় কইলো মাইয়া মানুষের যেখানে সেখানে ঘুড়া ঠিক না। পরে নিজেও দেখছি অনেক বদ লোক বদ মতলবে ঘুইরা বেড়ায়! একবার এমন বিপদে পড়ছিলাম আপা! কি বিপদ সেইটা আপনারে কওন যাইবো না। শরমের কথা!
আমিনার কথা শুনতে মিলির আসলেই খুব ভালো লাগে। সেও কল্পনা করে আমিনার মত গ্রামের পথে পথে হেঁটে বেড়াচ্ছে! বদ লোক গুলোর কথা ভাবতেও মিলির ভালো লাগে!
শব্দহীন
মিলিকে রুম থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। আমিনা মারা গেছে। কিভাবে মারা গেছে তা এক রহস্য। বাসায় পুলিশ এসেছে। মিলির বাবার সাথে তাদের কিসব যেন কথাও হচ্ছে। আজ সকালে আমিনাকে ঘুমের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মিলি শুনেছে আমিনাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এমন নাকি আলামত পাওয়া গেছে। কয়েক বছর আগ রহিমা বুয়া খুন হয়েছিল। পুলিশ এসেছিল। কিন্তু কয়েকদিন পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। মিলি কানাঘুসা শুনেছে যে, তার বাবাই নাকি খুন করে টাকা দিয়ে পুলিশের মুখ বন্ধ করে রেখেছে। মিলি জানে তার বাবা রেগে গেলে মানুষ থাকেনা। তবে সে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবে এই খুনগুলো তার বাবা করেনি!
প্রস্তুতি
আজিজ মিয়া আজ এমন কিছু গল্প শুনছে যার জন্য সে প্রস্তুত ছিলনা। এমন গল্প সে আগে কখনো শুনে নাই। আমিনার মত একটা বালিকা মেয়ের লাশ তাকে এমন গল্প শোনাবে সে এটা কল্পনাও করে নাই। গল্পের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা আজিজ মিয়া ভাবে, মানুষ আসলেই এক রহস্যময় প্রাণী! মানুষ নিজেই বা নিজেকে কতটুকো চিনে।
খেলা
কানা কালাম অবসর সময়ে বই পড়তে খুব পছন্দ করে। কিলার শুনলেই চোখের সামনে যেমন অশিক্ষিত কারো মুখ ভেসে আসে কালাম তেমন নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও কালাম অনেক কিছু সম্পর্কেই ধারনা রাখে। খুন করার আগে শিকারকে নিজের জ্ঞান দেখিয়ে খুব মজা পায় কালাম। যেমন একবার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রোফেসরকে কালাম খুন করল। তিনি ইংরেজি সাহিত্য পড়াতেন। প্রোফেসর যখন তার কাছে প্রান ভিক্ষা চাচ্ছিল তখন কালাম খুব ঠাণ্ডা গলায় আবৃতি করল,
You are not wrong, who deem
That my days have been a dream;
Yet if hope has flown away
In a night, or in a day,
In a vision, or in none,
Is it therefore the less gone?
All that we see or seem
Is but a dream within a dream.
কালামের মুখে পোর কবিতা শুনে প্রোফেসর সাহেবের মুখ হা হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুভয়ের সাথে এক বিস্ময় তার মধ্যে প্রবল ভাবে কাজ করছিল। তখন কালাম বলল, প্রোফেসর সাহেব ধরেন আমি আপনি কেউ বাস্তব না। সব অন্য কোন স্বপ্নের অংশ! ধরেন এই স্বপ্নে আমি আপনাকে খুন করলাম। কিন্তু আপনি বেঁচে উঠলেন অন্য কোন বাস্তবে। কালাম জানে প্রোফেসর সাহেবও তেমনটাই চাচ্ছেন। মৃত্যুভয়ে আক্রান্ত মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খড়কুটোর মত স্বপ্নকেই আঁকড়ে ধরে! তারপর কালাম বলল কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে এসব স্বপ্ন না। এ সব কিছুই বাস্তব। একটু পর আমি যখন একটা একটা করে আপনার সবগুলো দাঁত উপড়ে ফেলব তখন আপনি যে অমানুষিক যন্ত্রণা পাবেন সেটাও বাস্তব! সেই প্রোফেসরকে নিয়ে খেলে কালাম অনেক মজা পেয়েছিল।
তবে কালাম জানে মিলি তার জন্য একেবারে পারফেক্ট শিকার। মেয়েটার চোখগুলো কেমন যেন। খুব মায়াকারা। তবে কালামের মনে হচ্ছে মেয়েটার মধ্যে এমন কিছু একটা আছে যা সে জানেনা। তবে কালাম জানবে। তাকে জানতেই হবে। মিলির জন্য সে এমন ভাবে প্রস্তুত হচ্ছে যা আগে কখনোই হয়নি। মিলি হবে তার জীবনের সেরা শিকার। কালাম অপেক্ষায় আছে।
সম্মোহন
তোমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে জান? তোমাকে নিয়ে আমি একটু পর একটা খেলা খেলব। তুমি কি জান সে খেলার নাম কী? সে খেলার নাম মৃত্যু মৃত্যু খেলা। মৃত্যু কী জান তুমি? কাউকে কখনো মরতে দেখেছো খুকী!
না দেখিনি। তবে মৃত্যু কী আমি জানি। মৃত্যু মানে হারিয়ে যাওয়া। আমি অনেক প্রিয় মানুষকে হারিয়ে যেতে দেখেছি। তারা আর কোনদিন ফিরে আসেনি। তুমিও কি আমাকে হারিয়ে যাওয়ার জগতে পাঠিয়ে দেবে? সেখানে গেলে কি তাদের সাথে আমার আবার দেখা হবে?
মিলির উত্তর শুনে কালাম বিস্মিত হয়। একটা ১৪ বছরের মেয়ের মুখে এমন কথা সে কল্পনাও করতে পারেনা। তাও আবার এমন পরিস্থিতিতে। হয়তো এখনো সে শিশুদের কল্পনার জগতেই পড়ে আছে। তাই বাস্তব জগতের নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে তার কোন ধারনাই নাই। তবে একটু পরেই সে সেটা বুঝবে। কালাম তাকে একটু একটু করে বুঝাবে জীবন কত নিষ্ঠুর হতে পারে।
তোমার ভয় লাগছে না খুকী? তুমি নিশ্চয়ই বুঝেছ খুব খারাপ কিছু করার জন্য আমি তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি! সেই খারাপ কতটা খারাপ সে ব্যাপারে তোমার কোন ধারনাই নেই। যেমন একটু পর আমি তোমার সব জামা কাপড় খুলে ফেলব। তারপর আমি কি করব? বলত খুকী! বলতে পারলে আমি তোমার কষ্ট একটু কমিয়ে দিব! কালাম মিলির মনে তীব্র আতংক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সে জানে খুব খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে এ চিন্তা মানুষ নিতে পারেনা। ভয়ে অস্থির হয়ে যায়। অনেক শক্ত মানুষই কিছুক্ষনের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে। মিলিত সেই তুলনায় শিশু!
আমি আমিনার কাছে শুনেছি বদ লোকেরা কি করতে চায়! তুমি কি জান আমি এমন অনেকবার ভেবেছি যে এমন কোন এক বদলোকের সাথে আমার দেখা হয়েছে। তুমি বদলোক। তোমার সাথে দেখা হয়ে আমি খুব আনন্দিত। কারন আমার ইচ্ছা পুরন হয়েছে। এখন আমি দেখতে চাই তুমি আমার সাথে কি কর!
মিলির সহজ সরল উত্তর এবং বলার ভঙ্গি দেখে কালাম বিস্ময়ে হেসে ফেলে। এই মেয়ে বলে কি? তার মনে হয় মিলি স্বাভাবিক না। এই মেয়ের নিশ্চয় কোন মানসিক সমস্যা আছে। কালামের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। কিন্তু সে জানে তাকে ঠাণ্ডা থাকতে হবে। মিলিকে সে কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারছেনা। তাই প্রথমে তাকে বুঝতে হবে মিলি কি ভয় পায়!
মিলি খুকীমনি আমি বুঝতে পারছি তুমি অন্যদের মত না। তুমি খুব সহজে ভয় পাওনা। অস্থির হয়ে যাওনা। এমন কিছু কি আছে যা দেখলে তোমার ভয় হয়!
আমি ভয় পাইনা। তবে ভয় পাওয়ার ভান করি। যেমন আমার বাবা যখন রাগে তখন আমি ভয় পাওয়ার ভান করি। বাবা যখন মায়ের সাথে খারাপ কিছু করে তখনও ভয় পাওায়ার ভান করি। আমি ভয় পেলে বাবা শান্ত হয়ে যায়।
তুমি কি জান তোমার বাবাও অনেক খারাপ মানুষ! সে অনেক অনেক খারাপ কাজ করেছে অনেকের সাথে। তোমাদের দুজন কাজের মেয়েকে সে হত্যা করেছে। তাদের সাথে সে কি করত জানো তুমি? তাদের কেন হত্যা করা হলো বলত খুকীমনি।
আমার বাবা তাদের হত্যা করেনি। তবে বাবা তাদের সাথে কি করত তা আমি জানি। দুজনই আমাকে সব বলেছিল। আমিনা আমাকে বলেছিল বাবা তাকে বদলোকদের মত অনেক যন্ত্রণা দিত। তারা দুজনেই আমার কাছে এসব বলে অনেক কান্নাকাটি করত। আমি তাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার উপায় খুঁজতাম! সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল তাদের এ জীবন থেকে অন্য কোন অচেনা জগতে পাঠিয়ে দেওয়া। সেই কাজটাই আমি করেছি। আমার বাবা নয়, আমি নিজেই তাদের হত্যা করেছি। মিলির মুখে এক অদ্ভুত হাসি খেলে যায়!
অনেকদিন পর কালাম ভয়ে শিউরে ওঠে। তার মনে হচ্ছে তার সামনে কোন ১৪ বছরের বালিকা বসে নেই। বরং কালামের মনে হচ্ছে এ কোন অশরীরী প্রেতাত্মা! কালাম ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা সে কি করবে। তার মধ্যে কেমন যেন এক তীব্র যন্ত্রণা হতে থাকে।
আমি জানি তোমার মধ্যে এখন অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি এই যন্ত্রণা থেকে খুব সহজেই তোমাকে মুক্তি দিতে পারি। আমার হাতের বাঁধন খুলে দাও। আমি তোমাকে অনেক অনেক শান্তি দেব। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার কথা শোন। তোমার সব দুঃখ কষ্ট আমি এক নিমিষে শেষ করে দিব। আমার কাছে আস। দেখবে পৃথিবীর সব আনন্দ এখানেই!
আস! আস! আস! আস!
কালাম সম্মোহিতের মত মিলির দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
অপেক্ষা
আজিজ মিয়ার আজ মনে হচ্ছে নেশা করে আনন্দে আজ সে মরেই যাবে! কানা কালামের গল্প সে আগেই দুএকজনের কাছে শুনেছে। সেই কানা কালামের সাথেই আজ গল্প করে সে অনেক তৃপ্তি পেল। আজিজের খুব মিলির সাথে গল্প করতে ইচ্ছা করছে এবার। আজিজ জানে মিলির গল্প হবে তার জীবনের সেরা নেশা। কিন্তু মিলি কবে আসবে? ততদিন কি সে বেঁচে থাকবে। তবে সে জানে আমৃত্যু তৃষ্ণা নিয়ে সে আজীবন মিলির অপেক্ষায় থাকবে!
It is better to conquer yourself than to win a thousand battles. Then the victory is yours. It cannot be taken from you, not by angels or by demons, heaven or hell.
Buddha
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২