বিজয় দিবস আনন্দের দিন।
হানাদারের হাত থেকে মুক্তি পাবার দিন।
তাও আসে না মনে কোনো হাসি, কেনো জানি মনে পড়ে যারা স্বজন হারিয়েছিলো তাদের কথা।
এতোগুলো মাস কষ্ট করে লুকিয়ে থেকে বা পরদেশে তাবুবাসী হয়ে এই একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলো তারা।
ছেলেকে স্বামীকে যুদ্ধে পাঠিয়ে নিজেও যতটা পারে সাহায্য করে আর পরিবারের দেখভাল করে যাওয়া সেই নারীদের কথা।
নষ্ট লোকগুলোর কাছে নিজেকে হারানো সেই মায়েদের কথা।
সে তরুনদের মত হতে পারি নাই, যারা রাজনীতিতে হয়তো কোনো দিন জড়ায় নাই, তাও দেশের টানে যুদ্ধ করেছে, জীবন দিয়েছে।
আমি এতোটা সাহসী না, যুদ্ধে যাওয়ার চেয়ে হয়তো ভিনদেশে শরনার্থী হয়ে থাকতে চাইবো, এতোটা স্পিরিট আমার মধ্যে নেই যে তোমাদের মতো অস্ত্র হাতে দেশ ছিনিয়ে নেবো। তোমাদের কিছুটা হিংসা করি। আমি কেমন তা পরখ করার কিছু পাই না। স্বাধীন দেশের আইন মেনে চলা একজন আমি, যুদ্ধাপরাধীদের সামনে যেয়ে কিছু বলার সাহস না থাকা একজন আমি। আমি পারবো না এই কীটগুলোকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করতে। শুধু ফেইসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠাই এদের নির্বাচিত না করতে। এইটুকুই আমার ক্ষমতা। তাই তোমাদের হিংসা করি। তোমাদের সময়ে জন্ম নিলে হয়তো এই কীটগুলোকে তোমাদের হাতে মরতে দেখে উল্লাসটুকু করে যেতে পারতাম!
স্বার্থপরের মত ভাবি, তোমরা কেনো মেরে রেখে গেলে না এদের সবাইকে! আমাদের তো ক্ষমতা নেই এদের মারার!
এই দিনটি তাই আনন্দের ও বেদনার। পতাকা উড়ানোর উল্লাসের দিন, দেশ পাওয়ার খুশির দিন, আর কষ্ট স্বজন হারাবার, আর হতাশা যুদ্ধাপরাধীদের বেঁচে থাকার।
পাকিস্তানীদের বিচার চাইবার আগে, তাদের ক্ষমা চাইবার আগে আমি এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।