আপনারা যারা আমার ব্লগের বন্ধু তারা জানতেন যে আমি সুরমাকে খুব ভালবাসতাম। তাকে নিয়ে আমি ব্লগে লেখাও দিয়েছিলাম। সে আমাকে কথা দিয়েছিল আমাকে ছাড়া আর কাউকে কোনদিন বিয়ে করবেনা। সে আমার গেরামের মেয়ে। ছোট থাকতে আমরা প্রায় সময় খেলতাম। ঘুরতাম। আনন্দ করতাম। ইস্কুলে যেতাম। বড় হলে আমি ঢাকায় চলে আসি। ঢাকা থেকে আমাদের বাড়ি খুব কাছে। তাই আমি ছুটি পেলেই তাদের বাড়ি যেতাম। তার বাপ রুস্তম লোকটা ভাল ছিলনা। সে আমাকে দেখলেই শুধু শুধুসন্দেহ করত।
যাক সে কথা কাল গ্রাম থেকে আমার ছোট কালের এক বন্ধু খুব সকালে কল দিয়ে বলল সুরমার নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। জুমার পরে এনগেজমেন্ট হয়ে যাবে। ছেলে ফ্রান্স থেকে এসেছে। এইটা শুনার পর আমি তো চিৎকার দিয়ে কেদে দিলাম। পাশের রুম থেকে কাসেম এসে গেল। আমার মাথায় পানি দিল। আমি কাঁদছিলাম। কথা বলছিলাম না। পরে তাকে সব খুলে বলে দিলাম। সে আমাকে বলে ভাইয়া তুমি খুব বোকা। শোন আমার মত ৩-৪ জন মেয়ের সাথে রিলেশন রাখবা। তাহলে দু:খ পাবেনা। আমি তার কথা মানতে পারলাম না।
কারন সুরমা খুব ভাল মেয়ে ছিল। আজকে জানতে পারলাম সে আমাকে অভিশাপ দিয়েছে। কারন আমাকে কিছুদিন আগে সে বলছিল পালিয়ে বিয়ে করার কথা। আমি রাজি হইনি তখন। এখন বুঝতে পারলাম আমি কি হারিয়ে ফেলেছি। সারাক্ষন তার স্মৃতি মনে পরে। আর তখন আমার বুকে খুব ব্যাথা হয়।
কাল থেকে আমি শুধু কাঁদছি আর কাঁদছি । রুম বন্ধ করে কাঁদছি । ভাবছি ছুটি নিয়ে কক্সবাজারে খালুর ও খানে চলে যাব। পানির সামনে বসে বসে কাদব সুরমার জন্য। সাগরের মন অনেক বড়। রুস্তম চাচার মত না। রুস্তম চাচা মরলে আমি তার মুখও দেখব না।
“কত স্মৃতি কত গান মনে পরে গেল”। এই গানটা আমি কিভাবে শুনব? আমার সুরমার খুব প্রিয় একটা গান ছিল একটা। আমাকে সে গেয়ে শুনাত।