দেখো,
এই অপরাজিতা
ফুলগুলো।
নীল-শুভ্রতার এক
অপূর্ব সমারোহ, তাই
না??
ফুলগুলো আমার ভীষণ
প্রিয়।
জানি প্রত্যেকটা ফুল
একসময় বিবর্ণ হয়ে
ঝরে পড়বে।
তাতে কি আসে যায়??
তখন ভেবে নেবো
প্রতিটা পাপড়ি, রেণু
আমি তোমার তরে
উৎসর্গ করেছি।
দেখো,
আজ পূর্ণিমাতিথি।
আলো-আধারের এক
রহস্যময়ী
পরিবেশ,তাই না??
জ্যোৎস্না আমার
ভীষণ প্রিয়।
জানি কিছুদিন পরেই
অমাবস্যার তিমির
বিশাল আকাশটাকে
ঢেকে ফেলবে।
তাতে কি আসে যায়??
তখন ভেবে নেবো
হীরকের মতো আমার
আকাশের প্রতিটি
জ্যোৎস্নার টুকরো
আমি তোমার তরে
উৎসর্গ করেছি।
দেখো,
একরাশ
জোনাকিপোকা।
ক্রমশ জ্বলে নিভে
যাওয়া আলোগুলোয় এক
গল্পের শুরু হবে।
এই জোনাকিগুলো
আমার ভীষণ প্রিয়।
জানি দিনের শুরুতে
ব্যস্ততার কোলাহলে
জোনাকির আলো
বিলীন হয়ে যাবে।
তাতে কি আসে যায়??
ভেবে নেবো জোনাকির
মৃদু আলোটুকু আমি
তোমার তরে উৎসর্গ
করেছি।
দেখো,
এই কচি সবুজ
ঘাসগুলো।
মাটির মমতা আর
চিরহরিৎ আবেশের
এক অপরুপ চিত্র,তাই
না??
এই কচি ঘাসগুলো
আমার ভীষণ প্রিয়।।
জানি হয়তো কোনো
এক সময় মানুষের
পদদলিত হয়ে এগুলো
বিবর্ণ রং ধারণ
করবে।
তাতে কি আসে যায়??
ভেবে নেবো সেই কচি
সবুজ রঙ্গের মেলা
আমি তোমার তরে
উৎসর্গ করেছি।।
দেখো,
কচু পাতার ওপর
একফোঁটা বৃষ্টি।।
সবুজ পাতায় পটে আঁকা
যেন এক অনবদ্য
চিত্রকলা।
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা
আমার খুব প্রিয়।
জানি একসময় বৃষ্টির
ফোঁটা সবকিছু
অতিক্রম করে
ধরিত্রীর বুকে মিশে
যাবে।।
তাতে কি আসে যায়??
ভেবে নেবো এক পলশা
বৃষ্টির প্রশান্তি
আমি তোমার তরে
উৎসর্গ করেছি।
দেখো,
আয়নার দিকে তাকাও...
আয়নার অপর প্রান্তে
তুমি,আমার
প্রিয়তমেষু,
তুমিই যে আমার
সবচেয়ে প্রিয়.....
জানি হয়তো দূরত্বের
সাথে পাল্লা দিয়ে
একসময় তুমিও হারিয়ে
যাবে..
তখন কি ভেবে মনকে
সান্ত্বনা দেবো??
তোমায় উৎসর্গ
করেছি??
কিন্তু কিভাবে মনকে
পদদলিত করে তোমাকে
উৎসর্গ করবো??
তুমি কি জানো????