জালিয়াতির মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখল করে রেখেছিলেন বিখ্যাত দাতা ও শিল্পপতি রাগীব আলীর। জিনি বাংলাদেশের সেরা ১০ জন ধনির মধ্যে ১ জন।
গত কাল থেকে ৪৪৪ একর ভূমি ফিরিয়ে নেওয়ার অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
যার বর্তমান মূল্য ২ হাজার কোটি টাকা।
বিডি নিউস ২৪ ডট কম সূত্রে জানা যায় ১৯১৫ সালের ২ জুলাই বৈকুণ্ঠ চন্দ্র গুপ্ত তারাপুর চা বাগানসহ সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ জিউড় দেবতার নামে রেজিস্ট্রি দানপত্র করে দলিল করেন দেন। তখন থেকে এলাকাটি দেবোত্তোর সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত।
আশীর দশকের শেষের দিকে ছেলে আবদুল হাইয়ের নামে তারাপুর চা বাগানটি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেন রাগিব আলী। কিন্তু তারাপুর চা বাগানটি দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়ায় কোনোভাবেই তা সেবায়েত তার মনোনীত ব্যক্তিকে হস্তান্তর করতে পারেন না।
যেহেতু দেবোত্তর সম্পত্তি কাউকে হস্তান্তর করা যায়না, সেহেতু রাগীব আলীর এই ভুমি ইজারা নেওয়াটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
দেবোত্ত্বর সম্পত্তি কোন কেনা-বেচা করা যায়না। কিন্তু তারাপুর চা বাগানের অনেকটা অংশ রাগীব আলী বিক্রী করে ফেলেছেন। গড়েছেন নিজের নামে ও স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ এবং ছাত্র নিবাস।
রাগীব আলী বাংলাদেশের বিখ্যাত সেরা দশ জন ধনীর মধ্যে ১ জন। এবং বৃহত্তর সিলেটের নাম্বার ওয়ান ধনী ব্যক্তি। দাতা হিসেবে বৃহত্তর সিলেটের সবচেয়ে পরিচিত মুখ।
দাতা রাগীব আলীর পরিচয় শুধু যে সিলেট বাসীর কাছে তা নয়। গোটা বাংলাদেশেই দাতা হিসেবে রাগীব আলীর ব্যাপক পরিচিতি। দাতা রাগীব আলীর পরিচয় শুধু যে বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ তা নয়। আমাদের পাশবর্তি রাষ্ট ভারতে এবং কি সুদুর বিলেতেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি।
উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ের প্রেক্ষিতে রোববার বেলা ১১টায় সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সেবায়েত পেলেন দেবোত্তর ৪৪৪ একর ভূমি, আর আমরা পেলাম বিখ্যাত দানবীর রুপি দানব এর পরিচয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২