যারা ১ম পর্ব মিস করেছেন তরা এখানে দেখুন
১। আয়রণ মেইডেন:
লোহার তৈরি এই মানবীআকৃতির ভেতর যাকে একবার প্রবেশ করানো হয়েছে সে আর বাচেনি। মৃত্যুর ভয়াবহতা আর নির্মমতার নির্দশন হিসাবে ১৭শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের যন্ত্রগুলির অন্যতম এই আয়রন মেইডেন।
২। জুডাস চেয়ার:
এই যন্ত্রটি জুডাস ক্রেডল (দোলনা) নামেও বেশ পরিচিত। ভিকটিমকে দড়ি বা শেকল দিয়ে বেধে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিত- ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন তারপর কি হত নিশ্চয় সেটা আর ব্যাখ্যার দরকার হবে না।
৩। দ্য পিয়ার:
মধ্যযুগে যারা খোদাদ্রোহী, সমকামী, ব্যভীচারী হিসাবে দোষী সাবস্ত হত তাদেরকে সাজা দিতে এই যন্ত্রটি দোষীদের মুখে, পায়ুপথে, মেয়েদের গোপনাঙ্গে প্রবেশ করিয়ে বিশেষ উপায়ে (স্ক্রু মেকানিজম) আস্তে আস্তে যন্ত্রটির একটি নির্দিষ্ট আকার ফোলানো হত ফলে দোষীদের ঐসব অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ ফেটে যেত।(খোদা!)
৪। দ্য হুইল:
এই যন্ত্রটি অনেক নামে পরিচিত যেমন- ব্রেকিং হুইল, ক্যাথরিন হুইল ইত্যাদি। নাম যাই হোক এর কাজ কিন্তু একটাই- মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেই নির্যাতিতকে নরক দর্শন করিয়ে ছাড়া। ভিকটিমকে প্রথমে ভাল করে হুইলের একপ্রান্তে বাধা হত, তারপর ভারী হাতুড়ী বা ঐ জাতীয় কিছু দিয়ে ভিকটিমের শরীরের প্রায় সবগুলো হাড় ধীরে ধীরে ভাঙ্গা হত। এক্ষেত্রে ভিকটিম মারা যেতে কয়েক ঘন্টা বড়জোড় একদিন সময় নিত। কিছু “সৌভাগ্যবান” ছিল যারা বুকের পাজড়, হাত-পা ভেঙ্গে সারাজীবনের পঙ্গুত্ব বরণ করে বেচে থাকত!
৫। ব্রাজেন বুল:
ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রাচীন গ্রীসে এই যন্ত্রটি নির্যাতনের কাজে ব্যবহৃত হত। বর্ণনা করতে খারাপ লাগছে নিচে লিঙ্ক দিচ্ছি নিজেই পড়ে নিন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Brazen_bull
৬। নী স্পিলিটার:
নামেই যার পরিচয়। ভিকটিমের হাটু ভাঙ্গার কাজে কাট ও লোহার কাটা দ্বারা তৈরি এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হত।
আরোও কিছু আছে কিন্তু নিজেকে কেমন যেন অসুস্থ লাগছে। তাই আর বর্ননা করতে পারলাম না। মাফ করবেন। আসলে বিভিন্ন সময় Wikipedia তে ঘাটাঘাটি করতে যেয়ে তথ্যগুলো পেয়েছিলাম। লেখার সময় নিজেকে অসুস্থ লাগছিল তাই আর বেশি লিখতে পারলাম না। নিচে কিছু লিঙ্ক দিলাম আশা করি নিজের গরজে দেখে নিবেন।
Knee Splitter
Inquisitional Chair
The Spanish Tickler
Head crusher
সময় পেলে আরো লিঙ্ক দিব।