যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন কেষ্টা বেটাই চোর !
গিন্নী এই কথা বলেন কারণ, গৃহের সব কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব ঐ কেষ্টা বেটার উপরেই। তবে আমাদের সমাজের ব্যাপারটা হল গৃহের কোন ক্ষতি হলেই তার দায় অতি সুন্দরভাবে কেষ্টা বেটাদের উপর চাপানো হয়। গৃহের কোন মঙ্গল হলে তার কৃতিত্ব কেষ্টা বেটারা পায়না।
বর্তমান পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের সরকার সেই কেষ্টা বেটার ভূমিকায় রোল প্লে করছে। অতীব দুঃখজনক। এমন একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে সে এখন পুরোদস্তুর কেষ্টা বেটা। অথচ এমন হবার কথা ছিল না।
দেশের নামী বুদ্ধিজীবীরা এখন বড় মাপের গোয়েন্দা হয়ে চুরির ঘটনা ফাঁস করছেন। আজকের প্রথম আলোতে এককালের বাংলাদেশী মাহাত্ম্য গান্ধী সৈয়দ আবুল মকসুদ তেমনই বিশাল এক বোমা ফাটিয়েছেন। নিজের বিশ্বব্যাংক বিরোধী ভোল পাল্টে উল্টো হাত পেতেছেন ব্যাংকটির কাছে যেখানে সরকার বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছে। মকসুদ সাহেব নিজে বলেছেন তিনি আশির দশক থেকে বিশ্বব্যাংক বিরোধী এবং আমরা আমজনতাও সে কথা জানি যে,একমাত্র তিনিই এমন ব্যক্তি যিনি বিশ্বব্যাংকের প্রতিটা কাজের বিরোধী এবং কট্টর সমালোচক।
সেলুকাস,তিনিই এখন সরকারকে গালি দিতেই অত্যন্ত সচেতনভাবে বিশ্বব্যাংকের প্রশস্তি গেয়েছেন।