ছোটবেলায় গরুর রচনা পড়েছি ছাগলেরটা পড়া হয় নি,তবে এবার পাঠ্য বইয়ে ছাগলেরও রচনা চাই,গণতান্ত্রিক দেশে ছাগলেরও অধিকার আছে 'একটি ছাগলের রচনা' হিসেবে বইয়ের পাতায় থাকার
ছাগুদের মহিলা আমীর ম্যঠাম খালেদা ছাগল সমাজের এই অবমুল্লাইয়ন মেনে নিতে পারছে না কোনভাবেই,যদিও হাম্বা হলো গরুর বিদ্রোহের বুলি,প্রতিবাদের কোড,বিদ্রোহের হাতিয়ার।
হাম্বা যেহেতু গরু সমাজের প্রতিবাদের ভাষা সেহেতু ছাগল সমাজও ম্যা ম্যা
ম্যা ‘ডেমোক্রেসি ইজ ডেড, লং লিভ ডেমোক্রেসি।’
বলেই লং মার্চ করতে চায়
হরতাল অবরোধের চেয়ে গাড়ি ভ্রমনে লং মার্চ অনেক ভালো তবে কথা হলো লংমার্চ পাবলিকে কতটা খায়, সে ভাবনার কারণ আছে। লংমার্চে গরম বেশি, নাকি এলাচি বেশী, সে বিতর্ক কেবল রাঁধুনির নয়। রান্নায় যেমন গরম মসলা, আন্দোলনেও চাই তার এক পশলা।
তবে সেই মসলার ঝাঁজ সইতে না পেরে গরু সমাজের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বাবুরা দা কুড়াল শানানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে মাঠ ছেড়ে অকালে পলায়ন করলেও চিন্তা নেই।
তেঁতুল শফির এতিম ছাগুর পাল আছে না?
অফটপিক-
চীনের নেতা মাও সে তুং পায়ে হেটে ক্ষমতা দখল করে “লং মার্চ” বা পদযাত্রাকে একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক কর্মসূচী বানিয়ে গেছেন। আর চীনপন্থী বামপন্থী নেতা মাওলানা ভাসানী সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের পরামর্শে ফারাক্কা অভিমুখে লং মার্চ করে বাংলাদেশে এই কর্মসূচীর প্রচলন করেন। তারপর বামরাই এই পদযাত্রাকে তাদের কর্মসূচি হিসাবে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখন দেখছি বিএনপি বাংলাদেশ বিরোধী জামায়াতকে সাথে নিয়ে লং মার্চের অভিযোজিত ভার্সান রোড মার্চ করছে।
এবার লং মার্চ কাদের স্বার্থে ?
বিলাসবহুল গাড়ীর এই প্রদর্শনীতে কি পাচ্ছে মানুষ?
কি তাদের এজেন্ডা?
এই শীতে লং মার্চের ঘোলা জলে মাঝখান থেকে কিছু সাধারন লোকের জীবন যাবে, আমাদের ব্যবসা/বানিজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে, বহির্বিশ্ব থেকে বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে - আমরা পত্রিকা পড়ে হা হুতাশ করব। তারপর আবার যেই কি সেই! প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী বুদ্ধি বেচে খাবে, আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা খাবে ধর্ম বেচে! বিজয় হবে নোংরা লোকজনদের, নোংরা রাজনীতির আর পরাজয় হবে মানুষের, মানবতার!