প্রেসিডেন্ট জিয়া এবং তার দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করে যে ভাবে ৭১ এর ঘাতক, ধর্ষক ও যুদ্ধাপরাধিদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে তা শুধু দুঃখজনকই নয় লজ্জাজনকও বটে।তাদের অবস্থান এবং কর্মকান্ড ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল । নিম্নের তথ্যসমুহ জানার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং যারা স্বাধিনতার মুল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে চায় তারা কোন ভাবেই বিএনপি জামাত জোটকে সমর্থন করতে পারেনা।
-১৯৭৫ এর ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে বিচারাধীন ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধির মুক্তি দেয়া।
- ২১ জুলাই, ১৯৭৬ সালে প্রহসনের বিচারে বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের কে ফাঁসি দেয়া।
- ১৯৭৬ সালে 'Second proclamation order no. 2 of 1976' জারী করে ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতি করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাদি তুলে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি (এটির সাথে জামাত সংযুক্ত ছিল) কে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া।
-৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘ কে ইসলামী ছাত্র শিবির হিসেবে আত্ন-প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া।
-১৯৭৮ সালে মানবতার শত্রু যুদ্ধাপরাধি পাকি নাগরিক গোলাম আযমকে দেশে ফিরে আসার অনুমতি দেয়া।
- ১৫ এপ্রিল,১৯৭৯ সালে বিএনপির সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে নিয়োগ।
-মে, ১৯৭৯ তে জামাত কে এ দেশে আবার রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেয়া।
-১৯৯২ সালে গণ আদালত গঠন করার জন্য ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তিসহ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম উপর রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা।
- ১৯৯৪ সালে গোলাম আযমকে এ দেশের নাগরিকত্ত্ব দেয়া।
- ২০০১ সালে মানবতার শত্রু যুদ্ধাপরাধি রাজাকার মতিউর রহমান নিজামি এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কে মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে ৩০লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে প্রাপ্ত লাল-সবুজের পাতাকা তুলে দেয়া।
- ৭১ এর ঘাতক, ধর্ষক ও যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া এবং তাদের মুক্তিদাবি করা।
- জামাতের ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে ঘাতক, ধর্ষক ও যুদ্ধাপরাধিদের মুক্তির জন্য দোয়া করা।
আজ আমাদের ভাবতে হবে আমরা আওয়ামি লীগকে সমর্থন দিয়ে অসম্প্রদায়িক, গনতান্তিক, স্বাধিনতা ও মনবতার মুল্যবোধকে সমুন্নত রেখে আলোর পথে এগিয়ে যাবো নাকি বিএনপি-জামাত জোটকে সমর্থন দিয়ে মধ্যযুগিয় বর্বর সমাজ ব্যবস্থায় ফিরে যাবো।
ড. সফিক,