২৫ জানুয়ারি ২০১১
প্রিয় ভারত,
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে সাম্প্র্রতিক শিশু হত্যা আমাকে বিচলিত করে তুলেছে। যখন পৃথিবীর ঘটনা প্রবাহ থেকে নিজের মনকে গুটিয়ে রাখতে পারিনা তখন কবিতার শৃঙ্খল আর গাঁথুনি আমাকে আমার হৃদয় মেলে ধরতে সাহায্য করে। তাই লেখাটির শেষে আমি একটি কবিতা জুড়ে দিয়েছি।
আমাদের আমেরিকানদের মনে একেকটি দেশের মনে রাখার মত একেকটি চিত্র আঁকা থাকে। আমাদের বেশির ভাগের মনেই ভারতের ক্ষেত্রে গান্ধির ছবি আঁকা শান্ত পদচারণায় এগিয়ে নিচ্ছেন জনস্রোত, লবণ চাষের জন্য। আমরা ভারতকে একটি অহিংস আধ্যাত্মিক ভূমি ভাবতে অভ্যস্ত। তাই হয়তো আমি যাদের কথা বলেছি তারা ভারতীয় সীমান্তে নিরপরাধ বাংলাদেশীদের হত্যায় মরমাহত হয়েছেন, বিশেষত ফেলানী নামের মেয়েটির হত্যায়। এই সত্য আমাদের আমেরিকানদের মনে আঁকা ভারতের চিত্রের সাথে মেলে না।
কি করে একটি জাতি মানুষের মৌলিক অধিকারের এই লঙ্ঘনের ন্যায্যতা দাবী করবে, বিশেষ করে ঔপনিবেশিত ইতিহাসের দরুণ নির্যাতিতদের কষ্ট যে জাতির বোঝার কথা? আপনি হয়তো বলবেন “তাহলে কি করে স্বাধীনতার প্রস্তাবক যুক্তরাষ্ট্র দমনমূলক শাসনের পক্ষপাতিত্ব করে?”
স্বীকার করি আমরা আমাদের স্বতন্ত্র ভন্ডামির জন্য দায়ী। আমাদের হাতও ক্লেদমুক্ত নয়। তারপরও আমাদের, যে কোন দেশের স্বতন্ত্র নাগরিকের দায়িত্ব এবং অধিকার আছে সোচ্চার হওয়ার, যখনই অন্যায্য কিছুর আওয়াজ শুনতে পাই, যেখানেই তা ঘটুক। প্রথমত, আমি একজন পিতা এবং পরিবারেরই একজন। আমার পনের বছর বয়স্কা একটি মেয়ে আছে। তাই ফেলানীর বাবার সাথে আমি আমার হৃদয়ের একটি সম্বন্ধ টের পাই, তাই আমি নীরব থেকে এই সম্পর্কের দায়মুক্ত হতে পারি না। আমার প্রতিবাদ করা উচিত এবং হয়তোবা প্রতিবাদ করে যাওয়া উচিত। যতদিন পযন্ত না এই নির্বিকার নরহত্যা ভারতের ইতিহাসের দূর্ভাগ্যজনক অধ্যায়ে পরিণত হবে। যিনি একটি শিশুর পিতা তিনি সকল শিশুর পিতা। বাংলাদেশী ছেলে মেয়েরাও আমারই ছেলে, আমারই মেয়ে।
আমি জানি বাংলাদেশ এবং ভারত এই ব্যাপারগুলো বিবেচনায় আনবে। ভারত প্রতিজ্ঞা করেছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে “এই ব্যাপারগুলো নিষ্পত্তি করবে”। পদক্ষেপটি ইতিবাচক কিন্তু এই পদক্ষেপ তো মৃতকে ফিরিয়ে আনবে না, অথবা জবাব দিতে পারে না এই প্রশ্নের যে, কি করে একটি সরকার অন্যায় দম্ভে সীমা অতিক্রম করে মানুষের জীবনের নিকৃষ্টতম অপমান করতে পারে। নূন্যতম মানবিক শিষ্টাচার শেখাতে তো সরকারগুলোর মধ্যে কোন উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে বন্ধুপ্রতীম এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে। যারা এইসব অন্যায় করে অথবা করতে আদেশ করে তারা অপরাধী এবং যারা এইসব অপরাধ ক্ষমা করে তাদের ও বিচার হওয়া উচিত। ফেলানীর হত্যাই প্রথম নিরপরাধ শিশু হত্যা নয়।
---------------------------------------------------
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে পনের বছর বয়স্ক ফেলানীর মৃত্যু এবং একজন আমেরিকান পিতার প্রতিক্রিয়া
মহাত্মা , তোমাকে প্রশ্ন আমার
আমার সন্তান খুন হয় কেন সীমান্তে তোমার
তোমার ছবিতে হিংস্র আচড়, কলঙ্কিত তোমার জাতি
সীমান্তরক্ষী যমদূত সাহেব যখন খুন করে তোমার জ্ঞাতি।
শোকের কান্না কি বোঝে সীমান্ত,কাটাতার?
আকাশ ছোঁয় সন্তানহারা বুকফাটা হাহাকার
বুলেটে বুলেটে চুরি যায় জাতির সুবর্ণ যৌবন
রাজনীতি চুপিচুপি সেই সত্য করে গোপন।
অবিশ্বাস আর পাগলামী বাড়ে যদি
শান্ত লোকটিকে ঠান্ডা মাথায় মারি যদি,
শিশু হত্যা বল তবে আর কি কঠিন
যখন সীমান্তরক্ষী যমদূত সাহেব হৃদয়হীন?
আমি শোকাহত পিতার কান্না শুনি
অবিশ্বাস্য কষ্টের সেই কান্নার ধ্বনি,
এবং আশ্চর্য হই, এমন পৈশাচিক চোরও হয়!
নিমেষে নিভিয়ে যে দেয় সলতে উজল আলোকময়?
ক্রন্দনে ক্রোধে অন্ধ হতে পারবো না,
ওদের মত নৃশংসতায় মানুষ মারতে পারবো না
হৃদয়হীন, অভিশপ্ত, কঠোর পারে যেমন
সীমান্তের ঐ যমপ্রহরী মারে যেমন।
ফিরে এসো ,আমরা সয়েছি সব হারানোর পরিণতি,
বন্ধুত্ব নয় পেয়েছি উন্মত্ত দূগতি
আমার জাতি ক্বচিৎ করে শোক পালন
সীমান্ত তোমার ভুগছে শোকে অনুক্ষণ।
তবুতো কিছু অমূল্য প্রাণের জানি কথা,
যারা পেরিয়েছে যমপ্রহরীর নৃশংসতা,
তারা এসেছে আশ্চর্য এক ভুমিতে
কখনো যে দেশ রিক্ত হবে না, যমপ্রহরীর গুলিতে।
মরণকূপে যারা পড়ে মরে গেছে
সেই মৃতদের বংশধর তো বেঁচে আছে
তারাই এবার বদলা নেবে অসম্মানের
আছে যেসব যমপ্রহরী তোমার দেশের সীমান্তের।
প্রিয় পাঠক, আমি আগেও বলেছি, একজন ভিনদেশি হিসেবে থেকে আলাদীনের গত সপ্তাহের লেখা থেকে উদ্বৃত করে আবার বলছি বাংলাদেশ অনেক রঙের অসীম শক্তির দেশ। মানুষের কাছে যা ¸গুরুত্বপূর্ণ তাকে তারা কেমন করে রাঙিয়ে তোলে এ নিয়ে পুরো আরেকটা লেখাই লেখা যায়, আমাদের পথচিহ্ন রঙিন, আমাদের বিজ্ঞাপণগুলো রঙিন, আমাদের গাড়িগুলো রঙিন। এমনকি আমাদের গ্যাস স্টেশনগুলো রঙিন। বাংলাদেশে নির্বাচনে ভোট দিতে যাওয়া সারিবদ্ধ মানুষের ছবির দিকে তাকালে মনে হয় দৃশ্যপটে তারাই সবচে রঙিন। প্রত্যেকেই উজ্জল রঙিন পোষাক পরিহিত। আমার কাছে এর মানে দাঁড়ায় বাংলাদেশ অবচেতনেই মানুষকে সবার উপরে স্থান দেয় আর তাই মানুষই তার উদযাপনের উপলক্ষ। যখন এই বর্ণিল মানুষদের একজন হারিয়ে যায়, আর সে যদি হয় শিশু এবং সে যদি হারিয়ে যায় চরম নৃশংসতায় তবে এক পৃথিবীর দূরত্ব থেকেও অনূভূত হয় এই হারিয়ে যাওয়া।
কবিতাটির সমাপ্তির মধ্য দিয়েই মূলত এই লেখাটি শেষ হয়েছে। আমার সম্পাদক ইমেইলের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আমার কি শুধু অতটুকুই বলার ছিল কি না। আমি যখন বিষয়টি জানার বোঝার চেষ্টা করছিলাম, তখন কয়েক বছর আগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে ১৩ বছর বয়স্ক এক কিশোরের মৃত্যু এবং সীমান্তের কাটাতারে মরার জন্য ঝুলিয়ে রাখা গুলিবিদ্ধ মেয়েটির ঘটনা পড়ে বলার মত কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমার ছোট মেয়েটির বয়স ১৫ বছর আর ছোট ছেলেটির বয়স ১৩। রঙিন পোষাকে সজ্জিত করার জন্য আমার জীবনে এরাই সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক বাবা-মাই তাঁদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। আমেরিকান প্রেক্ষিত থেকে আমি শুধু এটুকু বুঝতে পারি দুধ কিনতে সোফার নিচে খুচরো খুঁজতে, ডাইপারের বদলে খবরের কাগজ ব্যবহার করতে কেমন লাগে, আর কেমন লজ্জিত হতে হয় যখন গির্জাঘরে আপনার পাশে বসা চমৎকার লোকটি আপনাকে সংগ্রামরত নতুন পিতা জেনে আপনার সাহাযার্তে টাকা সাধে। আপনি এগুলোর মুখোমুখি হন আর আপনি তাই যুদ্ধ করেন, সংগ্রাম করেন এবং আপনি এ সবই করেন আপনার সন্তানের জন্য। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, দল, সামাজিক শ্রেণী বিবেচনায় আপনি যেভাবেই নিজের পরিচয় দিন না কেন পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্ব আপনার জীবন ধারাকে বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে। পিতৃত্ব অথবা মাতৃত্ব একটি সার্বজনীন পরিচায়ক। আমরা পৃথিবীর সকল পিতা এক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।
পিতৃত্বের শুরুর বছরগুলোতে সংগ্রামই করেছি বলা যায়, কারণ আমি আর আমার স্ত্রী ছিলাম শিক্ষার্থী আর শিক্ষার্থীরা সবখানে সবসময়ই দরিদ্র। আমেরিকায় দারিদ্র্য একটি সাময়িক অবস্থা যা কিছুদিন পরেই মধ্যবিত্তে পরিণত হয়। মাটিতে পড়ে থাকা জল যেমন আপনি শুকিয়ে যায় দারিদ্র্য আমেরিকায় কিছুদিনের মধ্যেই কেটে যায় আর যদিও আমাকে ঐ কয়েকবছর এই কঠিন পথ ধরেই চলতে হয়েছে কিন্তু আমরা সবসময়ই, আমাদের প্রয়োজনে বাবার নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই ছিলাম। আমাকে কখনো খাবার যোগাতে গিয়ে বন্ধুপ্রতীম বিদেশী সৈন্যের গুলি খাওয়ার ঝুঁকি নিতে হয়নি।
কিন্তু আমি কল্পনা করি ঐদিনকার ঐ বাংলাদেশী বাবাটির কথা, যেদিন তাঁর মেয়ে তাঁর সঙ্গে যাবার জন্য তৈরী হয়েছিলো, তিনি নিয়েছিলেন ভারতীয় বর মেয়েটির বিয়ের অনুসঙ্গাদি বিয়ের বর ভারতীয়। কল্পনা করি, সেই বাবাটির কণ্ঠ কেমন বাষ্পরুদ্ধ হয়ে এসেছিল তাঁর সুসজ্জিতা, বয়ঃপ্রাপ্ত মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ক’দিন পরই যার বিয়ে হবে, অনুভব করি তাকে বিদায় দিতে হবে এই ভাবনার বেদনা কেমন ছিল, বিশেষ করে যখন তার নতুন সংসার হবে সীমান্তের ওপারে। কল্পনায় দেখি ফেলানীর বাবার স্মৃতিগুলো, তাঁর ছোট্ট মেয়েটির শৈশব, তাঁর সংগ্রাম, স্বপ্ন, প্রার্থনা আদরের মেয়েটিকে ঘিরে, যে যত বড়ই হোক বাবার চোখে সব সময় থেকে যায় বড় বড় চোখ মেলে তাকিয়ে থাকা সাত বছরের ছোট্ট মেয়েটি। একজন বাবার মাথায় মাঝে মধ্যে আসা চিন্তাটি আমি জানি “ আমার যৌবনে আমি যে বড় বড় স্বপ্নগুলো দেখতাম সেগুলো কখনো সত্য হয়নি, কিন্তু আমি পেয়েছি এই চমৎকার সন্তান। স্বপ্নের বিনিময়ে সন্তান বিনিময়টি যদি এই হয়ে থাকে তবে দরাদরিতে আমি সবচে’ ভালোটাই পেয়েছি।” একজন বাবার সেই স্মৃতি আমি জানি- দশ বছর বয়স্ক মেয়েটি তার নরম হাতে শক্ত করে ধরে রেখেছে বাবাটির শক্ত, রুক্ষ হাত, আঙুলের উষ্ণতায় বাবার সুরক্ষাদানকারী দৃঢ়তায় তরঙ্গায়িত করে আপনার পরম বিশ্বাস। ঈশ্বর যেন তাকে সন্তানের এই বিশ্বাসের যোগ্য করে তোলেন প্রত্যেক বাবার এই গোপন প্রার্থনাটি আমি জানি। সীমান্তের কাটাতারে ঝুলন্ত মেয়েটির সেই লোমহর্ষক ছবিটি আমরা দেখেছি, কিন্তু আমি দেখি সেই বাবাটিকে যে তার সঙ্গে ছিলো পনেরটি বছর, তার চুলে চিরুনির প্রত্যেকটি আঁচড়ের সময়, প্রত্যেকটি দুধের দাঁত নড়ার সময়। যিনি দুশ্চিন্তা করতেন, স্বপ্ন দেখতেন তাঁর মেয়েটির আরো নিরাপদ, আরো সুখী জীবনের।
আমি জানিনা ফেলানীর বাবা ধনী না দরিদ্র ছিলেন, অথবা তাঁর মেয়ের কতটা নিরাপত্তা তিনি দিয়েছিলেন। আমি শুধু জানি তাঁর সমস্ত সাংসারিক সংগ্রাম, ভালবাসা আর ভাবনা মুছে গেছে একটি মাত্র নৃশংসতায়। আমি এখন শুধু জানি, আমার এই দূরের ভাইটি যখন কাজ শেষে ঘরে ফেরেন, তাঁর ছোট্ট মেয়ের হাতটির অভাব তাঁকে মনে করিয়ে দেয় এই নিষ্ঠুর উদাস পৃথিবীর কাছ থেকে তাঁর দৃঢ়তায় আশ্বস্ত ছোট্ট দেবদূতটির সুরক্ষায় তিনি যথেষ্ট শক্তিমান ছিলেন না।
ফ্র্যাঙ্ক ডোমিনেকো কিপ্রিয়ানি
-----------------------------------------------------------------------------
লেখক, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কিছু কথা
আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন গত ২৯ মে নিউইয়র্কে এক সভায় বলেছেন, “বিএসএফের হাতে নিহত ফেলানী বাংলাদেশি নয়। তারা ভারতীয়। তারপরও সরকার পরিবারটির জন্য অনেক কিছু করেছে। আমি নিজে তাদের বাড়িতে গিয়েছি।” ফেলানীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেলানী হত্যার প্রতিবাদের দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন ফেলানীকে ভারতীয় অভিহিত করে আর ভিনদেশি এক পিতা গত ২৫ জানুয়ারি ভারতকে লেখা তাঁর খোলা চিঠিতে লিখছেন “আমার পনের বছর বয়স্ক একটি মেয়ে আছে। তাই ফেলানীর বাবার সাথে আমি আমার হৃদয়ের একটি সম্বন্ধ টের পাই, তাই আমি নীরব থেকে এই সম্পর্কের দায়মুক্ত হতে পারি না। আমার প্রতিবাদ করা উচিত, এবং হয়তোবা প্রতিবাদ করে যাওয়া উচিত। যতদিন পর্যন্ত না এই নির্বিকার নরহত্যা ভারতের ইতিহাসের দূর্ভাগ্যজনক অধ্যায়ে পরিণত হবে। ...যিনি একটি শিশুর পিতা তিনি সকল শিশুর পিতা। বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরাও আমারই ছেলে, আমারই মেয়ে।”
অবশ্য এ কথা সত্যি, একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালীদের দলগত মনোনয়নে ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ আর একজন পিতা আন্তরিক ভাবেই পিতা।
আমেরিকান এই পিতার নাম ফ্র্যাঙ্ক ডোমিনেকো কিপ্রিয়ানি। বর্তমানে বসবাস করেন নিউজার্সিতে। তিনি Gatherer Institute নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ভালবাসেন গল্প শুনতে, বলতে। এ বছর জুনের ১ তারিখ প্রকাশিত ‘Learning Little Hawk’s Way of Storytelling’ নামে তাঁর সর্বশেষ বইটির বিষয় ও গল্পবলা। তাঁর প্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর নাম আজম খান।
একটি বিদেশী ওয়েবসাইট অবলম্বনে লেখাটির অনুবাদ ও লেখা শেষের ভূমিকা : শোয়েবুল করিম
Sourch : http://anadikalpa.info/archives/269
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭