নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর পরিবারের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী
----------------------------------------- ড. রমিত আজাদ
নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর বংশধরদের সম্পর্কে ইতিপূর্বেও কয়েকবার লিখেছি এই ব্লগে। আজ নবাব সিরাজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রীর একটি ছবিব্লগ উপস্থাপন করছি।
সামগ্রীগুলো নবাব সিরাজউদ্দৌলার অষ্টম বংশধর জনাব সৈয়দ গোলাম মোস্তফা ও নবম বংশধর নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা-র সংগ্রহে রয়েছে।
নবাব সিরাজের পালিত একটি হরিণের অজিন
নবাব সিরাজের পালিত ঐ হরিণটির মাথা
পলাশীর ট্রাজেডীর পর ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দী ছিলেন নবাবের প্রিয়তমা স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নিসা। বন্দীশালায় এই পেয়ালাটায় তিনি পানি পান করতেন।
নবাবের একমাত্র কন্যা উম্মে যোহরা এই প্রসাধন মর্টারটি ব্যবহার করতেন
এই সীল মোহরটি ব্যবহার করতেন বেগম লুৎফুন্নিসা
নবাব সিরাজের বংশধরেরা দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছিলেন। এই সংবাদ ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহর কর্ণগোচর করা হলে তিনি তদানিন্তন সরকারকে সুপারিশ করেন সিরাজউদ্দৌলার ষষ্ঠ বংশধর সৈয়দ জাকি রেজাকে একটি সম্মানজনক চাকুরী দেয়ার জন্য। চিঠিটির একটি অনুলিপি
সৈয়দ জাকি রেজাকে একটি সম্মানজনক চাকুরী দেয়ার জন্য আরো একটি সুপারিশপত্র
সিরাউদ্দৌলার সপ্তম বংশধর সৈয়দ গোলাম মুর্তজাকে দেয়া একটি সুপারিশপত্র
ঢাকার লেকসিটি কনকর্ড-এর এই ভবনটির একটি এ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন নবাব সিরাজের অষ্টম ও নবম বংশধর
নবাব সিরাজউদ্দৌলার নবম বংশধর নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা
নবাব সিরাজউদ্দৌলার অষ্টম ও নবম বংশধর-দের সাথে লেখক
নবাব সিরাজের বংশধরদের কালেকশনে খুব কমই আছে! ইংরেজরা নবাব সিরাজ-এর জীবনই শুধু কেড়ে নেয়নি, তার সকল স্মৃতি চিহ্নই মুঁছে দিতে চেয়েছিলো। ইংরেজরা নবাবের অনেক স্মৃতি চিহ্নই পুঁড়িয়ে ফেলেছে। নবাবের বিশ্বস্ত কিছু দেশপ্রেমিক কর্মচারী অনেক কষ্টে লুকিয়ে লুকিয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন সামান্য কিছু। পরবর্তিতে সেই কর্মচারীরা সেই সব স্মৃতি চিহ্ন নবাবের বংশধরদের হাতে তুলে দেন। তারপরেও অনেক কিছুই রয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। ১৯৪৭ সালে নবাব সিরাজের সপ্তম বংশধর সৈয়দ গোলাম মুর্তজা সেইগুলো মুর্শিদাবাদ থেকে পূর্ব বাংলায় আনতে গেলে তা আটকে দেয় ভারত সরকার। অতি সামান্য কিছু নিদর্শনই তিনি সাথে আনতে পেরেছিলেন। সেইগুলো পরম মমতায় আগলে রেখেছেন নবাব সিরাজের বংশধরেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১