একজন বীরপুরুষ দেখতে কেমন? অথবা একজন বাস্তব জীবনের নায়ক দেখতে কার মতো হয়???
তারা কি আমাদের সিনেমার নায়ক টম ক্রুজ, সালমান, আমিরের মতো সুন্দর চেহারা কিম্বা তাদের মতো মাসলম্যান অথাবা পোশাকে কেতাদুরস্ত হয়??
উত্তর সবসময় 'হ্যা' না হবার সম্ভাবনাই বেশী। তবে তারা যেখানে অন্যরকম তা প্রকাশ করার সুযোগ হয় না। অথবা তারা তা প্রকাশ করতেও চান না। মনের দিক থেকে, চিন্তার দিক থেকে তারা অনেক উন্নত। আর এজন্যেই তারা হিরো!! বীরপুরুষ। আমরা তাদের মনে রাখি কিম্বা নাই বা রাখি, তাদের বীরত্বকথা ইতিহাসের কোথাও না কোথাও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রবেই।
একজন বাদল দেখিয়ে দিয়েছে, প্রমান দিচ্ছে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও এর লোক বাদল মিয়া চাকুরী করেন বাংলাদের রেলওয়েতে ট্যাকনিকাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে। গত কাল কূড়িল বিশ্বরোড রেল ক্রসিং এ দায়িত্বপালন করছিলেন। এই রেল ক্রসিং হলো এক সাক্ষাত মৃত্যু ফাঁদ। দুদিকেই কার্ভ হওয়াতে রেলগাড়ি খুব কাছে না আসা পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না। ওভার ব্রিজ থাকার পরেও মানুষ কষ্ট বাঁচাতে অসেচতনতার প্রমান দিয়ে নীচ দিয়ে রেললাইন এর উপর দিয়েই পার হয়ে যায়।
সেদিন রেলগাড়ি আসছে, এক মা তার সন্তানকে নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করছিলো। রেলগাড়ি খুব কাছে চলে এসেছে। কেউ একজন লাইনের মাঝে পরে যাওয়া মাকে টান দিয়ে সড়িয়ে নিয়েছে কিন্তু মার হাত থেকে তার বাচ্চার হাত ছুটে যাওয়ায় শিশুটি রেললাইনের উপরেই দাঁড়িয়ে ছিলো। খুব কাছে থাকা এই বাদল বাদলের মতোই ছুটে এসে শিশুটিকে রেললাইন পাড় করিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু!!!
বাদল পারেননি নিজেকে রেললাইন থেকে সড়িয়ে নিতে! শিশুটিকে বাঁচিয়ে দিয়ে বাদল নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন রেলগাড়ির নীচে।
রেলের লোহার চাকা হয়তো পেরেছে এক বাদলকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে কিন্তু এই কঠিন চাকাও কি পেরেছে একজন সত্যিকার মানুষের হৃদয়কে হারিয়ে দিতে? এই ছোট্ট নরম হৃদয় আবারো প্রমান করলো মানুষের অসাধ্য কিচ্ছু নেই। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েও বাচিয়ে গেলো ছোট্ট এক অবুঝ শিশুকে।
তার কিছুটা আধোয়া শার্ট অথবা চোখের সস্তা সানগ্লাস আর যাই বলুক! কখনো পারবেনা হারিয়ে দিতে ভিতরে থাকা বিশাল মানুষটাকে। চেহারা, মাসল কিম্বা পোশাক কোনটাই দরকার নেই হিরো হবার জন্য। দরকার একটা সাহসী মন।
তার পরিবার, পাঁচ ছেলে তিন মেয়ের কি হবে এখন? আশাকরি সরকার তাদের সুবন্দোবস্ত করবে।
বাদল আপনিই বাংলার হিরো, আপনাকে নিয়ে সিনেমা নাই বা হলো আপনি নিজেই এক সিনেমা হয়েই রবেন।
তারা কি আমাদের সিনেমার নায়ক টম ক্রুজ, সালমান, আমিরের মতো সুন্দর চেহারা কিম্বা তাদের মতো মাসলম্যান অথাবা পোশাকে কেতাদুরস্ত হয়??
উত্তর সবসময় 'হ্যা' না হবার সম্ভাবনাই বেশী। তবে তারা যেখানে অন্যরকম তা প্রকাশ করার সুযোগ হয় না। অথবা তারা তা প্রকাশ করতেও চান না। মনের দিক থেকে, চিন্তার দিক থেকে তারা অনেক উন্নত। আর এজন্যেই তারা হিরো!! বীরপুরুষ। আমরা তাদের মনে রাখি কিম্বা নাই বা রাখি, তাদের বীরত্বকথা ইতিহাসের কোথাও না কোথাও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রবেই।
একজন বাদল দেখিয়ে দিয়েছে, প্রমান দিচ্ছে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও এর লোক বাদল মিয়া চাকুরী করেন বাংলাদের রেলওয়েতে ট্যাকনিকাল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে। গত কাল কূড়িল বিশ্বরোড রেল ক্রসিং এ দায়িত্বপালন করছিলেন। এই রেল ক্রসিং হলো এক সাক্ষাত মৃত্যু ফাঁদ। দুদিকেই কার্ভ হওয়াতে রেলগাড়ি খুব কাছে না আসা পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না। ওভার ব্রিজ থাকার পরেও মানুষ কষ্ট বাঁচাতে অসেচতনতার প্রমান দিয়ে নীচ দিয়ে রেললাইন এর উপর দিয়েই পার হয়ে যায়।
সেদিন রেলগাড়ি আসছে, এক মা তার সন্তানকে নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করছিলো। রেলগাড়ি খুব কাছে চলে এসেছে। কেউ একজন লাইনের মাঝে পরে যাওয়া মাকে টান দিয়ে সড়িয়ে নিয়েছে কিন্তু মার হাত থেকে তার বাচ্চার হাত ছুটে যাওয়ায় শিশুটি রেললাইনের উপরেই দাঁড়িয়ে ছিলো। খুব কাছে থাকা এই বাদল বাদলের মতোই ছুটে এসে শিশুটিকে রেললাইন পাড় করিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু!!!
বাদল পারেননি নিজেকে রেললাইন থেকে সড়িয়ে নিতে! শিশুটিকে বাঁচিয়ে দিয়ে বাদল নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন রেলগাড়ির নীচে।
রেলের লোহার চাকা হয়তো পেরেছে এক বাদলকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে কিন্তু এই লোহার চাকাও কি পেরেছে একজন সত্যিকার মানুষের হৃদয়কে হারিয়ে দিতে? এই ছোট্ট নরম হৃদয় আবারো প্রমান করলো মানুষের অসাধ্য কিচ্ছু নেই। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েও বাচিয়ে গেলো ছোট্ট এক অবুঝ শিশুকে।
তার কিছুটা আধোয়া শার্ট অথবা চোখের সস্তা সানগ্লাস আর যাই বলুক! কখনো পারবেনা হারিয়ে দিতে ভিতরে থাকা বিশাল মানুষটাকে। চেহারা, মাসল কিম্বা পোশাক কোনটাই দরকার নেই হিরো হবার জন্য। দরকার একটা সাহসী মন।
তার পরিবার, পাঁচ ছেলে তিন মেয়ের কি হবে এখন? আশাকরি সরকার তাদের সুবন্দোবস্ত করবে।
বাদল আপনিই বাংলার হিরো, আপনাকে নিয়ে সিনেমা নাই বা হলো আপনি নিজেই এক সিনেমা হয়েই রবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪