৯০ শতাংশ মানুষ চালু করা সিম কেনে। আর কোন সিম রেজিস্ট্রেশন চাড়া চালু হয় না। সিমের কাগজপত্র অফিসে জমা হলে যথাযথ অনুসন্ধানের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চালু করা হয়। তার মনে সচল সিম যেটা কিনছেন, সেটা কারও না কারও নামে রেজিস্ট্রেশন করা...
- আপনার মোবাইল ফোন হারিয়ে গেল এবং একাউন্টে ৫০০০ টাকা রয়েছে (প্রি-পেইড সিমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা রাখা যায়)।
- আপনার সিমে বিকাশ খোলা আছে এবং বিকাশ একাউন্টে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। (বিকাশ একাউন্টে সর্বোচ্চ এ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাখা যায়)।
- আপনার সিমে অনেক ভি.আই.পি মানুষের নাম্বার থাকতে পারে। আপনার অফিসের এম.ডি, মন্ত্রী লেভেলের লোকজন অথবা গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। যে চুরি করেছে সে সেসব নাম্বারে কল করে তাঁদেরকে খারাপ কথা বলা ও হুমকিধামকি করতে লাগল এবং টাকা দাবী করতে লাগল।
- আপনার একাউন্টে ৫০০০ টাকা রয়েছে আপনি ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে আরেকটি নাম্বারে পাঠাবেন, কিন্তু রেজিস্ট্রেশন তথ্য জানেন না।
- আপনার সিমের সমস্যা হল, ভেঙে গেল বা সিম অকেজো হল, আপনি রিপ্লেস করাতে গেলেন কিন্তু আপনার সিম আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা নাই। করা আছে দোকানদারের নামে।
হারিয়ে যাবার পর আপনি হেল্পলাইলে কল করলেন সিমটা বন্ধ করে দেয়ার জন্য। আপনাকে সুন্দরভাবে জিগ্যেস করা হল; "স্যার/ম্যাডাম দয়াকরে কি বলবেন আপনার সিমটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে?" আপনি বললেন জানি না। কাষ্টমার ম্যানেজার বললেন; "দয়াকরে সঠিক তথ্য জেনে ফোন করুন" আর আপনি তার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়লেন। আর ঐদিকে আপনার সিম থেকে ওলরেডি চোর টাকা ট্রান্সফার করা শুরু করে দিয়েছে। আপনি রেজিস্ট্রেশন তথ্য ছাড়া সিম বন্ধ/রিপ্লেসও করাতে পারবেন না।
ক্ষতি কার হল? তারানা হালিমের নাকি আপনার? আর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রি-রেজিস্ট্রেশন কেন প্রয়োজন জানেন? কারণ আপনার আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ ঐ সিম রিপ্লেস করাতে পারবেন না।
এখন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে আপনি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিস্ট্রেশন করবেন নাকি করবেন না?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪