আজকের মুভি রিভিউটি একটু অন্য ভাবে শুরু করি।অন্যভাবে করার কারণও আছে সিনেমাটি যে নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর পরিচালনায়।শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তার তৈরী সব সিনেমাতেই তার পরিচ্ছন্ন পরিচালকের খ্যাতি টা ধরে রেখেছেন।এই সিনেমাটিও এর ব্যাতিক্রম নয়।
সিনেমাটি তে নেই কোন বর্তমান বড় সুপারস্টার নায়ক নায়িকা। নেই নাচ গান,আইটেম সং ও।তবুও সিনেমাটি হলে চলেছে টানা ১৮ সপ্তাহ।কলকাতায় ২০১৫ এর সবচেয়ে হিট সিনেমা এটি।
সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায় এবং সতীলেখা সেনগুপ্ত।সৌমিত্র আর সতীলেখা একসাথে প্রায় ১৭ বছর পর অভিনয় করলেন।
সিনেমার গল্পে ফেরা যাক,
৪৯ বছর সংসার করে ঘরের কর্তা হঠাৎ ডিভোর্স এর সিদ্ধান্ত নেন।প্রথমে বাড়ির কর্তী ভাবেন পুজোয় সব ছেলেমেয়েকে এক করার জন্য কর্তা এই ফন্দি এটেছেন।কিন্তু তার ধারণা ভুল।কর্তা সত্যি সত্যিই ডিভোর্স চেয়ে বসেন। এর ফলে পারিবারিক এবং সামাজিক কি প্রতিক্রিয়া হয় এটা নিয়েই গল্প।তবে ভিতরের গল্প ছিল আরো আবেগী এবং হৃদয়ছোয়া।যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।খুব বেশি ভালো লাগার মত একটা সিনেমা।
অনেক বছর ম্যারেজ লাইফ লীড করার পরে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন আসতে পারে যে এতদিন কি দুজনার মধ্যে ভালবাসা ছিল নাকি শুধুই অভ্যাসবসত এক সাথে থাকা? এই প্রশ্নের সুন্দর একটা জবাব এই সিনেমাটা।সিনেমার ডায়লগ গুলোই এই সিনেমার প্রাণ।
সৌমিত্র চট্রোপাধ্যায় আর সতীলেখা সেনগুপ্তের অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নেই। এককথায় বলতে গেলে অসাধারণ।বলা যায় সৌমিত্র-সতীলেখা ডিরেক্টরের “লাকি কাস্ট”।সৌমিত্র-সতীলেখার সাবলীল অভিনয়ই ছবিকে পরিপূর্ণ করেছে।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে পারেন এই সিনেমাটি।এটি সামাজিক ঘরনার ছবি।সিনেমাটি দেখে চোখের কোণে যদি চিলতে জল জমে তবে অবাক হবেন না………
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০২