ইতিহাসে প্রধানত হাইলাইট করা হয় নায়ক, মহানায়ক, রাজা, হিরোদের। সাধারন মানুষেরদের বিস্তারিত এখানে খুবই কম থাকে, থাকার জায়গা নাই বলেই। আবার আমরা সাধারনরাও পরবর্তিতে সেই ইতিহাসের হাইলাইট করা নায়কদের নিয়েই চিন্তা বা তর্কে লিপ্ত থাকি বেশীরভাগ সময়। ঐসব তর্কের বা চিন্তার বাস্তব প্রয়োগ আমাদের জীবনে তেমন দরকার নাই। আমাদের বরং জানা দরকার সেই সব সাধারন মানুষদের জীবনের কথা যারা বানিয়েছিল ইতিহাসের এক একজন নায়ক বা মহানায়কদের। আমাদের জানা দরকার ১৭৫৭ সালে যখন মীরজাফর পাল্টি দিল, সিরাজুদ্দৌলা হারল আর বৃটিশরা এইদেশকে গোলাম বানাল তখন সাধারন মানুষ কি ভাবছিলো বা করছিলো। আামাদের জানা দরকার ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এই দেশের সাধারন মানুষ কিভাবে ভাষা রক্ষা, স্বাধীনতাসহ এতসব মহান অর্জন করেছিলো।
ইতিহাস হতে আমরা পাই বংগবন্ধু কথা, ভাষানীর কথা, এমন কি জিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের বাংগালী বীরদের কথা। আমরা তর্ক করে যাই কে, কখন স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলো, কিন্তু আমরা ভুলে যাই তখনকার সাধারন মানুষদের কথা, লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার কথা, যে কেন বা কিভাবে তাহারা একটা ঘোষনা বা ভাষনের আগে বা পরে এত আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো। কি ছিলো তখনকার মানুষদের মনে, কি চিন্তা করত তাহারা। এই দেশের ছাত্রসমাজ কেন তখন এত সচেতন ছিলো নিজেদের অধিকারের প্রতি। আমার মতে যেহেতু, এই ভুখন্ডের মানুষ তাদের শ্রেষ্ঠতম অর্জন করেছিলো ৪৭ থেকে ৭১ এই পিরিয়ডে, সেহেতু এই জেনারেশানের সাধারন মানুষদের নিয়ে আমাদের বিস্তারিত জানা উচিত। ইতিহাসে এত বিস্তারিত কথা লেখা হয়না সাধারন মানুষদের নিয়ে। কিন্ত আজকের সাধারন মানুষদের সেটা জানাই বেশী জরুরী। কারন সাধারন মানুষই ইতিহাসের চালিকা শক্তি। তাহারাই নায়ক, মহানায়ক বানায়, আবার ব্যার্থ করে দেয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭