প্রতিবেশী দেশের কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে যে কয়টা নাম মনে আসে তার মধ্যে দার্জিলিং অন্যতম।
সম্প্রতি ভ্রমণপ্রেমী ব্যবসায়ী তাহিদুল ইসলাম দার্জিলিং ঘুরে এসেছেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন দার্জিলিং ঘোরার খুটিনাটি।
যাতায়াত
দুইপথে যেতে পারেন দার্জিলিং। আকাশপথ কিংবা সড়কপথ।
উড়ে যেতে চাইলে প্রথমে ঢাকা থেকে যেতে হবে কলকাতায়। জেট এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ বিমান ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এই সেবা দিয়ে থাকে, এই সময়ে খরচ পড়বে ১১ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা। কলকাতা থেকে আবার বাস, ট্রেন বা বিমানে যেতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে জিপে যেতে হবে দার্জিলিং। সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘন্টা।
ভাড়া পড়বে ১৪০ রুপি বা ১৬০ টাকা।
তবে সড়কপথে একটু সময় বেশি লাগলেও ধকলটা পুষিয়ে যাবে খরচের দিক দিয়ে। ঢাকা থেকে কলকাতা ও ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য জেলায় যাওয়ার সেবা দেয় কয়েকটি পরিবহন প্রতিষ্ঠান। তবে সরাসরি শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাওয়ার সেবা দেয় শুধু শ্যামলী পরিবহন।
বাসগুলো যাত্রা শুরু করে ঢাকার কল্যানপুর ও কলাবাগান থেকে। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ির টিকিটের দাম ১ হাজার ৬শ' টাকা। বর্ডার পার হওয়ার সময় ভ্রমণকর হিসেবে দিতে হবে অতিরিক্ত ৩শ' টাকা। এছাড়া চাকুরিজীবীদের বর্ডার পার হতে দেখাতে হবে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ‘নো অবলিগেশন সার্টিফিকেট’।
থাকা
যেহেতু পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত, তাই দার্জিলিংয়ে থাকার জায়গার কমতি নেই। এর মধ্যে বেলভিউ, সাগরিকা, সোনার বাংলা, মহাকাল হোটেলগুলোই ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়।
মাঝারি মানের হোটেলগুলোয় প্রতিটি সিঙ্গেল রুমের এক দিনের ভাড়া পড়বে প্রায় ১ হাজার রুপি। ডাবল রুম হলে আসবে ১ হাজার ২শ' রুপি। তিন বেডের রুমও আছে, ভাড়া দিন প্রতি ১ হাজার ৫শ' রুপি। তবে আরও ভালোমানের হোটেল চাইলে রুমভেদে গুনতে হবে ১ হাজার ৮শ' থেকে ২ হাজার ৫শ' রুপি পর্যন্ত। এক রুমে কতজন থাকবেন তা নিয়ে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই হোটেলগুলোতে।
খাওয়া দাওয়া
ভোজনরসিকদের জন্য বেশ উপযোগী ও সাশ্রয়ী স্থান দার্জিলিং। ভারতীয় খাবারের সবকিছুই পাবেন এখানে। রেস্তোরাঁয় বসে খেলে খরচটা বেশি। তবে 'স্ট্রিট ফুড'ও খারাপ নয়। অসংখ্য খাবারের মধ্যে চিকেন মোমো, পানি ফুচকা, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি, চিকেন ও মাটন নুডুলস ইত্যাদি সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়। চিকেন মম খেতে লাগবে ৩০ রুপি। পানি ফুচকা ১০ রুপি থেকে ২০ রুপি। আর হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ৮০ থেকে ১২০ রুপি।
সব রেস্তোরাঁতেই নুডুলস পাওয়া গেলেও, পেট পুরে খেতে চাইলে যেতে হবে ম্যাল'য়ে। রেস্তোরাঁর তুলনায় এখানে নুডুলসের দামটা যেমন কম, পরিমাণেও বেশি দেয়।
চা খেতে রেস্তোরাঁয় বসার চাইতে রাস্তার পাশের চায়ের দোকানগুলোতে ঢোকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আর চা-পাতা কিনতে হলে অবশ্যই ম্যাল থেকে কিনতে হবে।
ঘোরাঘুরি
দার্জিলিং ঘুরতে যানবাহনের অভাব হবে না। প্রত্যেক হোটেলের সামনেই পাবেন গাড়িসহ ট্যুর গাইড। যে কোনো তথ্য বা দিক নির্দেশনার জন্য আছে পর্যটন অফিস। দল ভারি হলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে ফেলতে পারেন। গাড়ি ভাড়ার চুক্তি হবে কয়টি স্থান ঘুরবেন সেই হিসেবে। তবে দল ছোট হলে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজেও ঢুকে পড়তে পারেন।
কাছাকাছি দেখার মতো জায়গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ম্যাল, টাইগার হিল, চা বাগান, জাপানিজ টেম্পল, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি। এছাড়াও আছে নর্থ পয়েন্ট থেকে সিঙ্ঘা পর্যন্ত কেবল-কার। চড়তে লাগবে জনপ্রতি ১২০ রুপি।
দূরে কোথাও যেতে চাইলে আছে গঙ্গার পাড়, মায়া লেইক, মিরিক লেইক, রক গার্ডেন কিংবা জামুনিতে। এছাড়াও তিস্তার বুকে র্যার্ফ্টিংও করতে পারবেন।
দার্জিলিং বেড়ানো কিভাবে কখন কত খরচ হবে?
5 months ago by পান্থ বিহোস 0
দার্জিলিং কিভাবে যাবেন?
রাতে শ্যামলী বাসে যাত্রা করে ভোরে বুড়িমারি সীমান্তে। নাস্তা আর ইমিগ্রেশনের সব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০/১১টা বেজে যাবে। ওপারে চ্যাংড়াবান্দায় ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সেরে শ্যামলীর বাসে শিলিগুড়ি। টাকা বা ডলার সরকার অনুমোদিত ডিলারের কাছে রুপিতে পরিবর্তন করুন। অন্যথায় পরবর্তী ভাঙাতে সমস্যা হতে পারে।
চ্যাংড়াবান্দা থেকে ময়নাগুড়ির বাসে দেড় ঘণ্টায় শিলিগুড়ি জিপ স্টেশনে। সেখান থেকে দার্জিলিংগামী টাটা সুমো বা কমান্ডার জিপের টিকিট সংগ্রহ করে আড়াই ঘণ্টায় দার্জিলিং। কলকাতা শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দার্জিলিং মেল। টিকিট নেবেন ট্যুরিস্টদের জন্য নির্ধারিত কাউন্টার ফেয়ারলি প্যালেস থেকে। পরদিন সকাল ১০টায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। এখান থেকে রিকশায় শিলিগুড়ি জিপ স্টেশন। কলকাতা থেকে বিকাল ৪টা বা সন্ধ্যা ৬/৭ টায় পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন ছেড়ে, সকালে পৌঁছায়। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে।
দার্জিলিং কোথায় থাকবেন?
দার্জিলিং শহরে সব মানের হোটেল আছে। গচ্ছা দিতে না চাইলে দালাল এড়িয়ে নিজে হোটেল ঠিক করুন। তবে ঠিক করার আগে জেনে নিন গরম পানি আর রুম হিটারের ব্যবস্থা আর বেড়ানোর জন্য জিপসহ তাৎক্ষণিক সেবা সম্পর্কে।
দার্জিলিংয়ে খাবার-দাবার
হোটেলে বাঙালি খাবারসহ সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া ভোরবেলায় বেড-টি এবং ডিনারের আগে ইভনিং-টির ব্যবস্থা থাকে।
darjeeling-in-india
দার্জিলিংয়ে কোথায় বেড়াবেন?
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন ঘুম।
সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়া থেকে অপূর্ব সূর্যোদয় দেখা।
খুব ভোরে ৮ হাজার ৩’শ ফুট উঁচু টাইগার হিল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় চূড়ায় সূর্যোদয়ের অসাধারণ দৃশ্য।
পৃথিবীর বিখ্যাত প্রার্থনা স্থান ঘুম মোনাস্ট্রি।
ছবির মতো সুন্দর স্মৃতিসৌধ বাতাসিয়া লুপ।
বিলুপ্ত-প্রায় পাহাড়ি বাঘ ঝহড়ি খঁঢ়ধৎফ খ্যাত দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
পাহাড়ে অভিযান শিক্ষাকেন্দ্র হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট। সর্বপ্রথম এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং-রক- এর স্মৃতিস্তম্ভ।
কেবল কারে ১৬ কিমিটার এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণ।
হ্যাপি ভ্যালি টি গার্ডেনে পৃথিবী খ্যাত ব্ল্যাক টি পানের অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেলপ্ সেন্টার।
প্রায় ৮’শ ফুট উঁচুতে দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম।
নেপালি জাতির স্বাক্ষর বহনকারী দার্জিলিং মিউজিয়াম।
পৃথিবীর বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার জাপানিজ টেম্পল,
ব্রিটিশ আমলের সরকারি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কাউন্সিল হাউস লাল কুঠির অসাধারণ শৈল্পিক নিদর্শন খ্যাত আভা আর্ট গ্যালারি।
শতবর্ষের প্রাচীন মন্দির দিরদাহাম টেম্পল।
পাথর কেটে তৈরি রক গার্ডেন এবং গঙ্গামায়া পার্ক।
হিমালয় কন্যা কাঞ্চন-জংঘা, পানির অবিরাম ঝর্ণাধারা ভিক্টোরিয়া ফলস্ এবং সুসভ্য জাতির সংস্কৃতি।
দার্জিলিংয়ে কেনাকাটা
দার্জিলিং শহরের লাডেন-লা রোডের মার্কেটে ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে শীতের পোশাক, হাতমোজা, কানটুপি, মাফলার, সোয়েটারসহ লেদার জ্যাকেট, নেপালি শাল এবং শাড়ি, অ্যান্টিক্স ও গিফট আইটেম, লেদার সু, সানগ্লাস। প্রতারনার শংকা নেই। তবে ভ্রাম্যমাণ ফেরি থেকে শাল, শাড়ি না কেনাই ভাল। যেতে বা আসতে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট থেকেও কেনাকাটা করা যায়।
দার্জিলিংয়ে ভ্রমণের সময়
শীতের শুরু বা শেষের দিকে দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য ভালো। দার্জিলিং এ পাহাড়ি ধস নামে বর্ষা মৌসুমে। শীত বা গরমে সে ঝুঁকি নেই। ঠাণ্ডার এড়াতে গরম কাপড় নেয়া জরুরি। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে চলাফেরা করলে দালাল বা হারিয়ে যাওয়ার শংকা থাকে না।
দার্জিলিংয়ে বেড়ানোর মোট খরচ
ঢাকা থেকে দার্জিলিং থাকা, খাওয়া, যাতায়াত বাবদ প্রতিজনে সর্বোচ্চ খরচ ১৫ হাজার টাকা হতে পারে । বুড়িমারি দিয়ে খরচ কম। কলকাতার হয়ে গেলে খরচটা বাড়বে। ট্যুরিজম কোম্পানি প্যাকেজ ট্যুর করে থাকে।
দার্জিলিংয়ের আশপাশে
দার্জিলিং থেকে মিরিক লেক ও নেপালের পশুপতি মার্কেট জিপে ঘুরে আসুন সকাল ৯টা-বিকাল ৫টার মধ্যে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনে কার্শিয়াংয়ে থাকার পরে শিলিগুড়ি। যাত্রার দিন থেকে ৫ দিনেই ঘুরে আসতে পারেন। ভারতীয় ভিসার আবেদনপত্র পূরণের সময় স্থলবন্দরের নাম উল্লেখ করা হল:
Tags: দার্জিলিং বেড়ানো, ফিচার
পান্থ বিহোস
ভালো লাগে জীবন আর ভালো লাগে জীবন আর ভালো লাগে জীবন। খুব ইচ্ছে একদিন পৃথিবীর পরিধি পরিভ্রমণ করে ফিরে আসি আমার এই সোনার দেশে। হয়তো কোনো একদিন বেরিয়ে পড়বো..
স্বপ্নের শহর যেমন হয় দার্জিলিং যেন ঠিক সেইরকম। ভারতের দার্জিলিং শহরটি পুরোটায় পাহাড়ের ওপরে। বাংলাদেশে যখন শীত পড়তে শুরু করে তখন দর্জিলিংয়ে বরফ পড়ে। আকাশের খুব কাছে দার্জিলিং শহর। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের উপর উঠলে মনে হয় মেঘের দেশে চলে এসেছি। মেঘ নিজে এসে ধরা দেয়। দেশের বাইরে ভ্রমণকরতে চাইলে অপরূপ এই দার্জিলিং দেখতে যাওয়া যায়।
কিভাবে যাবেন: দার্জিলিং ভ্রমনের জন্য প্রথমেই আপনাকে ভারতের ভিসা করতে হবে। এবার টাকা ডলার করে নিন। দার্জিলিং যেতে হলে বাংলাদেশের বুড়িমারি বর্ডার হয়ে যেতে হবে। সড়ক পথে যেতে বাসের টিকেট করে নিন ঢাকারশ্যামলী অথবা গাবতলী থেকে। এই দুই জায়গা থেকে বুড়িমারির গাড়ি পাবেন। বাস ছাড়ে রাত ৮টার পর থেকে। ভোরে গিয়ে নামবেন বুড়িমারি বর্ডারে। নেমে হালকা নাস্তা করে নিতে পারেন। নাস্তা করার পর বাংলাদেশ বর্ডারে অফিসিয়াল কাজ সেরে ইন্ডিয়া চেংরাবান্ধা বর্ডারে গিয়ে একই ভাবে অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করুন এবং আপনার সাথে থাকা লাগেজগুলো চেক করার জন্য দিন।
darjelling_city
অফিসিয়াল কাজ শেষ হওয়ার পরে ডলার ভাঙ্গিয়ে ভারতীয় রুপি করে নিন কারণ ভারতে আপনার রুপি লাগবে। ডলার ভাঙ্গানোর পরে আপনার গন্তব্য দার্জিলিং ।
তাছাড়া ইচ্ছা করলে প্রথমে শিলিগুড়ি ঘুরে তারপর দার্জিলিং যেতে পারেন। দার্জিলিং যাওয়ার জন্য আপনাকে জিপে অথবা বাসে যেতে হবে। ৫-৭ জন হলে জিপে যাওয়াটাই ভালো। আবার বাসে যেতে চাইলে চেংরাবান্ধা মেইন রোডে যেতে হবে ভ্যান দিয়ে। মেইন রোডে গিয়ে বাসে করে ময়নাগুড়ি যেতে হবে । শিলিগুড়ি নেমে চাইলে কিছু খেয়ে নিতে পারেন। ১১-১২ টার মধ্যে শিলিগুড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন। আপনি চাইলে দু’এক দিন শিলিগুড়িতে থেকেও যেতে পারেন। কেনাকাটা করার জন্যে ভালো জায়গা শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং বাতাসিয়া লুপ যেতে হলে জিপে অথবা টয়ট্রেনে যেতে পারেন। ৫-৭ জন হলে জিপে যাওয়াটাই ভালো। দার্জিলিং গিয়ে পৌঁছতে সময় লাগবে জিপে ৩ ঘন্টা, ট্রেনে ৫ ঘন্টা।
কোথায় থাকবেন: দার্জিলিং গিয়ে অনেক হোটেল পাবেন। পছন্দমত হোটেলে উঠে পড়েন। হোটেলের মধ্যে এবং বাইরে- দু’জায়গাতেই খাবার পাবেন।
দার্জিলিংয়ে কি কি দেখবেন: প্রতিটি হোটেলেই দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন জায়গা দেখার জন্য প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। দার্জিলিংয়ের দেখার মত স্থানগুলো হলো- টাইগার হিল, কাঞ্চনজঙ্ঘা, রক গার্ডেন, গংগামায়া পার্ক, মিরিক লেক, এবং মেল। মেল হচ্ছে আমাদের টি এস সি এর মত, চমৎকার একটি জায়গা। দেখার মত আরও অনেক জায়গা আছে যা আপনি আপনার হোটেল থেকে অথবা দার্জিলিং সরকারি পর্যটন কেন্দ্র থেকে জেনে নিতে পারবেন। সময় ও রুট বিবেচনা করে দার্জিলিং শহর ও তার আশপাশের ভ্রমন কেন্দ্রগুলো ভাগ করা হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে। যেমন টু পয়েন্টে বলতে গঙ্গামায়া পার্ক ও রক গার্ডেন ভ্রমন। থ্রি পয়েন্টে ভাগ করা আছে কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যদোয় দেখার জন্য টাইগার হিল, বিখ্যাত ঘুম বৌদ্ধ মন্দির বাটাশিয়া লুপ। ফাইভ পয়েন্টের অন্তভর্ুক্ত স্পটগুলো হচ্ছে জাদুঘর, জাপানি মন্দির লারকুঠি (কাউন্সিল ভবন), আভা আর্প গ্যালারি এবং ধীরধাম মন্দির ইত্যাদি। সেভেন পয়েন্ট বলে পরিচিত স্থানগুলো হচ্ছে, পদ্মজা নাইডু জু্যওলজিক্যাল পার্ক, বিখ্যাত হিমালয়ান মাউন্টেরিয়ান ইনস্টিটিউট, রোপ ওয়ে, পর্বতারোহণ স্বাদ পেতে, বিশাল এক পথে ওঠানামার জন্য তেনজিং রক, তিবক্ষতী রিঠুজি ক্যাম্প এবং হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, চারদিকে সুউচ্চ উপত্যকার মাঝে সমতল মাঠ, দার্জিলিং গুর্খা স্টেডিয়াম ইত্যাদি।
দার্জিলিং সরকারি পর্যটন কেন্দ্র থেকে অনেক প্যাকেজ আছে ঘুরে দেখার মত। খুবই কম খরচে প্যাকেজগুলো উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা। ছবি তোলা আর শপিং করার কথা কিন্তু ভুলবেন না। অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস কিনতে পারবেন অনেক কম দামে। কিন্তু দামাদামিটা আপনাকেই করতে হবে। প্রচন্ড সুন্দর এই দার্জিলিং যেনো একটি স্বপ্নরাজ্য।
তাহলে আর দেরী কেন ঘুরে আসুন মেঘের দেশ দার্জিলিং থেকে।
==
আরও কিছু তথ্যঃ
কীভাবে যাবেন : শিয়ালদা, হাওড়া বা কলকাতা টার্মিনাল থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার ট্রেন পাওয়া যায়। শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যায় ১৫৬৫৭ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ১৩১৪১ তিস্তা-তোরসা এক্সপ্রেস, ১৩১৪৭ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, ১২৩৪৩ দার্জিলিং মেল, ১২৩৭৭ পদাতিক এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে পাবেন ১৫৯৫৯ কামরূপ এক্সপ্রেস, ১২৩৪৫ সরাইঘাট এক্সপ্রেস। কলকাতা টার্মিনাল থেকে রয়েছে ১২৩৬৩ হলদিবাড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি), ১২৫১৭ গুয়াহাটি গরিবরথ এক্সপ্রেস (বৃহস্পতি, রবি)। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শেয়ার জিপে বা গাড়িতে দার্জিলিং পৌঁছান।
প্রাইভেট হোটেল : হোটেল অ্যালপাইন, ভাড়া ৮০০-১,২০০ টাকা। হোটেল মোহিত, ভাড়া ১,৮০০-৩,৫০০ টাকা। বুকিং ৯৮৩০৩-৭১৭৪৪।
স্যুইট হোম ইন্টারন্যাশনাল, দার্জিলিং প্যালেস (২২৩১-৮০১৯), ভাড়া ১,২০০-১,৬০০ টাকা। নিউ বৈশাখী, ভাড়া ১,০০০-১,৫০০ টাকা। হোটেল পলিমিয়া, ভাড়া ১,০০০-১,৪০০ টাকা। বুকিং : ৯৪৩৩৮-১৩৬৭৮। হোটেল জোডিয়াক, ভাড়া ১,২০০-১,৮০০ টাকা। হোটেল ফেয়ার মন্ট, ভাড়া ১,০০-২০০০ টাকা। বুকিং : ৯৯৩২৮-৮৯৫৬৫। হোটেল সুরভি, ভাড়া ৬৫০-১,০০০ টাকা। রাজ প্যালেস, ভাড়া ৭০০-১,৪০০ টাকা। বুকিং : ৩২৬১-৮৫৫৩। হোটেল স্বপ্নদীপ (৯১৬৩১-৩৪১১৮), ভাড়া ৬০০-১,২০০ টাকা। হোটেল সিন ক্লিয়ার, ভাড়া ৪,২০০-৫,০০০ টাকা। সুইস হোটেল, ভাড়া ৩,০০০-৪,০০০ টাকা। বুকিং : ৯৫৪৭৩-০৮৪৪৬। হোটেল স্যানদ্রুক (২২১২-৪০৯০), ভাড়া ৮০০-১,০০০ টাকা। হোটেল কন্টিনেন্টাল, ভাড়া ৫০০-৭০০ টাকা। হোটেল স্যালজুঙ্গ, ভাড়া ১,৮০০-৩,০০০ টাকা। বুকিং : ৯৮৩১১-২৫৪৪৬।