পৃথিবীতে কোনো ধর্মই শান্তি বয়ে আনে না।
ধর্ম মানেই ঝামেলা, ক্যাচাল এবং অশান্তি। ধর্ম থেকে দূরে থাকাই ভালো। যুগ যুগ ধরে ধর্ম মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি। ধর্ম মূলত আফিম। আফিমে বুধ হয়ে থাকে নির্বোধেরা। ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই ধর্ম নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে। যে যার ধর্মকে শান্তির ধর্ম বলে। আসলে ধর্মতে কোনো শান্তি নেই। ধর্ম হচ্ছে অজ্ঞানীদের আবিষ্কার। যারা বলে ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম, তখন আমার খুব হাসি পায়! এই শান্তির ধর্মে আছে জ্বীন আর শয়তান। রোজ হাশরের ময়দানে মানুষের সাথে সাথে জ্বীনদেরও বিচার হইবে।
মূলত সামন্ত যুগে ধর্ম সৃষ্টি করা হয়।
সেই সময় দেশ সমাজ এবং মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। বিশেষ করে আরবে গজব অবস্থা ছিলো। পুরো আরব ছিলো কুসংস্কারাছন্ন। তখন একদল লোক অলৌকিক ঈশ্বর তৈরি করলো। তাদের ভয় এবং লোভ দেখাতে শুরু করলো। কেউ কেউ ভীত হলো, কেউ কেউ বিষয়টা হেসে উড়িয়ে দিলো। নবীজি একের পর এক সূরা বানাতে থাকলেন। ধর্ম দিয়ে সমাজের কোনো উপকার হয় না। গত ১৪শ বছরে ধর্ম মানব কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তবে ধর্মের কারনে কতিপয় হুজুরেরা ভালো আছে। তাদের ইনকাম অনেক। যুগ যুগ ধরে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভালো আছে। বেশ আছে। সৌদিদের রমরমা অবস্থা হজ্বের কারনে। হজ্বের বিনিময়ে সৌদিরা অনেক টাকা ইনকাম করে। সেই টাকা তারা লন্ডন আমেরিকা গিয়ে খরচ করে।
সেই আমলে লোকজন এক দলে ছিলো না।
তারা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হলো। একদল মূর্তি পূজা শুরু করলো। কেউ কাউকে মানে না। চারিদিকে অরাজকতা। তবে নারীদের ভোগ করতে সব দল এগিয়ে। সব দল সেক্স করতে ভালোবাসে। নবীজি তার ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তরবারি হাতে তুলে নিলেন। অনেক যুদ্ধ করলেন নবীজি। অনেক লুটপাট হলো। নারীদের গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হলো। এদিকে নবীজির জন্মের আগে জন্ম নেওয়া মহা জ্ঞানী ব্যাক্তিদের সম্পর্কে কিছুই জানলেন না। এরিস্টটল, গৌতম বুদ্ধ। নবীজি অনেক ভবিষ্যৎ বানী করলেন, কিন্তু আরবে তেলের খনির কথা কিছুই বললেন না। ধার্মিকরা আমল করতে ভালোবাসে। তারা আমল করে দুনিয়ার সব কিছু হাসিল করতে চায়। নির্বোধ গুলো বুঝে না, আমল করে কিচ্ছু পাওয়া যায় না। আমল হচ্ছে শুভংকরের ফাকি।
সহজ সরল সত্য কথা হলো দুনিয়াতে কোনো ধর্মই শান্তির নয়।
ইসলাম ধর্মের লোকেরা আজও মূর্তি ভেঙে দেয়। অন্য ধর্মের লোকদের ভালো চোখে দেখে না। ধর্মের কারণে যুগ যুগ ধরে দাংগা হয়েছে। আমাদের দেশটা ভাগ হয়ে গেলো ধর্মের কারণে। কোনো ধর্ম দিয়েই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আধুনিক বিশ্ব, উন্নত দেশ গুলো ধর্মের নিয়মে চলে না। যারা ধর্ম ধারন করছে তারাই পিছিয়ে আছে। আর যারা ধর্মটাকে দূরে রাখিতে পেরেছে তারাই এগিয়ে গেছে। ধর্ম একটা অকাজের জিনিস। ফালতু বিষয়। একদিন অপ্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে ধর্মহীন পৃথিবী হবে সুন্দর পৃথিবী। মানবিক পৃথিবী। সেখানে কেউ কাউকে কাতল করবে না। মূর্তি ভেঙে দিবে না। হুজুরেরা মাইকে ভুলভাল বকবে না। শব্দ দুষন হবে না।
অল্প শিক্ষিতরা ধর্ম মেনে চলছে। তারা বিশ্বাস করে লাঠি সাপ হয়ে যায়, মানুষ মাছের পেটে ডুকে যায়। এক রাতের মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণ করা যায়। হনুমান, মানুষের গলা কেটে যাবার পর হাতির মাথা লাগিয়ে দেওয়া। সব ধর্মে রুপকথা আছে ভরপুর। বিজ্ঞান ধর্মের রুপকথা কে ঝাটা দিয়ে পিটিয়ে দূর করে দিয়েছে। তুলনামূলক বুদ্ধ ধর্মে রুপকথা কম। আশার কথা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। এখন মানুষ পানিপড়ায় বিশ্বাস করে না। ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করে না। মসজিদ আর নামাজ মানুষকে সৎ পথে আনতে পারে না।
দুটা হাদীস বলি, নবীজির আমলে আরবে গজব অবস্থা ছিলো। আরব বাসীর জ্ঞান বুদ্ধি কম ছিলো। পুরো আরব ছিলো কুসংস্কারে ভরা। নবীজি এরিস্টটল এর নাম শুনেন নাই। এমনকি গৌতম বুদ্ধর নামও শুনেন নাই। নবীজি অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু বলতে পারেন নাই, আরবে তেলের খনির কথা।
দুটা হাদীস বলি, একবার এক লোক এসে নবীজিকে বললেন, হে মুহাম্মদ আমি নতুন বিয়ে করেছি। কিন্তু অমুকে আমার ঘরে উকি দেয়। নবীজি বললেন, তাকে বুঝিয়ে বলো, যেন উকি না দেয়। সেই লোক তাকে বুঝিয়ে বলল, মিয়া ভাই আমি নতুন বিবাহ করেছি। দয়া করে রাতে আমার ঘরে উকি দিস না। কিন্তু লোকটা আবার উকি দেয়। বাধ্য হয়ে আবার সে নবীজির কাছে গেলো। বলল, হুজুর বুঝিয়ে বলেছি। কিন্তু কাজ হয় নাই। নবীজি বললেন, তুমি মনে হয় ভালো করে বুঝাও নাই। আবার যাও ভালো করে বুঝাও। লোকটাকে আবার ভালো করে বুঝানো হলো। আল্লাহ পাকের দোহাই দেওয়া হলো। কিন্তু সে পরের দিন আবার উকি দেয়। লোকটা আবার গেল নবীজির কাছে। এবার নবীজি রেগে গেলেন। বললেন, খেজুর কাটা দিয়ে হারামজাদার চোখ উপড়ে ফেলো। তাই করা হলো।
আরেকটা হাদিস। একলোক নবীজির কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ আমি বিরাট বিপদে পড়েছি। আমার মাথায় উকুন হয়েছে। নবীজি উকুনের সমাধান দিলেন এইভাবে, ১। মাথার চুল ফেলে দাও। ২। রোজা রাখো। ৩। বরকি কোরবানি দাও। উকুন দূর করতে লোকটা তাই কিরলো। এযুগে উকুনের দূর করার জন্য কেউ রোজা রাখবে না। কেউ বরকি কোরবানি দিবে না। বড়জোর পাচ টাকা দিয়ে একটা উকুননাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করবে।
নবীজি দুখী মানুষ ছিলেন। দরিদ্র ছিলেন। লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। রোগে শোকে অনেক ভূগেছেন। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে নবীজির চিকিৎসা করেছে। নবীজির আমলে মোবাইল ছিলো না। কম্পিউটার ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। উন্নত চিকিৎসা ছিলো না। গাড়ি, এরোপ্লেন, হেলিকপ্টার এসব কিছুই ছিলো না। আমরা যারা এ-যুগে জন্মেছি তারা ভাগ্যবান।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭