somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

একমাত্র শান্তির ধর্মের নাম কি?

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পৃথিবীতে কোনো ধর্মই শান্তি বয়ে আনে না।
ধর্ম মানেই ঝামেলা, ক্যাচাল এবং অশান্তি। ধর্ম থেকে দূরে থাকাই ভালো। যুগ যুগ ধরে ধর্ম মানুষের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি। ধর্ম মূলত আফিম। আফিমে বুধ হয়ে থাকে নির্বোধেরা। ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই ধর্ম নিয়ে সংঘাত লেগেই আছে। যে যার ধর্মকে শান্তির ধর্ম বলে। আসলে ধর্মতে কোনো শান্তি নেই। ধর্ম হচ্ছে অজ্ঞানীদের আবিষ্কার। যারা বলে ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম, তখন আমার খুব হাসি পায়! এই শান্তির ধর্মে আছে জ্বীন আর শয়তান। রোজ হাশরের ময়দানে মানুষের সাথে সাথে জ্বীনদেরও বিচার হইবে।

মূলত সামন্ত যুগে ধর্ম সৃষ্টি করা হয়।
সেই সময় দেশ সমাজ এবং মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। বিশেষ করে আরবে গজব অবস্থা ছিলো। পুরো আরব ছিলো কুসংস্কারাছন্ন। তখন একদল লোক অলৌকিক ঈশ্বর তৈরি করলো। তাদের ভয় এবং লোভ দেখাতে শুরু করলো। কেউ কেউ ভীত হলো, কেউ কেউ বিষয়টা হেসে উড়িয়ে দিলো। নবীজি একের পর এক সূরা বানাতে থাকলেন। ধর্ম দিয়ে সমাজের কোনো উপকার হয় না। গত ১৪শ বছরে ধর্ম মানব কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। তবে ধর্মের কারনে কতিপয় হুজুরেরা ভালো আছে। তাদের ইনকাম অনেক। যুগ যুগ ধরে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ভালো আছে। বেশ আছে। সৌদিদের রমরমা অবস্থা হজ্বের কারনে। হজ্বের বিনিময়ে সৌদিরা অনেক টাকা ইনকাম করে। সেই টাকা তারা লন্ডন আমেরিকা গিয়ে খরচ করে।

সেই আমলে লোকজন এক দলে ছিলো না।
তারা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হলো। একদল মূর্তি পূজা শুরু করলো। কেউ কাউকে মানে না। চারিদিকে অরাজকতা। তবে নারীদের ভোগ করতে সব দল এগিয়ে। সব দল সেক্স করতে ভালোবাসে। নবীজি তার ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তরবারি হাতে তুলে নিলেন। অনেক যুদ্ধ করলেন নবীজি। অনেক লুটপাট হলো। নারীদের গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হলো। এদিকে নবীজির জন্মের আগে জন্ম নেওয়া মহা জ্ঞানী ব্যাক্তিদের সম্পর্কে কিছুই জানলেন না। এরিস্টটল, গৌতম বুদ্ধ। নবীজি অনেক ভবিষ্যৎ বানী করলেন, কিন্তু আরবে তেলের খনির কথা কিছুই বললেন না। ধার্মিকরা আমল করতে ভালোবাসে। তারা আমল করে দুনিয়ার সব কিছু হাসিল করতে চায়। নির্বোধ গুলো বুঝে না, আমল করে কিচ্ছু পাওয়া যায় না। আমল হচ্ছে শুভংকরের ফাকি।

সহজ সরল সত্য কথা হলো দুনিয়াতে কোনো ধর্মই শান্তির নয়।
ইসলাম ধর্মের লোকেরা আজও মূর্তি ভেঙে দেয়। অন্য ধর্মের লোকদের ভালো চোখে দেখে না। ধর্মের কারণে যুগ যুগ ধরে দাংগা হয়েছে। আমাদের দেশটা ভাগ হয়ে গেলো ধর্মের কারণে। কোনো ধর্ম দিয়েই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আধুনিক বিশ্ব, উন্নত দেশ গুলো ধর্মের নিয়মে চলে না। যারা ধর্ম ধারন করছে তারাই পিছিয়ে আছে। আর যারা ধর্মটাকে দূরে রাখিতে পেরেছে তারাই এগিয়ে গেছে। ধর্ম একটা অকাজের জিনিস। ফালতু বিষয়। একদিন অপ্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে ধর্মহীন পৃথিবী হবে সুন্দর পৃথিবী। মানবিক পৃথিবী। সেখানে কেউ কাউকে কাতল করবে না। মূর্তি ভেঙে দিবে না। হুজুরেরা মাইকে ভুলভাল বকবে না। শব্দ দুষন হবে না।

অল্প শিক্ষিতরা ধর্ম মেনে চলছে। তারা বিশ্বাস করে লাঠি সাপ হয়ে যায়, মানুষ মাছের পেটে ডুকে যায়। এক রাতের মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণ করা যায়। হনুমান, মানুষের গলা কেটে যাবার পর হাতির মাথা লাগিয়ে দেওয়া। সব ধর্মে রুপকথা আছে ভরপুর। বিজ্ঞান ধর্মের রুপকথা কে ঝাটা দিয়ে পিটিয়ে দূর করে দিয়েছে। তুলনামূলক বুদ্ধ ধর্মে রুপকথা কম। আশার কথা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা ধর্মকে কোনঠাসা করে ফেলেছে। এখন মানুষ পানিপড়ায় বিশ্বাস করে না। ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করে না। মসজিদ আর নামাজ মানুষকে সৎ পথে আনতে পারে না।

দুটা হাদীস বলি, নবীজির আমলে আরবে গজব অবস্থা ছিলো। আরব বাসীর জ্ঞান বুদ্ধি কম ছিলো। পুরো আরব ছিলো কুসংস্কারে ভরা। নবীজি এরিস্টটল এর নাম শুনেন নাই। এমনকি গৌতম বুদ্ধর নামও শুনেন নাই। নবীজি অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু বলতে পারেন নাই, আরবে তেলের খনির কথা।

দুটা হাদীস বলি, একবার এক লোক এসে নবীজিকে বললেন, হে মুহাম্মদ আমি নতুন বিয়ে করেছি। কিন্তু অমুকে আমার ঘরে উকি দেয়। নবীজি বললেন, তাকে বুঝিয়ে বলো, যেন উকি না দেয়। সেই লোক তাকে বুঝিয়ে বলল, মিয়া ভাই আমি নতুন বিবাহ করেছি। দয়া করে রাতে আমার ঘরে উকি দিস না। কিন্তু লোকটা আবার উকি দেয়। বাধ্য হয়ে আবার সে নবীজির কাছে গেলো। বলল, হুজুর বুঝিয়ে বলেছি। কিন্তু কাজ হয় নাই। নবীজি বললেন, তুমি মনে হয় ভালো করে বুঝাও নাই। আবার যাও ভালো করে বুঝাও। লোকটাকে আবার ভালো করে বুঝানো হলো। আল্লাহ পাকের দোহাই দেওয়া হলো। কিন্তু সে পরের দিন আবার উকি দেয়। লোকটা আবার গেল নবীজির কাছে। এবার নবীজি রেগে গেলেন। বললেন, খেজুর কাটা দিয়ে হারামজাদার চোখ উপড়ে ফেলো। তাই করা হলো।

আরেকটা হাদিস। একলোক নবীজির কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ আমি বিরাট বিপদে পড়েছি। আমার মাথায় উকুন হয়েছে। নবীজি উকুনের সমাধান দিলেন এইভাবে, ১। মাথার চুল ফেলে দাও। ২। রোজা রাখো। ৩। বরকি কোরবানি দাও। উকুন দূর করতে লোকটা তাই কিরলো। এযুগে উকুনের দূর করার জন্য কেউ রোজা রাখবে না। কেউ বরকি কোরবানি দিবে না। বড়জোর পাচ টাকা দিয়ে একটা উকুননাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করবে।

নবীজি দুখী মানুষ ছিলেন। দরিদ্র ছিলেন। লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। রোগে শোকে অনেক ভূগেছেন। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে নবীজির চিকিৎসা করেছে। নবীজির আমলে মোবাইল ছিলো না। কম্পিউটার ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। উন্নত চিকিৎসা ছিলো না। গাড়ি, এরোপ্লেন, হেলিকপ্টার এসব কিছুই ছিলো না। আমরা যারা এ-যুগে জন্মেছি তারা ভাগ্যবান।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭
২৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চরমোনাইর পীরসাহেব, নিজেকে আপডেটেড করুন, ১২১ বছর পিছিয়ে আছেন।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০১


১২১ বছর আগে আবিষ্কৃত বিমান ইউটিউব দেখে নতুন করে বানিয়ে আকাশে ওড়ানোকে আপনার কাছে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মতো আবিষ্কার বলে মনে হতেই পারে, কিন্তু আমরা যারা বিজ্ঞান পড়েছি, আমাদের কাছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত: সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২



বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত একদিকে যেমন উন্নতির পথে, অন্যদিকে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের জন্য এটি এক মহাসঙ্কটের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বড় সরকারি হাসপাতালগুলোর আশপাশে গজিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদিন সোনা ঝরা রোদে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৮



এভাবেই একদিন সোনা ঝরা রোদে
হেঁটেছি দু’জন পাশাপাশি খানিকটা পথ
হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দু’জনে
একরাশ ভালো লাগা হৃদয়ে জড়ায়।

তুমি তাকালে এমন করে ভাবছি সে চোখ
দেখেছি এমন আর মনেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

=চাহিদার আর হয় না ইতি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৪০


যতই সুখ হাতের নাগালে আসে, চাহিদা বেয়ে ওঠে... উঁচু সিঁড়ি
যেটুকু পেলে অন্ততঃ হওয়া যায় সুখি, তবুও আরও চাই
চাই মোহ পাহাড় গিরি,
বাড়ী হলে বলি মনে মনে, একটা গাড়ী হলে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। 'সেই শিশুর বুকে বসানো হলো টিউব'

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

গেলো কদিন আমি খুব মানসিক যন্ত্রনায় আছি মাগুরার নির্যাতিত শিশু কন্যা আছিয়ার বিষয়বস্তু নিয়ে । ও ভাল নেই এইটাই শেষ খবর । কাল ওর বুকে ছিদ্র করে ফুসফুসের বাতাস যাওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

×