১। দেশটা কী ধর্ষকের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে?
আমি আতঙ্কিত। আমার মেয়ে বড় হচ্ছে এবং মেয়ের আরো দুইটা বোন এই ঢাকা শহরে পড়াশোনা করে। ওরা একা একা নাটক দেখতে যায়। কাজ-বাজ খুঁজে বেড়ায়।
২। আমার ক্যাম্পাসের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, বিচার চাই" এই কথাটি খুবই বৈষম্যমূলক একটি কথা। আপনি যদি ধর্ষণের বিচার চান সব মেয়ের জন্যই চান। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবধরনের গণ প্রতিরোধে সাথে থাকুন।
৩। যে পরিবার নিজ পুত্রকে ধর্ষক হওয়া থেকে বিরত রাখার পরিবর্তে কন্যাকে বছরের পর বছর ধর্ষণের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করে, সেই পরিবার থেকে ধর্ষক ও নিপীড়ক ছাড়া আর কিছু কি বের হতে পারবে?
৪। রাজধানীর মতো জনবহুল শহরে বাসস্ট্যান্ড থেকে ধরে নিয়ে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো।
এ শহর কার?
৫। দেশপ্রেমিক পুলিশ ভাইয়েরা, কুর্মিটোলার ধর্ষকদের খুঁজে বের করে পুলিশ সপ্তাহের কার্যকারিতা প্রমাণ করুণ !
৬। স্বাধীন বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য প্রতিটা রাতই যেন ২৫ মার্চের রাত !!!
৭। ২০১৮ সালের দ্বিগুণ ধর্ষণ হয়েছে ২০১৯ সালে।
বিচার না হওয়ার ফল সমাজ এভাবে ভোগ করতেই থাকবে।
৮। ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষককে ধরা প্রযুক্তির এই যুগে কঠিন কোনো কাজ নয়; যতই সে অজ্ঞাত ব্যক্তি হোক না কেন। নির্দিষ্ট একটি লোকেশনে কোন কোন ডিভাইসে কোন নম্বরের মোবাইল চালু ছিল, সেটি জানা প্রশাসনের জন্য ওয়ান-টুর ব্যাপার হওয়ার কথা। যদিও আমি নিশ্চিত নই এভাবে অপরাধী ধরতে বাংলাদেশের প্রশাসন কতটুকু সক্ষম। অপরাধী মোবাইল ব্যবহার না করলে সিসি ক্যামেরা থেকে অবশ্যই তথ্য পাওয়া যাবে। আজকাল ঢাকার অলিগলিতে সিসি ক্যামেরা আছে। সো আমরা আশাবাদী।
ওই নরপিশাচ শিগগিরই ধরা পড়ুক, সবার দিন পার হোক এই কামনায়।
৯। শৈশব থেকে আপনার মেয়েকে বলুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেই হবে।
নয়তো ধর্ষণ হবার পরে তার বিচার পাবার কোন সম্ভাবনাই থাকবেনা।
১০। ৱাস্তা অবরোধ করে রাখলেই কি প্রশাসন দৌড়ায় এসে রেপের বিচার করবে ? শুধু শুধু ফুটেজ খাওয়া আর আমাদের মত আম জনতার ভগান্তি !
১১। প্রতিবাদ করার বিকল্প কিছু নাই।তাই প্রতিবাদ অব্যাহত ভাবে করতে হবে।তবেই না সুকান্তের আগামী প্রজন্মের ভবিষৎ গড়ে যেতে পারবেন।ভুল হলে মাফ করবেন।
১২। গোলার্ধের একদিকে দাবানল থেকে বাঁচার জন্য দৌড়াচ্ছে হরিণ, অন্যদিকে ধর্ষকের হাত থেকে তরুণী।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭