আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবীজি (সা.)কে পেতে হবে।
সকল মুসলমানের কাছে বড় প্রিয় একটি নাম- মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ‘মাইকেল হার্ট’ যিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচাইতে প্রভাবশালী একশত সেরা মনীষীর জীবনী লিখেছেন, তিনি সেই জীবনী তালিকায় প্রথমেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে স্থান দিয়েছেন। মহানবী (সা.) কখনো কাউকেও অশ্লীল-অশালীন কথা বলতেন না। অভিশাপ দিতেন না এবং গালাগাল করতেন না। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে শুধু এতটুকু বলতেন: তার কি হলো, তার কপাল ধুলোমলিন হোক! -(সহীহ বুখারী)
বিশ্বনবী (সা.)'র আবির্ভাব ঘটেছিল মানব জাতির এক চরম দুঃসময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছিল হানাহানি,জাতিগত সংঘাত,কুসংস্কার,অনাচার এবং জুলুম ও বৈষম্যের দৌরাত্ম্য। নারী জাতির ছিল না কোনো সম্মান। শির্ক ও কুফরির অন্ধকারে গোটা পৃথিবী হয়ে পড়েছিল আচ্ছন্ন। বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে হানাহানি, রাহাজানি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যে হারে বিস্তার লাভ করছে তা থেকে পরিত্রাণ লাভের একমাত্র উপায় হলো তাঁর প্রদর্শিত পথে চলা।
মহানবী (সাঃ) একদিন একটি গাছের তলায় ঘুমিয়েছিলেন।
এই সুযোগে দাসুর নামের একজন শত্রু তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল। শোরগোল করে সে মহানবী (সাঃ) কে ঘুম থেকে জাগালো। মহানবীর (সাঃ) ঘুম ভাঙলে চোখ খুলে দেখলেন, একটা উন্মুক্ত তরবারি তাঁর উপর উদ্যত।
ভয়ানক শত্রু দাসুর চিৎকার করে উঠলো, এখন আপনাকে কে রক্ষা করবে?
মহানবী (সাঃ) ধীর শান্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আল্লাহ।’
শত্রু দাসুর মহানবীর (সাঃ) এই শান্ত গম্ভীর কণ্ঠের আল্লাহ শব্দে কেঁপে উঠল, তার কম্পমান হাত থেকে খসে পড়ল তরবারি।
মহানবী (সাঃ) তার তরবারি তুলে নিয়ে বললেন, ‘এখন তোমাকে কে রক্ষা করবে, দাসুর?
সে উত্তর দিল কেউ নেই রক্ষা করার।’
মহানবী (সাঃ) বললেন, ‘না, তোমাকেও আল্লাহই রক্ষা করবেন।’ এই বলে মহানবী (সাঃ) তাঁকে তার তরবারি ফেরত দিলেন এবং চলে যেতে বললেন।
বিস্মিত দাসুর তরবারি হাতে চলে যেতে গিয়েও পারল না ফিরে এসে মহানবীর (সাঃ) হাতে হাত রেখে পাঠ করলঃ ‘লা- ইলাহ ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’
মহানবী (সা.) এর রেখে যাওয়া কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের জীবন পরিচালিত হোক এই তাওফিক কামনা করছি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩