রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহকে স্মরন করি।
আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহকে স্মরন করি। এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি, হে আমার মহান প্রভু আজকের সারাটা দিন যেন সুন্দর ভাবে যায়। কোনো বিপদ আপদ যেন না সে। হে পরম করুনাময় অতি দয়ালু আমার স্রষ্টা! আমাকে ক্ষমা করে দিন ও রক্ষা করুন আমার কৃত ভুলগুলি থেকে, আমার ছোটবড় গুনাহ গুলো থেকে আমার ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কৃতকর্ম গুলি থেকে আমার অন্তরে বাহিরের কৃত পাপ গুলি থেকে আমার চেতন অবচেতন বেহায়াপনা থেকে।
আমি জানি, বিশ্বাস করি আপনি একক, আপনার কোন শরিক বা প্রতিদ্বন্দী নেই, আপনি কারো মুখাপেক্ষি নন, কাউকে আপনার কর দিতে হয় না বরং আপনার হুকুমেই সকল কর আরোপিত হয় এই দুনিয়া ও আখেরাতে। আমার সমস্ত ভালো ইচ্ছাকে, আমার মুনাজাতকে আপনি কবুল করেন। আমিন। আমিন। আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন। আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা সাইয়েদেনা মুহাম্মাদিও ওয়াআলা আলেহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া আজওয়াজিহি ওয়া আহলে বাইতিহি ওয়া বারেক ওয়া ছাল্লেম।
সূরা মুমিনে, আল্লাহ বলেন, ’তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সারা দেব।’ সাড়া না পাওয়া পর্যন্ত আমি আমৃত্যু ডেকেই যাবো। যে সমস্ত নাস্তিকেরা ভুল পথে আছে, আমার বিশ্বাস তারা সঠিক পথে আসবে। এবং প্রভুর কাছে ক্ষমা চাইবে। আল্লাহর হিসাব খুব সূক্ষ্ম। যারা প্রভুকে অবিশ্বাস করে, তারা নির্বোধ। সকালে আমি ইউটিউবে সূরা বাংলা উচ্চারন ও অর্থসহ শুনি। মুগ্ধ হই। মনটা খুশিতে ভরে যায়। আজ শুনলাম, সূরা আর রহমান। এই সূরায় জ্বীন ও মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা হয়েছে, "অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
কোরআন হাদীস আমি পড়ি।
কোরআন হাদীস আমার মনকে শান্তি দেয়। আমার সকল অস্থিরতা দূর করে। আমাকে ভরসা দেয়, সাহস দেয়। বেঁচে থাকতে অনুপ্রেরনা যোগায়। গতকাল রাতে পড়লাম জিন জাতীর ইতিহাস। জিন জাতি কুরআনে বর্ণিত এক অতিপ্রাকৃত সত্তা। পৃথিবীতে মানব আগমনের পূর্ব থেকেই তাদের অস্তিত্ব ছিল; এখনও তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। মানুষরা জিনদের দেখতে পায় না তবে জিনরা মানুষকে দেখতে পায়। তারা বিশেষ কিছু শক্তির অধিকারী। তারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। তাদেরও সমাজ রয়েছে। তাদের আয়ূ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। জিনরা আল্লাহর নামে জবাই করা পশুর মাংস খায়।
কুরআনের ৭২তম সুরা আল জ্বিন এ শুধু জিনদের নিয়ে কথা বলা হয়েছে। "ইবলিশ" তথা শয়তান প্রকৃতপক্ষে জিন জাতির একজন ছিল। ইবলিশ বা শয়তান ছিল প্রথম জিন যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। প্রাচীন আরবদের মতে জিনরা আগুনের তৈরি। জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানবজাতির আগে। কিছুটা মিল পাওয়া যায় খ্রিষ্টানদের ডেমন এবং ডেভিল সংক্রান্ত বিশ্বাসের সাথে। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক। সুস্থ রাখুক। সবার মনের সৎ ও নেক ইচ্ছা গুলো পূরন করুক।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫