"মুরদই লাখ বুড়া চাহে তো কেয়া হোতা হ্যায়
ওই হোতা হ্যায় যো মঞ্জুরে খোদা হোতা হ্যায়।"
(শত্রুরা আমার যতই অনিষ্ট কামনা করুক তাতে কিছুই হবে না।
ঈশ্বর যা মঞ্জুর করবেন তা-ই হবে আমার ভাগ্যলিপি।)
অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম, বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই ভালো। তারা দেশকে ভালোবাসে, ভালোবাসে দেশের মানুষকে। পৃথিবীর অনেক দেশেই মেয়েরা বাসে ট্রেনে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্যে যায় কিন্তু আমাদের দেশে কোনো মেয়ে দাঁড়িয়ে তাদের গন্তব্য যায় না, আমরা সিট ছেড়ে দেই। আমি নিজে দেখেছি- আমাদের দেশের ট্রাফিক পুলিশ- রাস্তার সব গাড়ি থামিয়ে ছোট ছোট বাচ্চা আর বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছেন। কাজেই সব মানুষ নিষ্ঠুর নয়। মানুষের মনে এখনও অনেক মায়া-দয়া আছে।
বহু লোককে দেখেছি, কারো রক্তের প্রয়োজন হলে ছুটে যায় রক্ত দিতে। অচেনা কোথাও গিয়ে কাউকে ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে দেখবেন, সে আপনাকে খুব সুন্দরভাবে চিনিয়ে দেবে। বাসে উঠলে টাকা নেই বললে, কন্ট্যাকটরও হাসি মুখে মেনে নেয়। দেখেছি, সরকারী হাসপাতাল গুলোতে ডাক্তার দরিদ্র লোকদের এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে চিকিৎসা করছেন।
জানি, ছোট একটা দেশ, মানুষ অনেক। তাই কিছু সমস্যা তো থাকবেই। সমস্যা গুলো আমাদের সবাইকে মিলে সমাধান করতে হবে। যখন ক্রিকেট খেলা হয়- আমরা চিৎকার করে গলা ভেঙ্গে ফেলি। যদি জিতে যাই- আনন্দে একটু পর-পর চোখ মুছি। পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ি। ক্রিকেট খেলার সময় সমস্ত দেশের মানুষ এক হয়ে যায়।
আমার ভাবতে ভালো লাগে- আমাদের দেশটা একদিন হবে খুব আনন্দময়। কোথাও অশান্তি থাকবে না। আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে- অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে গত পনের দিন ধরে, অনাবৃষ্টি, তীব্র দাবদাহ এসব আল্লাহর এক প্রকার শাস্তি যা তিনি তাঁর বান্দাদেরকে গোনাহের কারণে দিয়ে থাকেন। আসুন আমরা স্বীয় পাপ কর্ম থেকে তওবা করি তাহলে তিনি আমাদেরকে বৃষ্টি দিবেন।
হে প্রভূ আমাদের ক্ষমা করো। আমাদের এই কষ্টকর তাপদাহ থেকে রক্ষা কর। আমাদের প্রকৃতি প্রেম বৃদ্ধি করে দাও। আমাদের অপচয়কারী, দুর্নীতিবাজ, অপরাধীদের হেদায়েত নসীব কর।
প্রতিদিন শত শত গাছ কাটা হচ্ছে, পাহাড় ধ্বংশ হচ্ছে, নদী দখল হচ্ছে বন জঙ্গল উজার হচ্ছে- প্রকৃতি তার প্রতিশোধ তো নিবেই। কাজেই আমাদের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রচুর গাছ লাগাতে হবে।
আজ রাতে বৃষ্টি হবে ইনশাল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২২