খুব ভোরে আমার ঘুম ভেঙে যায়, ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হই। টানা তিন মাইল হাঁটি। এই কারণে আমার কোনো অসুখ বিসুখ হয় না।
নবী করিম (সাঃ) নামাজকে আরোগ্য দানকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন।
যদি আমরা শুদ্ধ নিয়মে নামাজ আদায় করি তাহলে আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরই মুভমেন্ট হয়। ফলে রক্তসঞ্চালনও সুন্দরভাবে চলতে থাকে। নবীজী মেহেদিকে মাথা ব্যথার প্রতিষেধক বলেছেন।
সূরা নাহলে মধুকে শেফা দানকারী ঘোষণা করা হয়েছে। আর নবীজীরও নির্দেশ, ‘যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন সকাল বেলায় মধু সেবন করবে তার কোনো কঠিন ব্যাধি হবে না।
হাদিসে কালো জিরা সর্বরোগের ওষুধ বলা হয়েছে। অপর দিকে কালো জিরা বিভিন্ন ঠাণ্ডা জাতীয় ব্যাধির ওষুধ ছাড়াও যকৃৎ, পাকস্থলী, মূত্রাশয়ের শক্তিবর্ধক।
মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যখন রোগ যন্ত্রণা খুব কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি কালোজিরা, অতঃপর পানি ও মধু সেবন করবে।
হাদিস ও ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে নবীজীর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল তরমুজ, মধু, লাউ, দুধ, যাইতুন, খেজুর, ভুনা গোশত, পাখির গোশত, মাছ আর তিনি অত্যধিক গরম ও বাসি খাবার এড়িয়ে চলতেন। তিন দুধ ও মাছ যেমন কখনো একসঙ্গে খেতেন না, তেমনি দু’টি গরম, দু’টি ঠাণ্ডা, নরম বা আঠালো জিনিসও একসাথে খেতেন না।
নবীজী আমাদের ক্ষুধার সাথে সামঞ্জস্যশীল এবং পরিমিত আহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুরোধঃ শুধু কোরান পাঠ করলেই হবে না তা বুঝতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৪