ঈদে শিশু-কিশোরদের বিনোদন সবার আগে। শুধু তাদের জন্যই বাবা-মাকে শহর ঘুরে বেড়াতে হয়। ঈদে বিনোদনপ্রিয় মানুষের পদচারণায় মুখর হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, জাতীয় জাদুঘর, বলধা গার্ডেন, বোটানিকাল গার্ডেন, ধানমন্ডি লেক, রমনা পার্ক, আহছান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, স্মৃতিসৌধ, এবং নান্দনিক স্থাপন-হাতিরঝিল।
তাছাড়া রয়েছে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্ক। উলেখিত ভ্রমণ স্পট ছাড়াও ঈদের ছুটিতে বিনোদন পাগল মানুষের ভিড় হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতি সৌধ, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, বলধা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গুলো।
মিরপুর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী হয় সবচেয়ে বেশি। এখানে বন্য পশুপাখির বিচিত্র সব কাণ্ড-কারখানা দেখে মজার সময় অতিবাহিত করেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সাদা পোশাকধারী ডিবি, র্যাব, পুলিশ বিভিন্ন জনবিরল ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে টহল থাকবে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তের কাছে পর্যন্ত এক অফুরন্ত আনন্দের নাম এই বিনোদন কেন্দ্র গুলো। শ্যামলীতে শিশুদের বিনোদনের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে শিশুমেলা। অল্প পরিসর আয়োজন হলেও এখানে রাইড কম নয়।
আড্ডা, উৎসব, আনন্দ আর একটু মুক্ত, নির্মল, প্রাকৃতিক বাতাস, নিরিবিলি পরিবেশ পাওয়ার প্রত্যাশায় নগরবাসী ছুটে আসে এই সব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। আর এই বিনোদন কেন্দ্রেগুলো যখন দেখা যায়- মাদকসেবী ও বখাটেদের পদচারণা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নির্জ্জলতা আর নোংড়ামী (যারা এত সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করছে) তখন মনে প্রশ্ন জাগে এর নাম কি বিনোদন কেন্দ্র?
আমি মনে করি, বিনোদনের জন্য কোথাও না গিয়ে প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে চায়ের দোকানে গল্প করা অনেক ভালো।