গতরাতে আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি। আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি নৌকায় আমি সম্পূর্ণ একা। নৌকায় কোনো দাঁড় নেই, কোনো হাল নেই। অথৈ সাগরে নিঃসহায়ের মত একা ভেসে চলেছি।
হেফাজতে ইসলাম যে ১৩টি মধ্যযুগীয় দাবি তুলেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার আগে বিবেকবান যে কোনো মানুষের মরে যাওয়াই ভালো।মহান প্রভু'র কাছে এখন আমার প্রার্থনা একটাই- দেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি শান্ত করে দাও।হঠাৎ করে দেশের বেশ কিছু মানুষ ধর্মপ্রান হয়ে পড়েছে।অনেকে চা খেতে খেতে টিভিতে খবর দেখে খুব হায় হুতাশ করছেন।আজ মুসলমানের বিরুদ্ধে মুসলমান ।হেফাজতে ইসলাম - জামায়েত ইসলামের দ্বিতীয় গ্রুপ এটা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট! সরকারকে এখন খুব ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সাপ মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙ্গবে না টাইপ সিদ্ধান্ত।
এখন থেকে ৪২ বছর আগে হুবহু এইরকম একটি পরিস্থিতি নেমে এসেছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশজুড়ে। ১৯৭১ সালে ঠিক এমনিভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ধর্মবিরোধিতার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অবমাননায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মতো ধর্ম ইসলাম নয়। যদি সেটিই হতো, তাহলে এতো হাজার বছর পরও ইসলাম টিকে থাকতো না।হে আল্লাহ ! একাত্তরে ইসলামের দোহাই দিয়ে লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলার পর-ও ইসলাম বিপন্ন হয় না।
প্রতি ৫০ হাজার ব্লগারের মধ্যে একজন হয়তো ধর্ম নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন, তাতে কি বাকি সব ব্লগারই ধর্মবিরোধী নাস্তিক হয়ে যান? ধর্মকে বর্ম বানিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে মানুষের চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা।
হে আল্লাহ ! যখন তুমি বলেছো তোমার সৃষ্টিকে যে ভালবাসলো সে তোমাকেই ভালবাসলো তখন বছরের পর বছর ধরে মাজার-দরগার ভেতরের দান-বাক্স ফুলে-ফেঁপে উঠলো,কিন্তু সেখানে দিনের পর দিন ভিক্ষা করা লোক গুলোর ভাগ্য একই রকম থেকে যায়,তখনো ইসলাম বিপন্ন হয় না ।
হেফাজতের সাথে জড়িত আশিভাগ কওমী মাদরাসার ছাত্র।'নাস্তিক ব্লগার' 'নাস্তিক ব্লগার' রব তুলে মোল্লারা রীতিমতো কাবু করে ফেলেছে সরকারকে।জামায়াত-শিবির বরাবরই আছে সেই একাত্তরের সেই চিরচেনা চেহারায়। হেফাজতের ভন্ড মোল্লাগুলো এতোদিন ঘাপটি মেরে ছিল কওমি মাদ্রাসার আড়ালে।
আমি নিশ্চিত, এই ধর্মব্যবসায়ীরা একাত্তরের মতোই হারবে আবার।