somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অদৃশ্যের কথামালা- রহস্যের গল্প

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পূর্ববাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, উত্তরবাড়ি, মধ্যবাড়ি এবং গোলাবাড়ি নামে বড় আকারের পাঁচটি ভবন । পূর্ব দিকের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও বাকি চারটি টিকে আছে এখনও।
আমি আছি মধ্য ভাগের টাতে ।
এখন রাত ১১.৩০
মজিদ ভাই আমার জন্য বেশ ভাল আয়োজন করেছে ।আমার থাকার বেবস্থা করেছে । ঘরটি খুব একটা বড় না , হারিকেনের আলোয় দেয়ালের ফাটলগুলো বেশ ভালভাবে দেখা যায় ।
ঘরের আসবাবপত্র বলতে একটা কাঁঠাল কাঠের চৌকি আর একটা ঘুণে খাওয়া টেবিল । পুরো বাড়িটিতে মানুষ আমি একা । মজিদ ভাই কয়লার বেবস্থা করতে গেছে । আজ রাতে মুরগী পুড়িয়ে খাব । ব্যাপারটিতে মজিদ ভাই বেশ আনন্দিত মনে হল ।
৫ বছর ধরে এই প্রাসাদটির দেখাশুনা করছেন তিনি ।
রমেশচন্দ্র মজুমদারের বাংলাদেশের ইতিহাস বইটির পাতা উল্টানো ছাড়া বর্তমানে আমার কোন কাজ নেই । ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা নিয়ে আমার এক উন্মাদনা ছিল আছে আর থাকবে ।
আর তাই হয়তো আজ এখানে আসা ।
বালিয়াটি জমিদারবাড়ি । আঠারো শতকের মধ্যভাগে জমিদার গোবিন্দরাম শাহ বালিয়াটি জমিদারবাড়ি নির্মাণ করেন।
কতকিছুই না ঘটেছিল তখন এই প্রাসাদটিতে ।
শুনেছি এখানে নাকি অনেক আজব কিছু ঘটেছিল । যদিও এই বিজ্ঞানময় সময়ে অস্বভাবী কার্যকলাপ কেউ বিশ্বাস করে না । তবুও আমাদের সাথে এমন অনেক কিছুই হয় যার সঠিক সংজ্ঞা আমরা দিতে পারি না ।
আসবাবপত্রহীন ঘরটির খোলা দরজা দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস আসছে ।শীতের শেষ আর বসন্তের শুরুর সময়টা আমার একটু বেশি পছন্দের । আজ পূর্ণিমা কিনা জানা নেই তবে চাঁদের আলো বেশ পরিষ্কার ।
প্রাসাদটির ঠিক মাঝখানে দুইটি কুয়ো । এখন আর কোনটিতেই পানি নেই । শ্যাওলা আর আবর্জনায় প্রায় পূর্ণ । আজ থেকে দেড়শ বছর আগে হয়ত অনেক রমরমা ছিল এই প্রাসাদটি ।
সময় কতই না বিচিত্র !
এখন প্রায় বারোটা বেজে গেছে ,মজিদ ভাই এখনও আসছেনা কেন ? কয়লার বেবস্থা কি করতে পারে নি । একটা আওয়াজ পাচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে ।
-পাশের ঘরটিতে কেউ কি হাঁটছে ?
কিন্তু মজিদ ভাই তো এখনো আসে নি । কতকিছু জোগাড় করতে হবে তাকে ।মুরগী পুড়িয়ে খেতে তো আর কম ঝামেলা পোহাতে হয় না ।
- আওয়াজটা আরো স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি । যেন কেউ গুণে গুণে পা ফেলছে । এক মাথা থেকে অন্য মাথা পায়চারী করছে ।
-নাহ , হইত বাতাসের কারণে এমনটা শুনাচ্ছে ।খুব ঠাণ্ডা বাতাস একেবারে মন মাতানো । শহরের দালানকোঠায় এমন অনুভূতি পাওয়া অসম্ভব ।

তালা খোলার আওয়াজ পেলাম ,এইবার বুঝি মজিদ ভাই এসেছে । এবার উঠতে হবে মুরগী পুড়ানোর কাজটা আমাকে করতে হবে । তাছাড়া মজিদ ভাই সব গোলমাল করে ফেলতে পারে ।
কিন্তু মজিদ ভাই ঐ ঘরের তালা খুলছেন কেন !
ওইটা তো বন্ধঘর !
মজিদ ভাইও তো ঐ ঘরটিতে কখনো যাননি । কয়লা আনতে যাওয়ার আগেই তো বলেছিলেন।
আরো জোরে বাতাস শুরু হয়েছে ,কালবৈশাখীর মত ।
চলবে ...........................
ঘরের দরজা খোলার আওয়াজটা কানে এলো । এবার স্পষ্ট,একদম স্পষ্ট ।
কেউ চুরি করতে আসলো নাতো !!!
কিছু প্রাচীন দামি জিনিস তো থাকার কথা এই প্রাসাদে । এদিকে মজিদ ভাই কোথায় কে জানে ।
ব্যাগ থেকে টর্চলাইট টা বের করে হাঁটতে লাগলাম । টর্চের আলো অনেক কম । ব্যাটারি চালিত টর্চ, মনে হয় ব্যাটারি শেষের দিকে। দরজা পেরোতেই একটা উষ্ঠা খেলাম ।
টর্চটা মাটিতে পড়তেই বন্ধ হয়ে গেল । আর ঘরের ভিতরের শব্দ থেমে গেল ।
চাঁদের আলোতে হাতড়াতে হাতড়াতে দরজার কাছাকাছি গেলাম । হৃদস্পন্দন বেড়েই চলেছে । ঘরের একেবারে কাছে চলে এসেছি ।চাঁদের আলো না পড়ায় এই জায়গাটা ঘুটঘুটে অন্ধকার । দরজা খোলা নাকি বন্ধ বুঝতে পারছি না । হঠাৎ মনে হল মোবাইলটা তো পকেটে থাকার কথা ।
মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে টর্চ অপশন খুঁজে বাটনে চাপ দিলাম ।
-কিন্তু একি !!!
তালা তো লাগানো । পুরানো তালা কিন্তু এখনো পুরো তালায় জং ধরে নি ।তবে কোথায় যেন একটা গড়মিল আছে ।কিন্তু কি সেটা । পুরো ঘটনাটা মাথায় ঘুরতে লাগলো ।আচ্ছা আমি উষ্ঠা খেলাম কিছের সাথে ? তালাটা কি একটু আগেই লাগানো হয়েছে ? ঘরের ভিতরে কি কেউ আছে ?
কেউ টা আসলে কি ? মানুষ নাকি রহস্যময় কিছু !প্রবল ঠাণ্ডা বাতাসে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না । মাথার মধ্যে সব ঘটনা গুলো পাকখেতে শুরু করেছে ।
আর তখনি মজিদ ভাইয়ের আওয়াজ পেলাম ।
-ভাইজান ,এখানে কি করেন ? চলেন চলেন কয়লা আনছি । দোকানদার তো ঘুমাইছিল ,আমি অরে ডাইকা তুলছি । তাই দেরি হয়ে গেল । চলেন ,মুরগী পুড়াই ।
মজিদ ভাইের হাতে একটা ছুরি ,রক্তমাখা ছুরি । চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । আমার গাঁ শিউরে উঠলো ।
-কি দেখতেছেন ভাইজান । ও এইটা কিছু না এইটা দিয়া মুরগী কাটছি তো । চলেন অনেক রাত হয়ে গেল মুরগী পুড়াইতে টাইম লাগবে ।
- ইয়ে মজিদ ভাই এই ঘরটাতে
-আরে এইখানে কিছু নাই ।আর রাতে বের হইছেন কেন । এই প্রাসাদ খুব একটা সুবিধার না । অনেক কিছু আছে এখানে অনেক কিছু । ভয় পাইলেন নাকি ।হা হা হা ।ভয় পাওয়ার কিছু নাই ।
এখন চলেন যাই ।
-হুম চলেন ।
মুরগী পোড়ানোর বেবস্থা করা হল পশ্চিমবাড়ির দিকটাতে । মজিদ ভাই আমাকে প্রাসাদটি সম্পর্কে গল্প বলতে লাগলো ।
বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। সকালে আমাকে ওখানে নিয়ে যাবেন তিনি ।
পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে ।বড় বড় মাছও নাকি আছে । রাজারানীর ভূত নাকি রাতে ঘুরাফেরা করে তাই একা একা বের হওয়া ঠিক না । পরিস্কার চাঁদের আলোয় তার গাঁ ছমছম গল্প শুনতে অনেক ভাল লাগছে ।
কিন্তু মনের মাঝে একটা বিষয় খুঁতখুঁত করছে । বেপারটি অনুধাবন করার চেষ্টা করতেছি কিন্তু পারছি না ।
-খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার থাকার ঘরে ফিরে এলাম । মজিদ ভাই নাকি পশ্চিমবাড়ির একটা ঘরে শোবে । দরজার ছিটকিনি ঠিক মত লাগিয়ে বালিশে মাথা দিলাম । ঘরটিতে কেমন যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি কিন্তু আগে তো ছিল না । কিছের গন্ধ এটা !!
-রক্তের কি !! শুকিয়ে যাওয়া রক্তের ।
-নাহ কি সব ভাবছি । আমি তো প্রাচীন বাংলার রুপ অনুধাবন করতে এসেছি ।এসব ভাবছি কেন । আমার তো এই সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করার কথা । কিন্তু কি যেন একটা ধরতে পারছি না ।
মজিদ ভাইয়ের কিছু কথা মনের মাঝে খটকা লেগে আছে । কি আসে ঐ ঘরে ? কেনই বা মজিদ ভাই এড়িয়ে গেলেন আমার কথা ? গন্ধটা কি ঐ ঘর থেকে আসছে ? শুকিয়ে যাওয়া রক্তের গন্ধ ।
না এসব ভাবনা বাদ দিতে হবে । আজকের রাতটা পার করেই বাসায় । কিন্তু ঘুম আসছে না একটা ভাবনা বারবার ভাবিয়ে তুলছে আমাকে ।
-একটা মুখ । কোথায় যেন দেখেছি ! কিন্তু মনে পরছে না ।

প্রায় বন্ধ জানালাটা দিয়ে চাঁদের অল্প আলো ঘরের দেয়ালের মধ্যে পরছে । মজিদ ভাইয়ের কাছথেকে একটা কাঁথা নেয়ার দরকার ছিল । একটু একটু ঠাণ্ডা লাগছে । মেঘের গর্জনের শব্দ পাচ্ছি । মনে হয় বৃষ্টি আসবে । হ্যারিকেন টা ভাল যায়গায় রাখতে হবে তাছাড়া বাতাসে নিভে যেতে পারে । আমার কাছে তো আবার ম্যাচ নেই ।
জানালায় চোখ রাখতেই একটা ছায়া দেখলাম । কিছের সেটা? জানালার পাশে কি কেউ এসে দাঁড়িয়েছে ।মানুষ নাকি রহস্যময় কিছু । আমি কি করছি সেটা কে দেখার চেষ্টা করবে ?
কেনই বা দেখার চেষ্টা করবে ???

বৃষ্টি শুরু হয়েছে । প্রচণ্ড বাতাসে মনে হয় দরজার খিল ভেঙে যাবে । প্রকৃতির কি মহিমা কখন কি রুপ ধারণ করে তা চিন্তা করাও মুশকিল । কিন্তু আমাকে রহস্যের সমাধান করতে হবে ।
-একটি মুখ , কোথায় যেন দেখেছি ।
মোবাইলটা বের করে আধুনিক বিজ্ঞানের আশ্রয় নিলাম । ইন্টারনেট কতোই না কাজে আসে আমাদের । পুরো পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয় । আমার দরকার ৩ মাস আগের পত্রিকা । একটা খবরের সন্ধান ।
-হে খোদা । প্রচ্ছদ দেখে আঁতকে উঠলাম ।
একটা গোঙ্গানির আওয়াজ পাচ্ছি । কেউ অনেক যন্ত্রণায় আছে । তাকে সাহায্য করতে হবে । আমাকেই করতে হবে ।
মনে হয় পাশের ঘর থেকেই আসছে । আর বসে থাকলে চলবে না । তাকে সাহায্য করতে হবে । সে অনেক অসহায়, যন্ত্রণায় কাতর ।
কিন্তু তার আগে একটা ফোন করতে হবে । স্থানীয় থানাতে ।
হারিকেনটা হাতে নিয়ে দরজা খুলে বের হলাম । বৃষ্টি আর প্রচণ্ড বাতাসে হ্যারিকেন নিভু নিভু অবস্থা ।ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম । গোঙ্গানির আওয়াজটা ঐ ঘর থেকেই আসছে । কিন্তু এবার ঘরের তালা খোলা ।
দমকা বাতাসে হ্যারিকেনটা নিভে গেলো । এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না । কিন্তু আমাকে তাঁকে সাহায্য করতে হবে । সে যন্ত্রণায় কাতর ।
সাহস করে এগিয়ে গেলাম । ঘরের দরজা খোলার সাথেসাথে গোঙ্গানির আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকার তার সাথে দমকা বাতাস । শোবার ঘর থেকে এই ঘরটা কতটুকু বড় বুঝতে পারছি না একপা-দুইপা করে এগুতে থাকলাম ।
কিছুই বুঝতে পারছি না মাথায় সব কিছু ঘোরপাক খেতে শুরু করেছে ।
আমার ভাগ্যে খুব একটা বিশ্বাস নেই । মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের চাবিকাঠি । কিন্তু এখন সব কিছু যেন ভাগ্যের উপর চলছে ।
পায়ের নিচে কি যেন পড়লো । কি এইটা !!! আমার হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম ।
-কারো হাত ,রক্তমাখা হাত । যন্ত্রণায় কাতর মানুষটির হাত ।
এই মুহূর্তে কোন নিউরন যেন বার্তা প্রেরণ করছে না । পৃথিবী যেন স্থির । সকল চিন্তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেছি ।
আমার পিছনে কি কেউ দাঁড়িয়ে আছে । বিকৃতমনা কোন মানুষ বা বীভৎস কোন জড় । ভাবনার যখন বিভোর ।
ঠিক তক্ষনি আমার ডান পাঁজরের হাড়ে একটি ধারালো অস্ত্র বিঁধে গেলো । এক মুহূর্তের জন্য মনে হল আমি মারা জাচ্ছি । জগতের সব কিছু থেকে মুক্তি নিয়ে হারিয়ে জাচ্ছি ।
জগতের নিয়ম বড়ই বেমানান ,একজন মানুষের সমাপ্তি আসলে কোথায় ?? নিজেকে পরাজিত হতে দিতে পারি না । কারণ আমাকে এর সমাপ্তি দেখতে হবে । যন্ত্রণায় কাতর মানুষটিকে বাঁচাতে হবে ।
অস্ত্রধারী বিকৃতমনা মানুষটাকে এক ঝটকা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম ।
ঘর থেকে বের হতে গিয়ে উষ্ঠা খেলে পরে গেলাম । যন্ত্রণায় আর কিছুই করতে পারছি না ।শরীরের সব শক্তি যেন শেষের পথে । নিজেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে জাচ্ছি ।
ঠিক তখন অস্ত্রধারী বিকৃতমনা মানুষটাকে দেখলাম । পত্রিকার প্রচ্ছদে দেখা সেই মানুষটি । মানুষ খুন করা যার পেশা সেই মানুষটি ।
চিনতে একদম ভুল হল না । সে এগিয়ে আসছে হাতে ধারালো অস্ত্র মুখে বিকৃত হাসি ।
আমার সর্ব শক্তি দিয়ে পিছিয়ে যেতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না । অমানুষিক যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে । আর পারছি না,আমার সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে । আমি মনে হয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি । ঝাপসা সব কিছু ঝাপসা ।
ঠিক তখন আমি তাকে দেখলাম । এক সাদা শক্তি ,সেই অদৃশ্য শক্তি যাকে ধ্বংস করা যায় না । সাদা এক আলো যেন আমাকে বলছে ভয় করিস না আমি আছি । পুলিশ এসে গেছে ।সব ঠিক হয়ে যাবে । আমি আছি । আমি তোর রক্ষা করবো ।
আমি তার দিকে হাত বাড়ালাম । সে হারিয়ে যাচ্ছে ----অনেক দূরে অনেক দূরে ।


আমার যখন জ্ঞান ফিরল আমি তখন হাসপাতালের বেডে ।
একজন পুলিশ অফিসার আমার সামনে দাঁড়িয়ে ।তিনি বললেন-
নামঃ মোঃ বোরহান তালুকদার
ছয়টি খুনের আসামী । জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে পত্রিকাতে অনেক লেখালিখি হয়েছে । নিজের গাঁ ঢাকানোর জন্য বালিয়াতি প্রাসাদের কেয়ারটেকারকে একটি ঘরে আটকে রাখেন তিনি । তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করেন ।
তবে কেয়ারটেকার বেঁচে আছে আর এসবই সম্ভব হয়েছে আপনার জন্য ।
আর আমি ?
আপনাকে আমরা সেই ঘরের সামনে অজ্ঞান অবস্থাতে পেয়েছি । খুনিকে আটক করা হয়েছে ।
তাঁকে ধরিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
পুলিশ অফিসার চলে গেলো । আমি ভাবতে লাগলাম সেই সাদা শক্তি নিয়ে । হইত তার শক্তিতেই আমি আজ বেঁচে আছি । তার রহস্য উদ্ঘাতন হল না ।
কিছু রহস্য হইত রহস্য হিসেবেই ভাল ।






৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×