পূর্ববাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, উত্তরবাড়ি, মধ্যবাড়ি এবং গোলাবাড়ি নামে বড় আকারের পাঁচটি ভবন । পূর্ব দিকের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও বাকি চারটি টিকে আছে এখনও।
আমি আছি মধ্য ভাগের টাতে ।
এখন রাত ১১.৩০
মজিদ ভাই আমার জন্য বেশ ভাল আয়োজন করেছে ।আমার থাকার বেবস্থা করেছে । ঘরটি খুব একটা বড় না , হারিকেনের আলোয় দেয়ালের ফাটলগুলো বেশ ভালভাবে দেখা যায় ।
ঘরের আসবাবপত্র বলতে একটা কাঁঠাল কাঠের চৌকি আর একটা ঘুণে খাওয়া টেবিল । পুরো বাড়িটিতে মানুষ আমি একা । মজিদ ভাই কয়লার বেবস্থা করতে গেছে । আজ রাতে মুরগী পুড়িয়ে খাব । ব্যাপারটিতে মজিদ ভাই বেশ আনন্দিত মনে হল ।
৫ বছর ধরে এই প্রাসাদটির দেখাশুনা করছেন তিনি ।
রমেশচন্দ্র মজুমদারের বাংলাদেশের ইতিহাস বইটির পাতা উল্টানো ছাড়া বর্তমানে আমার কোন কাজ নেই । ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতা নিয়ে আমার এক উন্মাদনা ছিল আছে আর থাকবে ।
আর তাই হয়তো আজ এখানে আসা ।
বালিয়াটি জমিদারবাড়ি । আঠারো শতকের মধ্যভাগে জমিদার গোবিন্দরাম শাহ বালিয়াটি জমিদারবাড়ি নির্মাণ করেন।
কতকিছুই না ঘটেছিল তখন এই প্রাসাদটিতে ।
শুনেছি এখানে নাকি অনেক আজব কিছু ঘটেছিল । যদিও এই বিজ্ঞানময় সময়ে অস্বভাবী কার্যকলাপ কেউ বিশ্বাস করে না । তবুও আমাদের সাথে এমন অনেক কিছুই হয় যার সঠিক সংজ্ঞা আমরা দিতে পারি না ।
আসবাবপত্রহীন ঘরটির খোলা দরজা দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস আসছে ।শীতের শেষ আর বসন্তের শুরুর সময়টা আমার একটু বেশি পছন্দের । আজ পূর্ণিমা কিনা জানা নেই তবে চাঁদের আলো বেশ পরিষ্কার ।
প্রাসাদটির ঠিক মাঝখানে দুইটি কুয়ো । এখন আর কোনটিতেই পানি নেই । শ্যাওলা আর আবর্জনায় প্রায় পূর্ণ । আজ থেকে দেড়শ বছর আগে হয়ত অনেক রমরমা ছিল এই প্রাসাদটি ।
সময় কতই না বিচিত্র !
এখন প্রায় বারোটা বেজে গেছে ,মজিদ ভাই এখনও আসছেনা কেন ? কয়লার বেবস্থা কি করতে পারে নি । একটা আওয়াজ পাচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে ।
-পাশের ঘরটিতে কেউ কি হাঁটছে ?
কিন্তু মজিদ ভাই তো এখনো আসে নি । কতকিছু জোগাড় করতে হবে তাকে ।মুরগী পুড়িয়ে খেতে তো আর কম ঝামেলা পোহাতে হয় না ।
- আওয়াজটা আরো স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি । যেন কেউ গুণে গুণে পা ফেলছে । এক মাথা থেকে অন্য মাথা পায়চারী করছে ।
-নাহ , হইত বাতাসের কারণে এমনটা শুনাচ্ছে ।খুব ঠাণ্ডা বাতাস একেবারে মন মাতানো । শহরের দালানকোঠায় এমন অনুভূতি পাওয়া অসম্ভব ।
তালা খোলার আওয়াজ পেলাম ,এইবার বুঝি মজিদ ভাই এসেছে । এবার উঠতে হবে মুরগী পুড়ানোর কাজটা আমাকে করতে হবে । তাছাড়া মজিদ ভাই সব গোলমাল করে ফেলতে পারে ।
কিন্তু মজিদ ভাই ঐ ঘরের তালা খুলছেন কেন !
ওইটা তো বন্ধঘর !
মজিদ ভাইও তো ঐ ঘরটিতে কখনো যাননি । কয়লা আনতে যাওয়ার আগেই তো বলেছিলেন।
আরো জোরে বাতাস শুরু হয়েছে ,কালবৈশাখীর মত ।
চলবে ...........................
ঘরের দরজা খোলার আওয়াজটা কানে এলো । এবার স্পষ্ট,একদম স্পষ্ট ।
কেউ চুরি করতে আসলো নাতো !!!
কিছু প্রাচীন দামি জিনিস তো থাকার কথা এই প্রাসাদে । এদিকে মজিদ ভাই কোথায় কে জানে ।
ব্যাগ থেকে টর্চলাইট টা বের করে হাঁটতে লাগলাম । টর্চের আলো অনেক কম । ব্যাটারি চালিত টর্চ, মনে হয় ব্যাটারি শেষের দিকে। দরজা পেরোতেই একটা উষ্ঠা খেলাম ।
টর্চটা মাটিতে পড়তেই বন্ধ হয়ে গেল । আর ঘরের ভিতরের শব্দ থেমে গেল ।
চাঁদের আলোতে হাতড়াতে হাতড়াতে দরজার কাছাকাছি গেলাম । হৃদস্পন্দন বেড়েই চলেছে । ঘরের একেবারে কাছে চলে এসেছি ।চাঁদের আলো না পড়ায় এই জায়গাটা ঘুটঘুটে অন্ধকার । দরজা খোলা নাকি বন্ধ বুঝতে পারছি না । হঠাৎ মনে হল মোবাইলটা তো পকেটে থাকার কথা ।
মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে টর্চ অপশন খুঁজে বাটনে চাপ দিলাম ।
-কিন্তু একি !!!
তালা তো লাগানো । পুরানো তালা কিন্তু এখনো পুরো তালায় জং ধরে নি ।তবে কোথায় যেন একটা গড়মিল আছে ।কিন্তু কি সেটা । পুরো ঘটনাটা মাথায় ঘুরতে লাগলো ।আচ্ছা আমি উষ্ঠা খেলাম কিছের সাথে ? তালাটা কি একটু আগেই লাগানো হয়েছে ? ঘরের ভিতরে কি কেউ আছে ?
কেউ টা আসলে কি ? মানুষ নাকি রহস্যময় কিছু !প্রবল ঠাণ্ডা বাতাসে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না । মাথার মধ্যে সব ঘটনা গুলো পাকখেতে শুরু করেছে ।
আর তখনি মজিদ ভাইয়ের আওয়াজ পেলাম ।
-ভাইজান ,এখানে কি করেন ? চলেন চলেন কয়লা আনছি । দোকানদার তো ঘুমাইছিল ,আমি অরে ডাইকা তুলছি । তাই দেরি হয়ে গেল । চলেন ,মুরগী পুড়াই ।
মজিদ ভাইের হাতে একটা ছুরি ,রক্তমাখা ছুরি । চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । আমার গাঁ শিউরে উঠলো ।
-কি দেখতেছেন ভাইজান । ও এইটা কিছু না এইটা দিয়া মুরগী কাটছি তো । চলেন অনেক রাত হয়ে গেল মুরগী পুড়াইতে টাইম লাগবে ।
- ইয়ে মজিদ ভাই এই ঘরটাতে
-আরে এইখানে কিছু নাই ।আর রাতে বের হইছেন কেন । এই প্রাসাদ খুব একটা সুবিধার না । অনেক কিছু আছে এখানে অনেক কিছু । ভয় পাইলেন নাকি ।হা হা হা ।ভয় পাওয়ার কিছু নাই ।
এখন চলেন যাই ।
-হুম চলেন ।
মুরগী পোড়ানোর বেবস্থা করা হল পশ্চিমবাড়ির দিকটাতে । মজিদ ভাই আমাকে প্রাসাদটি সম্পর্কে গল্প বলতে লাগলো ।
বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। সকালে আমাকে ওখানে নিয়ে যাবেন তিনি ।
পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে ।বড় বড় মাছও নাকি আছে । রাজারানীর ভূত নাকি রাতে ঘুরাফেরা করে তাই একা একা বের হওয়া ঠিক না । পরিস্কার চাঁদের আলোয় তার গাঁ ছমছম গল্প শুনতে অনেক ভাল লাগছে ।
কিন্তু মনের মাঝে একটা বিষয় খুঁতখুঁত করছে । বেপারটি অনুধাবন করার চেষ্টা করতেছি কিন্তু পারছি না ।
-খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমার থাকার ঘরে ফিরে এলাম । মজিদ ভাই নাকি পশ্চিমবাড়ির একটা ঘরে শোবে । দরজার ছিটকিনি ঠিক মত লাগিয়ে বালিশে মাথা দিলাম । ঘরটিতে কেমন যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি কিন্তু আগে তো ছিল না । কিছের গন্ধ এটা !!
-রক্তের কি !! শুকিয়ে যাওয়া রক্তের ।
-নাহ কি সব ভাবছি । আমি তো প্রাচীন বাংলার রুপ অনুধাবন করতে এসেছি ।এসব ভাবছি কেন । আমার তো এই সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করার কথা । কিন্তু কি যেন একটা ধরতে পারছি না ।
মজিদ ভাইয়ের কিছু কথা মনের মাঝে খটকা লেগে আছে । কি আসে ঐ ঘরে ? কেনই বা মজিদ ভাই এড়িয়ে গেলেন আমার কথা ? গন্ধটা কি ঐ ঘর থেকে আসছে ? শুকিয়ে যাওয়া রক্তের গন্ধ ।
না এসব ভাবনা বাদ দিতে হবে । আজকের রাতটা পার করেই বাসায় । কিন্তু ঘুম আসছে না একটা ভাবনা বারবার ভাবিয়ে তুলছে আমাকে ।
-একটা মুখ । কোথায় যেন দেখেছি ! কিন্তু মনে পরছে না ।
প্রায় বন্ধ জানালাটা দিয়ে চাঁদের অল্প আলো ঘরের দেয়ালের মধ্যে পরছে । মজিদ ভাইয়ের কাছথেকে একটা কাঁথা নেয়ার দরকার ছিল । একটু একটু ঠাণ্ডা লাগছে । মেঘের গর্জনের শব্দ পাচ্ছি । মনে হয় বৃষ্টি আসবে । হ্যারিকেন টা ভাল যায়গায় রাখতে হবে তাছাড়া বাতাসে নিভে যেতে পারে । আমার কাছে তো আবার ম্যাচ নেই ।
জানালায় চোখ রাখতেই একটা ছায়া দেখলাম । কিছের সেটা? জানালার পাশে কি কেউ এসে দাঁড়িয়েছে ।মানুষ নাকি রহস্যময় কিছু । আমি কি করছি সেটা কে দেখার চেষ্টা করবে ?
কেনই বা দেখার চেষ্টা করবে ???
বৃষ্টি শুরু হয়েছে । প্রচণ্ড বাতাসে মনে হয় দরজার খিল ভেঙে যাবে । প্রকৃতির কি মহিমা কখন কি রুপ ধারণ করে তা চিন্তা করাও মুশকিল । কিন্তু আমাকে রহস্যের সমাধান করতে হবে ।
-একটি মুখ , কোথায় যেন দেখেছি ।
মোবাইলটা বের করে আধুনিক বিজ্ঞানের আশ্রয় নিলাম । ইন্টারনেট কতোই না কাজে আসে আমাদের । পুরো পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয় । আমার দরকার ৩ মাস আগের পত্রিকা । একটা খবরের সন্ধান ।
-হে খোদা । প্রচ্ছদ দেখে আঁতকে উঠলাম ।
একটা গোঙ্গানির আওয়াজ পাচ্ছি । কেউ অনেক যন্ত্রণায় আছে । তাকে সাহায্য করতে হবে । আমাকেই করতে হবে ।
মনে হয় পাশের ঘর থেকেই আসছে । আর বসে থাকলে চলবে না । তাকে সাহায্য করতে হবে । সে অনেক অসহায়, যন্ত্রণায় কাতর ।
কিন্তু তার আগে একটা ফোন করতে হবে । স্থানীয় থানাতে ।
হারিকেনটা হাতে নিয়ে দরজা খুলে বের হলাম । বৃষ্টি আর প্রচণ্ড বাতাসে হ্যারিকেন নিভু নিভু অবস্থা ।ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম । গোঙ্গানির আওয়াজটা ঐ ঘর থেকেই আসছে । কিন্তু এবার ঘরের তালা খোলা ।
দমকা বাতাসে হ্যারিকেনটা নিভে গেলো । এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না । কিন্তু আমাকে তাঁকে সাহায্য করতে হবে । সে যন্ত্রণায় কাতর ।
সাহস করে এগিয়ে গেলাম । ঘরের দরজা খোলার সাথেসাথে গোঙ্গানির আওয়াজটা বন্ধ হয়ে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকার তার সাথে দমকা বাতাস । শোবার ঘর থেকে এই ঘরটা কতটুকু বড় বুঝতে পারছি না একপা-দুইপা করে এগুতে থাকলাম ।
কিছুই বুঝতে পারছি না মাথায় সব কিছু ঘোরপাক খেতে শুরু করেছে ।
আমার ভাগ্যে খুব একটা বিশ্বাস নেই । মানুষ নিজেই তার ভাগ্যের চাবিকাঠি । কিন্তু এখন সব কিছু যেন ভাগ্যের উপর চলছে ।
পায়ের নিচে কি যেন পড়লো । কি এইটা !!! আমার হাত দিয়ে স্পর্শ করলাম ।
-কারো হাত ,রক্তমাখা হাত । যন্ত্রণায় কাতর মানুষটির হাত ।
এই মুহূর্তে কোন নিউরন যেন বার্তা প্রেরণ করছে না । পৃথিবী যেন স্থির । সকল চিন্তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতেছি ।
আমার পিছনে কি কেউ দাঁড়িয়ে আছে । বিকৃতমনা কোন মানুষ বা বীভৎস কোন জড় । ভাবনার যখন বিভোর ।
ঠিক তক্ষনি আমার ডান পাঁজরের হাড়ে একটি ধারালো অস্ত্র বিঁধে গেলো । এক মুহূর্তের জন্য মনে হল আমি মারা জাচ্ছি । জগতের সব কিছু থেকে মুক্তি নিয়ে হারিয়ে জাচ্ছি ।
জগতের নিয়ম বড়ই বেমানান ,একজন মানুষের সমাপ্তি আসলে কোথায় ?? নিজেকে পরাজিত হতে দিতে পারি না । কারণ আমাকে এর সমাপ্তি দেখতে হবে । যন্ত্রণায় কাতর মানুষটিকে বাঁচাতে হবে ।
অস্ত্রধারী বিকৃতমনা মানুষটাকে এক ঝটকা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলাম ।
ঘর থেকে বের হতে গিয়ে উষ্ঠা খেলে পরে গেলাম । যন্ত্রণায় আর কিছুই করতে পারছি না ।শরীরের সব শক্তি যেন শেষের পথে । নিজেকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে জাচ্ছি ।
ঠিক তখন অস্ত্রধারী বিকৃতমনা মানুষটাকে দেখলাম । পত্রিকার প্রচ্ছদে দেখা সেই মানুষটি । মানুষ খুন করা যার পেশা সেই মানুষটি ।
চিনতে একদম ভুল হল না । সে এগিয়ে আসছে হাতে ধারালো অস্ত্র মুখে বিকৃত হাসি ।
আমার সর্ব শক্তি দিয়ে পিছিয়ে যেতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না । অমানুষিক যন্ত্রণা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে । আর পারছি না,আমার সবকিছু অন্ধকার হয়ে আসছে । আমি মনে হয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলছি । ঝাপসা সব কিছু ঝাপসা ।
ঠিক তখন আমি তাকে দেখলাম । এক সাদা শক্তি ,সেই অদৃশ্য শক্তি যাকে ধ্বংস করা যায় না । সাদা এক আলো যেন আমাকে বলছে ভয় করিস না আমি আছি । পুলিশ এসে গেছে ।সব ঠিক হয়ে যাবে । আমি আছি । আমি তোর রক্ষা করবো ।
আমি তার দিকে হাত বাড়ালাম । সে হারিয়ে যাচ্ছে ----অনেক দূরে অনেক দূরে ।
আমার যখন জ্ঞান ফিরল আমি তখন হাসপাতালের বেডে ।
একজন পুলিশ অফিসার আমার সামনে দাঁড়িয়ে ।তিনি বললেন-
নামঃ মোঃ বোরহান তালুকদার
ছয়টি খুনের আসামী । জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তাঁকে নিয়ে পত্রিকাতে অনেক লেখালিখি হয়েছে । নিজের গাঁ ঢাকানোর জন্য বালিয়াতি প্রাসাদের কেয়ারটেকারকে একটি ঘরে আটকে রাখেন তিনি । তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করেন ।
তবে কেয়ারটেকার বেঁচে আছে আর এসবই সম্ভব হয়েছে আপনার জন্য ।
আর আমি ?
আপনাকে আমরা সেই ঘরের সামনে অজ্ঞান অবস্থাতে পেয়েছি । খুনিকে আটক করা হয়েছে ।
তাঁকে ধরিয়ে দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
পুলিশ অফিসার চলে গেলো । আমি ভাবতে লাগলাম সেই সাদা শক্তি নিয়ে । হইত তার শক্তিতেই আমি আজ বেঁচে আছি । তার রহস্য উদ্ঘাতন হল না ।
কিছু রহস্য হইত রহস্য হিসেবেই ভাল ।