একরকম টিশার্ট কিনার মধ্যে দিয়ে উদ্দীপনা শুরু । প্রত্যাশিত ভাবে যাত্রা । সকাল ১১ টায় কল্যাণপুর থেকে গুলিস্তান এর দিকে চলা, তারপর দোয়েল পরিবহনে করে ঐতিহ্যের সোনারগাঁ । গাড়িতে ফান-গান এ অসাধারণ সময়।
অনুপম স্থাপত্য শৈলী, সবুজের সমারোহ এবং দৃষ্টিনন্দন লেক দিয়ে বেষ্টিত সোনারগাঁ জাদুঘর ।
শহরের ধুলি-ধুসরিত কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থেকে দূরে কিছুটাখন কাটিয়ে চরম এক অনুভূতি। জাদুঘরে রয়েছে ১১ টি গ্যালারী।প্রতিটি গ্যালারীতে রয়েছে দুর্লভ ঐতিহ্যর নিদর্শন এবং বাংলার প্রাচীন সুলতানদের ব্যবহৃত অস্ত্র, পোশাক, বর্ম, মুদ্রা ইত্যাদি।
এছাড়া জাদুঘর চত্বরেই আছে দুজন অশ্বারোহীর ভাস্কর্য, দৃষ্টিনন্দন লেক, গরুর গাড়ির সংগ্রাম ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন রকমের হস্তশিল্প।
এখানেই শেষ না, জাদুঘর থেকে বের হয়ে কিছুদূর এগিয়ে পেয়ে গেলাম চোখ জুড়ানো পানাম নগরী, যা দেখে সত্যি চোখ জুড়িয়ে যায়।
এখানে আঠার ও উনিশ শতকে বস্ত্র ব্যাবসায়ীরা বিলাসবহুল বাসস্থান গড়ে তোলে। দুতলা উঁচু সারি সারি কোঠা দিয়ে গঠিত পানাম নগরী ছিল রাজধানী সোনারগাঁয়ের প্রাণকেন্দ্র। এর বেশীরভাগই ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনও পানামে আছে অনেক প্রাচীন ইমারতরাজি।
বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি।
অসাধারণ এক কথায় অসাধারণ ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫০