ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ
"অনেক অনেক ইবাদতের আমলের চেয়েও একটা গোনাহ একজন ব্যক্তির জন্য অনেক বেশী কল্যাণের কারন হতে পারে যদি তা তাকে তওবার দিকে ধাবিত করে। এটাই আমাদের সৎকর্মশীল পূর্বসূরীদের (সালাফ) একজন বলেছেনঃ "হতে পারে যে এক ব্যক্তি একটা গুনাহ করল যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলঃ "এটা কীভাবে সম্ভব?" তিনি বললেন, "সে একটা গুনাহ করেছে এবং সব সময় এ সম্পর্কে ভেবেছে। সে দাঁড়ানো, বসা এবং হাটা অবস্থায় এ গুনাহকে স্মরণ করে লজ্জিত হয়েছে এবং এজন্য আল্লাহর কাছে তওবা করেছে ও মাফ চেয়েছে আর অনুশোচনা করেছে। সুতরাং এটা তার মুক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে সে হয়তো কোন ভাল আমল করেছে এবং সে সম্পর্কে সব সময় চিন্তা করেছে। সে উঠতে, বসতে এবং হাটতে সবসময় এ সম্পর্কে ভেবে ভেবে আত্মতৃপ্তি লাভ করেছে এবং অহংকারে নিপতিত হয়েছে। আর এটাই তাকে ধ্বংস করেছে।"
(উপরের অংশটা একজন গুগল ফ্রেণ্ডের বাজ ইনফো থেকে নেয়া।)
রসূলুল্লাহর নিম্নোক্ত হাদীসে উপরের কথাগুলোর সমর্থন পাওয়া যায়ঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَسْعَدَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ
আনাস (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন, “সমস্ত আদম সন্তানই গোনাহগার। আর গোনাহগারদের মধ্যে উত্তম হচ্ছে তারা যারা তওবা করে।” [তিরমিজ়ী, ইবন মাজাহ]
এই হাদীসের শিক্ষাঃ
১। মানুষ সাধারণত সীমাবদ্ধ শক্তির অধিকারী হয়ে থাকে, সে যতই তাক্বওয়াবান হোকনা কেন।
২। আল্লাহর আনুগত্য ও নাফরমানীর ক্ষেত্রে মানুষ বিভিন্ন মর্যাদার অধিকারী হয়ে থাকে।
৩। মুসলিমদের জন্য এটা জরূরী যে তারা গোনাহ করা ত্যাগ করবে এবং তওবার ব্যাপারে তাড়াহুরা করবে।
৪। আল্লাহর করুণা অত্যন্ত বিরাট।
৫। সকল গোনাহ থেকে তওবা করা জরূরী।
৬। একজন মুসলিম কখনোই আল্লাহর রহম ও ক্ষমা থেকে নিরাশ হতে পারেনা।
৭। যখনই কোন গোনাহ হয়ে যায় তখনই একজন মুসলিমের উচিৎ তওবা করা।
৮। তওবা আল্লাহ পসন্দ করেন এবং তওবার পরে গোনাহগুলোকে আল্লাহ সওয়াবে পরিবর্তিত করে দেন। আল্লাহ বলেছেন (তরজমা)ঃ "কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।" [কুরআন, ২৫/৭০-৭১]
বিঃদ্রঃ - শিক্ষাগুলো সংকলিত। বিচ্ছিন্ন কিছু কাগজে পাওয়ায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে পারছিনা। শুধু ৮ নং আমার নিজস্ব যোগ করা।
সুত্র- Click This Link