অভিযাত্রী কলম্বাস শুধু আমেরিকাই আবিষ্কার করেননি তিনি আরো মজার মজার জিনিসও আবিষ্কার করেছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে মজার জিনিসটি হলো চকোলেট।
আসলে তিনি আমেরিকা আবিষ্কার করতে গিয়েই এরকম চমকপ্রদ চকোলেট আবিষ্কার করে ফেলেন। তিনি প্রথমে সেখানে গিয়ে দেখেলেন ওদেশের আদিবাসীরা ক্যাক্যাও নামে একজাতের ফল থেকে সুস্বাদু পানীয় তৈরি করছে। ক্যাক্যাও গাছের ফল থেকে শাঁস বের করে রোদে শুকিয়ে নেয়। তারপর ছেলে বুড়ো সবাই ওগুলো খায়। এটা দেখে ভারী মজা লাগলো কলম্বাসের।
তারপর একজন আদিবাসী সর্দার তাঁকেও ক্যাক্যাও গাছের ফলের তৈরি পানীয় পান করালেন। কলম্বাস দেখলেন পানীয়টি খেতে বেশ মজার। খেলে মনে খুব স্ফুর্তি হয়, স্বাদটাও বেশ। শরীরের অবসন্নতা কেটে যায়। ভারী মনে ঢরে গেল তার।
তারপর তিনি যখন দেশে ফিরে এলেন তখন সঙ্গে করে নিয়ে এলেন অনেকগুলো ক্যাক্যাও ফল। আর ক্যাক্যাও ফল থেকে কেমন করে পানীয় তৈরি করতে হয় সে বিদ্যাটা রপ্ত করে এলেন। তারপর দেশে এসে প্রচার করলেন তার এই নতুন আবিষ্কার।
এই ক্যাক্যাও গাছের ফল থেকে তৈরি হতে থাকে নানা রকম সুস্বাদু খাবার। ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের সময় থেকেই সারা ইউরোপে চকোলেট এবং কোকো দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করে এখনতো সারা পৃথিবী জুরে এর প্রচন্ড নাম।
এই ক্যাক্যাও বা কোকো গাছ লাগাবার তিন চার বছরের মধ্যেই ফল দেয়। একটানা ৪০ বছর ধরে ফল দেয়। তাদের গুরি থেকেই গোলাপী রঙের ফুল হয়, তারপর ফুল থেকে বের হয় সবুজ রঙের ফল। পাকলে ফলগুলো অনেকটা কমলালেবুর মতো হয়। এই পাকা ফলগুলোর ভেতরেই থাকে বিচি। যা থেকে কোকো তৈরি হয়।
সুস্বাদু খাবার তৈরি করার সময় অবশ্য এর সাথে দুধ, চিনি এবং আরো অনেক রকমের জিনিসও মেশানো হয়। তবেই তৈরি হয় আধুনিক চকোলেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৯