somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লন্ডনে কেমন আছেন তারেক রহমান

০৮ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিকিত্সা এখনও শেষ হয়নি। এখনও তাকে বাম পা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে। তাকে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হয় এবং থেরাপিও নিতে হয়। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও অনেক সময় লাগবে। তবে লন্ডনে চিকিত্সার পাশাপাশি পড়াশোনা করে তার সময় কাটছে। ইন্টারনেটে নিয়মিত বাংলাদেশের পত্রিকা তিনি পড়েন। বিশেষ করে দৈনিক আমার দেশ পড়েন নিয়মিত বলে জানান তিনি। একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানও লন্ডনে পড়াশোনা করছে। চিকিত্সাধীন তারেক রহমানের সঙ্গী স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান পাশে থেকে তাকে মানসিক সাহস জোগাচ্ছেন।
চিকিত্সা শেষ হওয়ার আগে তার দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। ডাক্তার যতক্ষণ পর্যন্ত নিয়মিত চিকিত্সা নিতে বলবেন এবং যতদিন পর্যন্ত পুরো সুস্থ হয়েছেন বলে ডাক্তার সার্টিফাই না করবেন ততদিন পর্যন্ত তাকে সেখানেই থাকতে হবে।
লন্ডন সফরকালে চিকিত্সাধীন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হলে কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন খোলামেলা।
বলেন, এখন আমি দেশের রাজনীতির বাইরে রয়েছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন এবং দলের স্থায়ী কমিটি বসে নীতিগত সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আল্লাহ সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিলে আবার যখন দেশে ফিরে আসবেন তখনই রাজনীতি নিয়ে চিন্তা। এর আগে রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানান। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনও পুরো সুস্থ হইনি। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে। দেশে ফেরা প্রসেঙ্গ বলেন, ডাক্তার যতদিন ছুটি না দেবেন ততদিন পর্যন্ত দেশে যাওয়ার চিন্তাই করা যাবে না। ডাক্তার ছুটি দিলেই কেবল দেশে ফেরার চিন্তা করা যাবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি, এজন্য ছোট বেলা থেকেই রাজনীতি কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। নিজেও দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। রাজনীতি করার সুবাদে সব সময় দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়েই ছিল যত ভাবনা।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম স্বনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক সেটাই ছিল বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতির জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করে গেছেন। এই চিন্তা ও আদর্শ ধারণ করেই আগামী দিনে বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, কাজ করলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে যতরকম অপপ্রচার হয়েছে কোনোটাই জরুরি আইনের সরকার ও বর্তমান সরকার প্রমাণ করতে পারেনি। দেশের মানুষ একদিন এই অপপ্রচার সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। অপপ্রচারের কারণে মানুষের মধ্যে কোনো ভুল ধারণা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই দূর হবে।
১/১১’র জরুরি আইনের সরকার বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য আসেনি। দেশের মানুষ এখন হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে জরুরি আইনের সরকার ছিল একটি পুতুল সরকার। জরুরি আইনের সরকার যখন ক্ষমতা নেয় তখন দেশের কিছু মানুষ তাদের সাপোর্ট করেছিল কি না সেটা বড় কথা নয়, অল্পদিন পরই মানুষের ধারণা পাল্টে গেছে। জরুরি আইনের সরকার তাদের কৃতকর্মের কারণেই বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি। তাদের একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা ছিল। এই এজেন্ডা অনুযায়ী নির্যাতনের ক্ষত এখনও বহন করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জরুরি আইনের সরকারের এজেন্ডাই ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে নির্যাতন করা। সেই নির্যাতনের ক্ষত নিয়েই তারেক রহমান লন্ডনে চিকিত্সা নিচ্ছেন এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোও চিকিত্সাধীন রয়েছেন। বর্তমান সরকারও যা করছে দেশের মানুষ নিশ্চই বুঝতে পারছে। সরকার যদি ভালো কাজ করে দেশের মানুষ সেভাবে মূল্যায়ন করবে। সরকার যদি নির্বাচন পূর্ব ওয়াদা অনুযায়ী দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে না পারে সেটাও মূল্যায়ন করবেন জনগণ। জনগণকে সেই মূল্যায়নের সুযোগ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, তারেক রহমান ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট থেকে জামিনের পর চিকিত্সার জন্য লন্ডনে যান। তার স্বাস্থ্য রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিদেশে চিকিত্সার জন্য সুপ্রিমকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিল। তখন ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিনের জরুরি আইনের সরকার ছিল ক্ষমতায়। এর আগে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক অভিযোগে বিভিন্ন রকমের মামলা দেয় জরুরি আইনের সরকার। দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। একদিন তিনি নিজেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের লোমহর্ষক নির্যাতনের বীভত্স কাহিনী তুলে ধরেছিলেন। কিভাবে তার চোখ সারাক্ষণ বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হতো সেই বর্ণনা দিয়েছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। তারপরও জরুরি আইনের নিয়ন্ত্রিত ম্যাজিস্ট্রেট তারেক রহমানকে আবারও রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেয়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আকুতিও ম্যাজিস্ট্রেট গ্রহণ করেননি সেদিন। @আমারদেশ
১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×