অধির মনযোগে আকাশ দেখছে কাব্য।সে ভাবছে কি করবে ভবিষ্যতে.. পরক্ষণে আবার ভাবে ভবিষ্যৎ তো অনেক দূর, একটু পর সে কি করবে!
.
নাহ এভাবে চলতে পারে না।সময় বয়ে যাচ্ছে। ক্ষানিক বাদে 'কিছুক্ষন পর' ই অতীত হয়ে যাবে। ক্লাস নাইনে পড়া কালে যেই স্যাররা বলতো '২ বছর সময় আছে, ভালো করে পড় সব কমপ্লিট হয়ে যাবে।' সেই স্যারেরাই এখন বলে '১৫ দিন পর এস এস সি। যা পড়েছিস সেগুলোই রিভিশন দে'
.
পড়ার কথা থাক। সারাদিন এই জঘন্য কাজ করতে করতে সে ক্লান্ত। কারও সাথে দেখা হলেই কেউ না কেউ একগাদা জ্ঞান দিয়ে ভরিয়ে দিবে। পড়া নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করার চেয়ে অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করা ভালো হবে। পড়ার চিন্তাটা কারও দেয়া জ্ঞান থেকে ছাঁটাই করে আয়ত্ব করে নেয়া যাবে।
.
কিন্তু কি নিয়ে চিন্তা করবে সেটাও এক ধরণের চিন্তা। কিন্তু চিন্তা করা কি প্রয়োজনীয়? ক্যান সে চিন্তা করছে? স্তব্ধ হয়ে তার ছোট বোনের খেলনা রোবট টাও তো দাঁড়িয়ে আছে। সেটা চিন্তা করছে না ক্যান?
.
আবার সে বুঝতে পারলো সে চিন্তার উপর দিয়ে পুনরায় চিন্তা করছে।
.
নাহ্! এভাবে হবে না। বইয়ের কাকতাড়ুয়া উপন্যাসে বুধা কত সুন্দর কাকতাড়ুয়া সেঁজে থাকে। তখন তো সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। শরীরের সকল কনিকাও বোধয় স্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু মনের কনিকাগুলো কি করে তখন? ঐগুলাও কি স্থির থাকে? বুধা কি ভাবে তখন?
.
তাহলে তো কাব্য নিজেও একজন কাকতাড়ুয়া। সেও তো স্থির হয়ে বসে আছে। শুধু তার মন চলছে। মনকে থামানো যাচ্ছে না কিছু তেই। যতই সে চিন্তা থামানোর চেষ্টা করছে তার চিন্তা বোধয় বর্গানুশারে আরও বাড়ছে। ক্যান থামছে না এই চিন্তা? এটাও তো একটা চিন্তা!
#চিন্তনীয় *_*
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৮