দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে
পাকিস্তান।আর সেটা হতে পারে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়ে।আগামী মাসে পাকিস্তানে প্রস্তাবিত তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করতে গেছেন বিসিবির প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামালসহ বাংলাদেশের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিজ নিয়ে ইতিবাচক কথা শুনিয়েছেন মুস্তফা কামাল।
বিসিবির প্রধান ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানোর ইঙ্গিত দিলেও ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ফিকা) মনে করছে, ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তান এখনো অনিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘মিড ডে’ ট্যাবলয়েডকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ফিকার প্রধান নির্বাহী টিম মে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলা চলার সময়ের চেয়েও এখন পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি।’ টিম মে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের জন্য পাকিস্তান সফর এখনো অনিরাপদ। ফিকা আশা করে, খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে পাকিস্তানে। তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে, এটা আগে নিশ্চিত করতে হবে।’ ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলকে বহনকারী বাসে গুলি চালায় জঙ্গিরা। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ক্রিকেটাররা। ভয় ওআতঙ্কে দেশে তড়িঘড়ি করে ফিরে যায় শ্রীলঙ্কা। এর পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তান সফর থেকে বিরত আছে ক্রিকেট খেলুড়েদেশগুলো।
এ অবস্থায় আমাদের ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানো কতটা যৌক্তিক? সেটা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে।বাংলাদেশ দলের কোচ স্টুয়ার্ট ল ইতিমধ্যেই পাকিস্তান না যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারনে এই ট্যুরের ব্যাপারে ক্রিকেটাররাও যে অনাগ্রহী সেটা বুঝতে সাইকিয়াট্রিস্ট হওয়ারও দরকার হয় না।মুস্তফা কামাল পরবর্তী আইসিসি সভাপতি হওয়ার জন্য পাকিস্তানের সমর্থন চাইছেন তাই মূলত তার আগ্রহেই বাংলাদেশ এ ট্যুরে সম্মত হয়েছে।কিন্তু একজনের ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য পুরো ক্রিকেট টীমকে জীবনের ঝুকির মুখে ফেলে দেয়া যায় না।আসুন আমরা আমাদের প্রিয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার জন্য বিসিবির কাছে আসন্ন পাকিস্তান ট্যুর বাতিলের দাবি জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৫৬