শুধু গ্রীস নয় সমগ্র সভ্যতাকেই নতুন আলোর সন্ধান দিয়েছিলেন এথেন্সের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো এই মহান পুরুষ।জন্ম:৪৭০ খ্রী.পূর্বাব্দে যখন সবেমাত্র এথেন্সে নগর রাষ্ট্র গড়ে ওঠতে শুরু করেছে।নগররাষ্ট্রে নাগরিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের জন্য নৈতিক গুনাবলী বিকাশের প্রয়োজনীয়তা ছিল অত্যন্ত বেশী। সমসাময়িক কালে গ্রীসে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দানে নিয়োজিত ছিল সোফিস্ট রা।নৈতিকতার বিষয়ে সোফিস্টদের মতামত ছিল এটা প্রয়োজনের নিরিখে পরিবর্তন ও হতে পারে।সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন নৈতিকতার একটি সাধারণ এবং সার্বজনীন মানদন্ড রয়েছে যা কখনো পরিবর্তন হয় না।এবং মানুষের বিবেকবোধ থেকেই তা উত্সারিত।তিনি এথেন্সের পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষকে প্রশ্ন করতেন।প্রশ্নের মাধ্যমেই মানুষের নতুন ভাবনা-চিন্তার খোরাক যোগাতেন।প্রশ্নের ধারাগুলো ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এক সময় ঐসব ব্যক্তিরা যখন নৈতিকতার বিষয়ে উত্তর দিতে অসহায় বোধ করতো তখন সক্রেটিস তাদের বিবেকের আশ্রয় নিতে উদ্বুদ্ধ করতেন।সক্রেটিস ভাবতেন তিনি খুব সামান্যই জানেন এবং এ অনুভূতি তাকে সব সময় ই ব্যাথিত করতো।যদিও সমসাময়িক গ্রীসে তার মত ঞ্জানী আর কেউ ছিল না।
হাজারটা উত্তরের চেয়েও যে একটা প্রশ্ন অনেক বেশী বিষ্ফোরক হতে পারে অচিরেই এথেন্সের শাসকরা তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়।তারা সক্রেটিসকে তাদের শাসনের পথে বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তরুণদের বিপথগামী করার জন্য অভিযুক্ত করে।৫০০ সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড খুব সামান্য সংখ্যাধিক্যে সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়,৩৯৯ খ্রী. পূর্বাব্দে ।হেমলক পাণে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।তার শুভাকাঙ্খীদের মতানুসারে তিনি তার কাজের জন্য বিচারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারতেন কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:০৭