এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি। আমার চাইনিজ কলিগের নামটাই শুনুন। ‘গু’। আপনাদের কাছে মনে হতে পারি গুল মারছি। কিন্তু কসম বলছি, স্রেফ সত্যি। ইউকে’তে সবকিছুই এজেন্সি। বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে চাকরি পেতে হলেও যেতে হয় এজেন্সির কাছে। চাইনিজ সেই ছেলে গুয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ইভেন্টে একি এজেন্সি থেকে কাজ করতে যাই।
আবার এক হোটেলে মাঝে মাঝে কাজে যাই। সেখানে ওয়াইন বারে বারম্যান লোকটি পর্তুগীজ। নাম ‘নুনু’।
১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী লন্ডনের সেলফ্রিজেস বিপনিবিতাণে কাজ করার সময় পরিচয় হয় ‘বোজেনা’র সঙ্গে। ইউরোপের ছোট্ট দেশ লিথুনিয়া থেকে আসা। ওর তিন বছরের ছেলেটাকে একদিন সাথে করে নিয়ে আসে। বাসায় একলা থাকবে তাই। নাম ‘কিতা’।
গ্রিক-ব্রিটিশ এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হল একদিন। নাম ‘পানি’। বাংলায় ওর নামের অর্থ বললাম। জানালো, হিন্দিতে সেটার মানে ওয়াটার বলে ও জানে, বাংলায়ও এমন তা জানত না।
উচ্চারণের কারণেও নাম বদলে যায়। যেমন ‘মাহবুব’ নামটাকে ওরা উচ্চারণ করে ‘মাইবুব’। বুব মানে ইংরেজিতে স্তন। তাহলে মাই বুব মানে অর্থটা কি দাঁড়ায়?
আর হ্যাঁ, এখানে প্রথম নাম ধরেই যেহেতু সবাইকে ডাকা হয়, বেশিরভাগ বাংলাদেশীদের নাম তাই মোহাম্মদ বা আব্দুল। শুধু বাংলাদেশী না, বিভিন্ন দেশের মুসলমান লোকদের কমন নাম এ দুটো। আমার এক বন্ধুর নাম আবুল কালাম আজাদ। কাজে জয়েন করে সে যে নাম ব্যাজ পেয়েছে, তাতে লেখা ‘আবুল’। সবাই ডাকেও অই নাম ধরে। বেচারির যে কি মন খারাপ। বলে, ওদের পইপই বললাম কালাম নামে ব্যাজ বানাবি, শালারা দিল আবুল।