!@@!484981 !@@!484982 । !@@!484983 !@@!484984 । !@@!484985 !@@!484986 ।
!@@!484987 !@@!484988
[জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির আয়োজিত ৩য় জহুরুল হক-আল মুতী বিজ্ঞান বক্তৃতামালায় "উইকিপিডিয়াঃ জনমানুষের বিশ্বকোষ শিরোনামে বক্তব্য রেখেছিলাম। ঐ ভাষণটির অনুলিপি পর্যায়ক্রমে যোগ করছি। আজ এর পঞ্চমপর্ব পোস্ট করলাম]
* কেন বাংলাতে বিশ্বকোষ দরকার
বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা। ১৯৫২ সালে এই বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে রক্ত দিয়েছেন সালাম বরকতেরা। এই বাংলা ভাষায় জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাই আমাদেরই কর্তব্য। অথচ এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটে বাংলা পিছিয়ে আছে অনেকাংশেই। ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা ওয়েবসাইটের সংখ্যা ইন্টারনেটে হাতে গোনা। আর ইমেইল থেকে শুরু করে এসএমএস সহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের নতুন প্রজন্ম বাংলার চেয়ে ইংরেজিতেই বেশি সাচ্ছন্দ্য অনুভব করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাংলা হরফের বদলে ইংরেজি হরফে লেখা হয় বাংলা। ইন্টারনেটে যেহেতু ইংরেজি ভাষার জয়জয়কার, সারা বিশ্বের অধিকাংশ তথ্য যেহেতু ইংরেজিতে, তাই আস্তে আস্তে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় বাংলার বদলে ইংরেজিই প্রাধান্য পেয়ে যাচ্ছে।
এর পাশা পাশি রয়েছে আমাদের ইতিহাস আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার তাগিদ। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেরই রয়েছে চমৎকার সব ইতিহাস। যেমন ধরুন, এই যে আজিমপুর এলাকার নামকরণ করা হয়েছে মোগল শাহজাদা আযম, অথবা মতান্তরে নায়েবে নাজিম আজিমউশশানের নামানুসারে। পলাশী ব্যারাক এলাকা, বকশীবাজার, কারওয়ান বাজার ু প্রতিটিরই নামের পেছনে আছে অনেক অনেক কাহিনী। আরো আছেন আমাদের ইতিহাসের জানা অজানা অনেক মানুষের কথা ু শূণ্য পুরাণের রচয়িতা রামাই পন্ডিত, বাঁশের কেল্লার তিতুমীর, অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের প্রীতিলতা। এঁদের কথা সারা বিশ্বের অনেক বিশ্বকোষেই স্থান পায় নি। এর কারণ কিন্তু এরকম না যে, এঁরা উল্লেখযোগ্য নন। আসলে তো বিদেশীদের জন্য আমাদের দেশের অনেক তথ্যই রয়ে গেছে অজানা। সেই তথ্যকে সংরক্ষণ করতে এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরকেই।
মনে রাখতে হবে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষা করার কাজটা বিদেশ থেকে এসে কেউ করে দিবে না, এটা করতে হবে আমাদের নিজেদেরই।
!@@!485246 !@@!485247 আমাদের এই সুযোগটা করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি শহর, জনপদের উপরে সেখানে নিবন্ধ তৈরী করা হচ্ছে, আর তার সাথে যোগ করা হচ্ছে সেখানকার ইতিহাস। কাজটা মোটেই সহজ না, তবুও আস্তে আস্তে এগোনো হচ্ছে।
বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যের সমন্বিত সংকলনের বড়ই অভাব। একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্বকোষ কিনতে হাজার হাজার টাকার দরকার হয়। তাই তা অনেকেরই নাগালের বাইরে থেকে যায়। কিন্তু উইকিপিডিয়া পাওয়া যাচ্ছে বিনা মূল্যেই, আর এর তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে প্রতি নিয়তই, যা অন্য বিশ্বকোষে হয় না। উইকিপিডিয়ার তথ্য পেতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ লাগবেই, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। এমন ব্যবস্থাও করা সম্ভব, যে পুরো উইকিপিডিয়ার ছোট একটি সংস্করণ একটা কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে, বা সিডিতে করে সংরক্ষণ করা যায়।
[চলবে]
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ভোর ৪:৪১