গত ১লা ফেব্রুয়ারী ছিল বাংলা ব্লগদিবস। এবারই প্রথম এই দিবসটি পালন করা হয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার কেক কেটে দিবসের উদ্বোদন করেন। এ উপলক্ষে বিকেলে ব্লগাররা ছবির হাটে আড্ডার আয়োজন করে। আড্ডা শেষে সন্ধ্যায় বইমেলায় আমার ব্লগের স্টল উদ্বোদন করা হয়। এই হলো আমার ব্লগের বাংলা ব্লগদিবস পালনের সংক্ষিপ্ত বিবরণী।
এরপরপরই সামহোয়ারইন ব্লগে আমার ব্লগের ব্লগ দিবস পালনকে ব্যঙ্গ ও কটাক্ষ করে কিছু পোস্ট আসে। পোস্টগুলো যথারীতি সেইসব ব্লগারদের যারা সামহোয়ারইন ব্লগকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ব্লগে প্রথিতযশা রেসি ব্লগার ফিকশন পাইপ তার ব্যঙ্গ পোস্টে বিয়ানীবাজার সমিতিরব্লগ দিবস, কলিকাতা ব্লগ দিবস বলে আত্মরতিয় আনন্দ লাভ করার চেষ্টা করেছেন। আত্মরতিয় বলচি এই জন্য যে, একসময় তিনিই এই ব্লগ টিকবে না বলে ধুয়া তুলেছিলেন। অথচ আজ এই ব্লগের উত্থান ঠেকানোর জন্য তাকেই বিষেদেগার করতে হয়!
তিনি আরও বলেছেন মোটে আটজন ব্লগার নাকি উপস্থিত ছিল। এরমধ্যে দুইজন পথচারী এই না হলে রেসি ব্লগার । অথচ পোস্টে দেয়া ছবিতেই ওনার এই কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ভাঁড়ামির জন্য কী জঘণ্য মিথ্যাচার। আপনার মতো এরকম লোকহাসানো ব্যক্তি যে কোন রাজ সভাসদে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্যতা রাখে। দুর্ভাগ্য সে ঐতিহ্য আজ নেই। তাতে কি হলো সামুকে এরকম ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে তো কোনো বাধা নেই।
উক্ত পোস্টে কোনো একজন ক্লীব ওরফে লিলিপুট নুন-মরিচের হিসাব কষে সেই একই রকম স্টাইলে আবারও আত্মরতি করেছেন।। রেসি সর্দার তার লম্বাটে জিভের কাজ এখানেও করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন ভীষণ...!
ঠিক বুঝলাম না এই ভীষণটা কি। সেটা কি ভীষণ বড় যে লেহনে অস্বস্তি কিংবা আরামপ্রদ।
আচ্ছা সামু যখন ব্লগ দিবস পালন করে তখন কি হয়েছিল। ষণ্ডমিয়া গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব কষিয়া ঊনিশ কে নির্ধারণ করিলেন। অতঃপর সকল রেসিবর্গ উহাকে সমর্থন করিলেন। তো সেই দিন কেবল রেসি সার্কেলের কিছুসংখ্যক উপস্থিতি। অতঃপর রেসিরা জয়হোক, মুবারক হোক শব্দমালা জপ করে গুনকীর্তন। সর্দারের মাইক্রোফোন হাতে বক্তিমা। এইতো, এই হলো সামুর স্বেচ্ছাচারী ব্লগদিবস পালন।
যেহেতু বাংলাভাষাকেন্দ্রিক সব কিছুই ফেব্রুয়ারীকে ঘিরে সুতরাং একথা জোর দিয়েই বলা যায় যে, বাংলা ব্লগ দিবস হিসেবে একসময় ১লা ফেব্রুয়ারী দিনটিই প্রতিষ্ঠা লাভ করেব।