বেশ কিছুদিন থেকে ভাবছিলাম পতিসরে বেড়াতে যাব- এখানে বসে রবীন্দ্রনাথ বেশ কয়েকটি লেখা লিখেছেন, তাছাড়া কৃষকদের জন্য কৃষি-ঋণের ব্যবস্থা করেন এবং নোবেল পুরষ্কারের এক লক্ষ টাকা তিনি এখানে ব্যয় করেন।অবশেষে গতকাল সুধাংশু বাবু এবং বউদি যখন বেড়াতে আসলেন তখন হঠাত করে আমরা ঠিক করলাম আজ (১৭-৮-২০১২) সকালে পতিসরে বেড়াতে যাব। সকাল সাড়ে আটটায় আমরা জয়পুরহাট রেল স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম, সোয়া নয়টায় রূপসা ট্রেন খুলনার উদ্দেশে যাবে, আমরা আত্রায় স্টেশনে নামব। টিকিট পার হেড ত্রিশ টাকা। ঈদের পর ট্রেনে ভিড় থাকাটা স্বাভাবিক। আত্রায় নেমে আমরা ছোট্ট একটি ছিমছাম হোটেলে সিঙ্গাড়া, পিয়াজি এবং চা খেলাম। সত্যি বলতে কি খুব ভাল লাগলো। তারপর একটি সিএনজি ভাড়া করলাম দেড়শো টাকা দিয়ে পতিসর পর্যন্ত। ড্রাইভার বলল, আত্রায় থেকে পতিসর ১৬ কিলো মিটার। রাস্তার দুধারে তাল গাছের সারি। শুনলাম একটি মাদ্রাসার ছাত্ররা তালগাছগুলো লাগিয়েছে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা রবীন্দ্রনাথের কাছারি বাড়ীতে পৌছলাম।
গেটের ছবি আমরা আগেই ছবিতে দেখেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে আরো ভাল লাগল। বাইরে থেকে গেট দিয়ে ভিতরে তাকালে রবীন্দ্রনাথের একটি মূর্তি চোখে পড়বে। আমরা গেটের সামনে এবং মূর্তির সামনে ছবি তুললাম।
কেয়ারটেকার আব্দুল লতিফ আমাদেরকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত আসবাব পত্র, ছবি এবং অন্যন্য মূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন দেখালেন। আমরা সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর নাগর নদীর কাছে গেলাম- এই নদী দেখে রবীন্দ্রনাথ ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’ কবিতাটি লেখেন। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ চিত্রা, চৈতালি, কল্পনা ও ক্ষণিকা কাব্যের অনেক কবিতা এবং কিছু গান ও চিঠি এখানে বসে লেখেন।
এরপর একশো টাকায় একটি নছিমন ভাড়া করে আমরা আত্রায় স্টেশনে পৌঁছলাম। ভাগ্যক্রমে আমরা আবার খুলনা থেকে আগত রূপসা ট্রেন পেয়ে গেলাম।ফলে আমাদের পতিসর ভ্রমণ খুবই আনন্দঘন হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:৫২
১. ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৫ ০