পৃথিবীতে নানা মানুষের নানা রোগের চিকিৎসার জন্যে নানারকম থেরাপির প্রচলন রয়েছে। গতানুগতিক আয়ুর্বেদীয়, হোমিওপ্যাথিক, এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি রোগ সারাতে এসব থেরাপির কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। যেমন ফিজিওথেরাপি, ওয়াটারথেরাপি, শকথেরাপি, মিউজিকথেরাপি প্রভৃতি। কয়েকদিন হলো দেশজুড়ে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে একজন চিকিৎসক এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে তার কান ধরে ওঠবস থেরাপির অপপ্রয়োগের কারণে সারা দেশে তীব্রবেগে নিন্দার সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে। তার ঝাপটা আমার মনেও আঘাত করলো। আমিও তাই নানা মাধ্যমে ঐ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিশেষ থেরাপির অপপ্রয়োগ বিষয়ক বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলাম এবং এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া, প্রতিবাদের ধরন দেখে আমার সিদ্ধান্ত নিম্নরূপ-
১) উক্ত চিকিৎসক একজন মানসিক রোগী।
২) চিকিৎসকের রোগী ব্যক্তিত্বহীন।
৩) কান ধরে উঠবস করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া প্রতিবাদ কারীরা সঙের পাত্র-পাত্রী।
ব্যক্তিত্বহীন ও সঙের পাত্র-পাত্রীর জন্যে আমার কোনো সহানুভূতি নেই। তবে উক্ত চিকিৎসকের জন্যে আমার উদ্বেগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমি সুদীর্ঘ একটি রাত চিন্তা করে তার জন্যে, তার মানসিক রোগ নিরাময়ের জন্যে একটা বিশেষ থেরাপির আবিষ্কার করেছি। কেননা তার মতো একজন চিকিৎসক সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেলে দেশ ও জাতির জন্যে তা যারপর নাই ক্ষতির কারণ হবে। বর্তমান দেশপ্রেমিক সরকার দেশের এত বড় ক্ষতি অবশ্যই চাইবে না। তাই উক্ত চিকিৎসককে আমার এ নতুন থেরাপি গ্রহণে বাধ্য করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি। আমার আবিষ্কৃত বিশেষ মানসিক রোগীর জন্যে বিশেষ থেরাপি হচ্ছে ‘কবিতা থেরাপি’। এ থেরাপিতে রোগীর প্রয়োজন বিবেচনা করে এক বা একাধিক বিশেষ কবিতা দিনে তিনবার এক ঘণ্টা করে রোগীকে শোনানো হবে। ক্ষেত্রবিশেষে শুনতে বাধ্য করা হবে। বর্তমান রোগীর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক প্রয়োগ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সরকারের সাহায্য কামনা করছি। এ ক্ষেত্রে যে কবিতাটি ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি, তার ফটোকপি নিচে দেয়া হলো যাতে কবিতাটি সংগ্রহে বিলম্বে রোগীর অবস্থা বিগড়ে না যায়।
পুনশ্চ – যারা মানববন্ধন করে, লেখায়, কথায় উক্ত চিকিৎসকের অপচিকিৎসার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাদের জন্যে রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫