রমজানের ঐ রোজার শেষে আসবে খুশির ঈদ,
এই ভাবনায় ভাবুক সবাই,সবাই চিন্তাবিদ।
খাচ্ছে প্যাজু,আলুর চপ,বেগুনী আর বুট,
এবার ঈদে কি নেয়া যায়-'শেরওয়ানী না স্যুট?
সেন্ডেল নাকি সু নেয়া যায়,মাফলার না মোজা'?
সকাল দুপুর বিকাল রাত্রি চলছে এসব খোঁজা।
'সেলোয়ার না কামিজ নেবো,লেহেঙ্গা না শাড়ি'?
এই চিন্তায় ঠিকমতো আর হচ্ছেনা ইফতারি!
'টপস্-স্কার্ট না থ্রি-পিস নিব,নাকি মাসাককালি',
গত ঈদে পড়ছে যেটা ওদুদ ভাইয়ের শালী।
সাভারিয়া,সানিয়া মির্জা,অক্টোপাস না টিস্যু,
ধ্যুত্যেরি ছাই কোনটা কিনি, ভাল্লাগেনা কিছু
লংলা নাকি মংলা যাব?অন্জনে না গুন্জনে?
আড়ং নাকি ভড়ং যাব- যাচ্ছে কোথায় কোনজনে?
বাংলার মেলা,সাদাকালো,দরজি বাড়ির ঘরে
(হায় আফসোস!কেউতো যায়না আখরী বিদায় স্টোরে!)
সেন্ডেল না চটি নেব হাইহিল না পাম্পসুটাই,
এর জন্য চিন্তাটা কম,এটা দেবে শামচু ভাই!
জুতার চামড়া কিসের হবে-বাঘ,হরিণ না সাপের?
গরু,মহিষ,ছাগল হলে বিষয় পরিতাপের!
নিউমার্কেট-গাউছিয়া,ইষ্টার্ন বা রাপা,
গিয়া দেখেন,বুঝবেন আমি মারতাছিনা চাঁপা।
আন্ডাবাচ্চা-কামের ছেড়ি,পুরা সদলবলে,
ক্যাঁও-ম্যাঁওটা দেখলে শরীর কিরকিরাইয়া জ্বলে!
পুরা মার্কেট ঘুইরা মালের নমুনা বুঝতাছে,
দেখলে মনে হইব এরা কি জানি খুজঁতাছে!
আমি আছি নো টেনশানে খাইতাচি ইফতারী,
পুরান পান্জাবীটা আবার করতাচি ইছতারি।