মুরগী বাঁচাতে চাইলে, শিয়াল না, ছাগলকে মুরগীর পাহাড়ায় লাগান, শিয়ালকে না।
টাকার বস্তাসহ সুরঞ্জিতের এপিএস ধরা
বস্তাভরা ৭০ লাখ টাকা নিয়ে জিগাতলায় রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার সময় তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধাসহ চার ব্যক্তি। বস্তাভরা ৭০ লাখ টাকাসহ সোমবার গভীর রাতে ঢাকায় বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানায় তাঁরা আটক হন।এগুলো রেলওয়েতে নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘুষের টাকা। প্রাইভেটকারে বস্তাভর্তি টাকা নিয়ে জিগাতলায় রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার সময় এর ভাগ চান ওই গাড়ির চালক। কিন্তু তা দিতে রাজি হননি রেলমন্ত্রীর এপিএস ও অন্যরা। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে গাড়িচালকের কৌশলী চালেই বিজিবি সদস্যদের ঢুকে পরেন এবং সবাইকে ধরিয়ে দেন।
তবে ঘটনার পর বিষয়টি থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়াতে দেওয়া হয়নি। উল্টো গতকাল মঙ্গলবার রেল ভবনে হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডেকে উন্নয়নের ফিরিস্তি শোনান রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের চাপের মুখে তাঁর এপিএস ও অন্যদের নাটকীয় আটক-কাহিনী স্বীকার করেন তিনি। তবে তিনি বলেন, এপিএস কোথায় কী করছে না করছে, তা জানার দায়িত্ব তাঁর নয়। একপর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, গাড়ির ড্রাইভার ব্ল্যাকমেইল করেছে।
স্বজনপ্রীতির তদন্ত কমিটি : ৭০ লাখ টাকাসহ রেলমন্ত্রীর এপিএস ও অন্যদের আটকের পর বিজিবি থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্তের জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) শশী কুমার সিংহ ও রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. আখতার-উজ জামানকে আহ্বায়ক করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শশী কুমার সিংহ রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকইউসুফ আলী মৃধা ও এপিএস ওমর ফারুকের বিষয়ে তদন্ত করবেন। কমিটি দুটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।গতকাল সংবাদ সম্মেলন শেষে রেলমন্ত্রীর পিএসের কাছে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'তদন্তকাজের জন্য এখনো কোনো লিখিত নির্দেশ পাইনি।'
জানা গেছে, অর্থসহ আটক হওয়া এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার পিএস আখতার-উজ জামানের ঘনিষ্ঠজন। এ ছাড়া যুগ্ম সচিব শশী কুমার সিংহের বাড়িও সিলেটে। এপিএস ওমর ফারুকের সঙ্গে শশী কুমারেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
কিভাবে ধরা খানঃ বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একটি প্রাইভেটকারযোগে রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকইউসুফ আলী মৃধা ও জিআরপি পুলিশের সদস্য এনামুল হক পিলখানা এলাকায় ৭০ লাখ টাকাসহ ধরা পড়েন। ওই সময় রেল ভবন থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে তাঁরা ধানমণ্ডির দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পিলখানা এলাকায় যাওয়ার আগেই গাড়িচালক মো. আজম এপিএস ও অন্যদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি টাকার বস্তা থেকে তাঁকে কিছু টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করলে ওমর ফারুক গাড়িচালককে বলেন, 'তোকে তো বেতন দেওয়া হয়। আবার টাকা চাস কেন?'
১৫-২০ মিনিটের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে গাড়িচালক পিলখানার তিন নম্বর গেটের সামনে আচমকা গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন এবং চিৎকার দিতে থাকেন। ওই সময় বিজিবির সদস্যরা এগিয়ে এলে গাড়িচালক তাঁদের জানান, গাড়ির ভেতরে টাকা আছে। এরপর বিজিবি সদস্যরা বস্তাভরা টাকাসহ তাঁদের সবাইকে আটক করেন। জানা গেছে, বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ওমর ফারুক ও অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি।
মন্ত্রীর বক্তব্যঃ সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে সাংবাদিকরা এপিএসের আটক-কাহিনী সম্পর্কে জানতে চাইলে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, এপিএস কোথায় কী করে না করে, সব জানার দায়িত্ব তাঁর নয়।
রেল ভবনে এপিএস : গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে রেল ভবনে উপস্থিত হন এপিএস ওমর ফারুক। এরই মধ্যে মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনও শেষ হয়ে গেছে। নিজ কক্ষে না ঢুকেই পাশের করিডরে মোবাইল ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত দেখা যায় এপিএসকে। পাশের কক্ষেই ছিলেন রেলমন্ত্রী। এ সময় ওমর ফারুকের কাছে টাকাসহ আটক হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ড্রাইভার ব্ল্যাকমেইল করেছে। টাকাগুলা আমার শালা পাঠাইছে। ওখানে ২৫ লাখ টাকা ছিল।' এর বেশি আর কিছু বলতে নারাজ তিনি।
যাহ শালা কেইস শেষ, ড্রাইভার প্রতারক, প্রমানীত।
বাবু, এই তোমার দেশ প্রেম, এই তোমার এত বড়বড় কথা, তরুনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দাও।শালার সব বুইড়া হারামজাদা চোর,,,
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৩২