বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোথাও এই রকম ইন্টারনেট ২০০৩ সালের পরে আর নেই।বাংলাদেশের ইন্টারনেটের একদিকে যেমন সামান্যতম গতি নেই তেমনি বীর্যও নেই।এটাকে বলতে পারেন ফাইজিল ডিজিটাল বাংলাদেশের ফাউল নেট।এটা দিয়া ফাইজলামী ও পর্নগ্রাফি ছাড়া আর কোন কামের না।
ইন্টারনেটে লেনদেন দিয়া কি হয় ? যেমন শুনুন - সেদিন মিটিংয়ে যাচ্ছি।গাড়িতে বসেই ল্যাপটপ'টা খুলে নিয়ে রেডিও গুনগুন শুনছি -নন স্টপ কুপাকপি।আজকাল বিশ্বটা এমন হয়ে গেছে যে চাইলে যেকেউ একটা রেডিও এমন কি টেলিভিশন বানিয়ে ফেলতে পারে।ঐ রেডিও বা টিভিতে সে যেকোন অনুষ্ঠান ব্রডকাস্ট করতে পারে।আবার চাইলে অনডিমান্ড কাস্টিংও করতে পারে।আপনি চাইলে আপনার নামেই একটি টিভি বা রেডিও বা উভয়ই বানিয়ে ফেলতে পারেন।কিছুই না, মাত্র ১৫-২০ ডলারেই পাওয়া যায় এরকম একটি সফ্টওয়ার এরপর নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নেয়া ও ডেভলপমেন্ট।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে একাজ কোন সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।আমি নিজে সেই ২০০৭ থেকে ২ ডলারের একটা সফ্টওয়ার কিনতে ঘুরতেছি।
এমনি করে ডিজিটাল অর্থনীতির সমস্ত দরজাই বন্ধ।যেমন আউটসোর্সিয়ের কথাই ধরুন।সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর সজিব ওয়াজেদ জয় এক ডিজিটাল বাংলাদেশ মিটিংয়ে বলেছিল তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের আউটসোর্সিংয়ের হাব হওয়ার পথে যাত্রা করবে।সেদিন তারে বিশ্বাস করে আশা করেছিলাম।অথচ আজ আমার রিয়ালাইজেশন দেখুন-
দেশের সর্বশেষ রেমিটেন্স রেকর্ড ১২.৫ বিলিয়ন যা প্রায় ১০ মিলিয়ন প্রবাসীর অবদান।এই রেমিটেন্স গতি ৩ বছরের প্রথম ৬ মাসেই দ্বিগুনের কাছাকাছি যাওয়ার কথা ছিল। দেশে এই মুহুর্তে জেএসসি থেকে মাস্টার্স উত্তর ৫ বছর পর্যন্ত ৩ কোটির উপর শিক্ষিত বেকার তরুন'ই আছে - এবছর জেএসসি পরীক্ষার্থী সংখ্য ছিল ১৯ লাখ।সরকারের সামান্য পদক্ষেপেই ৩ মাসের মধ্যে বর্তমান প্রবাসীদের সাথে আরও ১৫ মিলিয়ন অনলাইন রেমিটেন্স উপার্জনকারী যোগ হতে পারে।এই প্রবাসীদের সাথে এরাও কাজ করবে, রেমিটেন্স আনবে।তবে এরা কাজ করবে আরও পাওয়ারফুল পথে।এরা যে শুধু দেশে বসেই কাজ করবে তা নয়, এরা ঘরে বসেই ভিসা ফ্রী বিশ্বের যে কোন দেশেই কাজ করবে - কাজ শেষে প্রতি ঘন্টায় তার মোবাইলের ফ্লেক্সিব্যাংকে ১ ডলার ভেঙ্গে ৭৬ টাকা জমা পরবে - যান সিগেরেটের দোকানে, মোবাইল থেকে ৬৫ টাকা দিয়ে দশটা ব্যানসন এ্যান্ড হ্যাজেস নিয়ে আসেন। কি কাজ ? সেও সামান্যই! কঠিন কাজের মধ্যে, আমাকে ১০০ ইউটিউব এ্যাকাউন্ট করে দেন - ১০ ডলার ইত্যাদী।তবে এই কাজের জন্য একটাই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।সেটা হলো, আপনি আউট সোর্সিংয়ে কাজ করতে হইলে প্রথমেই আমেরিকায় অবস্থিত ডব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ ডট আমি আউটসোর্সিংয়ে কাজ করে চাই ডট আমার পেপল এ্যাকাউন্ট আছে ডট কম ওয়েব সাইটে গিয়ে ১ ডলার দামের একটা সফ্টওয়ার ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলা টাকার ৮৬ টাকা কনভার্ট করে ১ ডলার পেমেন্ট করে কিনে দেখাইতে হয়, পরে না আনলেও চলবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত নাগরীকদের এই যোগ্যতা নাই।এখানে ১ ডলারে কিছু কিনতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে লোকাল ব্যাংক থেকে এ্যাডভাইস নিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে, সেখান থেকে পারমিশন নিয়ে যেতে হবে ফরেন এ্যাক্সচেঞ্জে, সেখান থেকে আবার লোকাল ব্যাংকে এরপর ঐ কোম্পানীর ব্যাংক ইনফর্মেশনের জন্য মেইল করে, সেই এ্যাকাউন্টে এলসি খুলে ৪০ দিন পর ডাউনলোড লিংকের জন্য ইমেইল করলে সেই মেইলের উত্তরে আপনাকে আউটসোসিংয়ের কাজ করতে হবে না, আপনি লোম ফালানোর কাজ করেন, উন্নতি করবেন।
এখানে ভুটানের একটা ছেলে কি কর্বে - আমেরিকায় অবস্থিত ডব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ ডট আমি আউটসোর্সিংয়ে কাজ করে চাই ডট আমার পেপল এ্যাকাউন্ট আছে ডট কম ওয়েব সাইটে গিয়ে - পার্চেজ বাটনে ক্লিক করবে/ নতুন পেইজে পেপল এ্যাকাউন্ট ইনফো দিবে/ পে বাটনে টিপ দিবে/আর দেখবে তার মোবাইল থেকে ১ ডলারের সমান ভুটানের মুদ্রা চলে গেছে।লিংকু পাইয়া গেছে।টেস্ট পজেটিভ।
শুধু ভুটান না দেখেন নিচের এতগুলো দেশের নাগরীকের এই অর্থনৈতিক ক্ষমতাটা আছে বাই ডিফল্ট।ইন্টারনেটে বসেই দুনিয়ার যে কোন এ্যাকাউন্টে তাৎক্ষনিক পেমেন্ট করতে পারে।
Albania, Algeria, Andorra, Angola, Anguilla, Antigua and Barbuda, Argentina, Armenia, Aruba, Australia, Austria, Azerbaijan Republic, Bahamas, Bahrain, Barbados, Belgium, Belize, Benin, Bermuda, Bhutan, Bolivia, Bosnia and Herzegovina, Botswana, Brazil, British Virgin Island, Brunei, Bulgaria, Burkina Faso, Burundi, Cambodia, Canada, Cope Verde, Cayman Island, Chad, Chile, China Worldwide, Colombia, Comoros, Cook Island, Costa Rica, Croatia, Cyprus, Czech Republic, Democratic Republic of Congo, Denmark, Djibouti, Dominica, Dominican Republic, Ecuador, El Salvador, Eritrea, Ethiopia, Falkland Island, Faeroe Island, Federated Sates of Micronesia, Fiji, Finland, France, French Guiana, French Polynesia, Gabon Republic, Gambia, Germany, Gibraltar, Greece, Greenland, Grenada, Guadeloupe, Guatemala, Guinea, Guinea Bissau, Guyana, Honduras,Hong Kong, Hungary, Iceland, India, Indonesia, Ireland, Israel, Italy, Jamaica, Japan, Kazakhstan, Kenya, Kiribati, Kuwait, Kyrgyzstan, Laos, Latvia, Lesotho, Liechtenstein, Lithuania, Luxembourg, Madagascar, Malawi, Malaysia, Maldives, Mali, Malta, Marshall Island, Martinique, Mauritania, Mauritius, Mayotte, Mexico, Mongolia, Montserrat, Morocco, Mozambique, Namibia, Nauru, Nepal, Netherlands Antilles, New Caledonia, new Zealand, Nicaragua, Niger, Niue, Norfolk Island, Norway, Oman, Palau, Panama, Papua New Guinea, Peru, Philippines, Pitcairn Island, Poland, Portugal, Qatar, Republic of Congo, Reunion, Romania, Russia, Rwanda, Saint Vincent of the Grenadines, Samoa, San Marino, Sau Tone Principe, Saudi Arabia, Senegal, Seychelles, Sierra Leone, Singapore, Slovakia, Slovenia, Solomon Island, Somalia, South Africa, South Korea, Spain, Sri Lanka, St Helena, St Kitts and Nevis, St Lucia, St Pierre and Miquelon, Suriname, Svalbard and Jan Mayen Island, Switzerland, Taiwan, Tajikistan, Tanzania, Thailand, Togo, Tonga, Trinidad and Tobago, Tunisia, Turkey, Turkmenistan, Turks and Caicos Island, Tuvalu, Uganda, Ukraine, United Arab Emirates, United Kingdom, United Sates, Uruguay, Vanuatu, Vatican City, Venezuela, Vietnam, Wallis Futuna Island, Yemen, Zambia. এরা সবাই পেপল ভেরিফাই করেছে ২০০৫ সালেরও আগে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলে পেপল ভ্যারিফাই করলে দেশের সব টাকা পাচার হয়ে যাবে।দুই পাচার মিলে একটা ওয়েবসাইট বানাবে আমেরিকায় আর একটা দেশে বইয়া সারাদিন বিট কিনে টাকা পাচার করবে।
চিন্তা করে দেখেন ফকিন্নিরপুলা আতিয়ারের খাইসলত।এইদিক দিয়া যে পরিমান রেমিটেন্স আইতেছে কমিশন ছাড়া হুন্ডিতেই সেই পরিমান বাংলা টাকা ডলার, দিনার, ইউরোতে পাচার হচ্ছে সেই কাজে অবশ্যই ওনার শেয়ার আছে।
ডক্টর আতিয়ার রহমান যখন বিবি গভর্নর হইলো তখন মনে করছিলাম এই গরীবের পোলা জনগণের কষ্ট বুজবো।কিন্তু যেদিন দেখলাম দেশের ৮ কোটি লোকের কাছে পৌছে যাওয়া মোবাইলের ফ্লেক্সীলোড ভাংঙ্গানীর ফ্লেক্সিব্যাংক অনুমোদন না দিয়া যখন ট্রাস্টব্যাংক, ডাচবাংলাব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং লাইসেন্স দেয় সেদিনই বুঝছি এও একই চক্রের সদস্য।তানা হলে ২০০৯ সালের মধ্যে দেশে পেপল ভ্যারিফাই করতো।
আজকাল আবার আরেক নতুন ধান্দা শুরু করছে, বলতেছে পেপলকে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ ভেরিফাই করতে তদবীর চলছে।বিশেষ ব্যবস্থা হলো কোন দেশ যদি তার দেশে টাকা আসা ও টাকা যাওয়া, মানে লেনদেন উভয় ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং অনুমোদন না থাকে তাকে ভেরিফাই করে না।বাংলাদেশ যেহেতু পেপলের শালা লাগে তাই দুলভাই যদি বাংলাদেশে ডলার আসার ক্ষেত্রে ভেরিফাই করে !
মানে খাসি মোরগ।এই রকম পেপল হোল্ডার বাংলাদেশি মোরগরে মুরগির পালের মধ্যে ঢুকাইয়া রাখলেও আপনার একটা মুরগিও ডিম দিব না -আউটসোসিংও হইবো না, যান আরও অনেক আউট আছে ঐগুলি করেন। হাফ পেপল হাফ পেপলের জন্য চেষ্টা করতেছে .... চিন্তা করেন খালি বিষয়টা ? বাংলাদেশের ব্যাংকিং দুনিয়ায় কোন অবস্থাতেই নাই ...
বাংলাদেশের তথ্যপযুক্তির জঘন্যতম-নীতির অতীত-বর্তমান একটু জানুন - ভবিষ্যৎ আপনাকেই গড়তে হব।
লাইক Digital Bangladesh Warriors
তাই বলিঃ বাংলার পুলাপানরে বলছিঃ আউটসোসিংয়ের কাজ করতে হবে না, আপনি লোম ফালানোর কাজ করেন, উন্নতি করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫২