উল্লেখ্য নিম্নউল্লেখিত এই ৪টি দেশের সরকার নানা নীতি পলিসি দেয়ে আজ ২০১১ সালেও সেখানকার ইউজার সংখ্যা শূন্য দশমিকের নিচের শতাংশে রেখেছে। বর্ণের ক্রমঅনুসারে
১. বাংলাদেশ ০.৪%
২. কম্বোডিয়া ০.৫%
৩. মিয়ানমার ০.২%
৪. টিমোর Leste ০.২%
কি বলেন, বাংলাদেশ তো ৩ অথবা ২ নম্বর হবে ? না রে ভাই তারপরও কথা আছে এই সর্বনিম্ন ৪টা দেশর মধ্যে বাংলাদেশ ০.৪% নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে দেখা গেলেও আদতে বাংলার ইন্টারনেট ইন্টানেটের সংজ্ঞাতেই পরে না। কারন সংখ্যার পরেও গুনগত মানে ঐ ৩টা এদেশের ইন্টারনেট যা তা বাংলাদেশে বাঙ্গালকে আজও জানতেও দেয়া হয়নি । এইটা আবার কিবায় ? বাংলাদেশের মানুষের মাঝে আজও নেট পর্ণের মাধ্যম থেকে গেলেও ২০০০ সালের পরে থেকেই দুনিয়ার সাধারন মানুষের কাছে ইন্টারনেট আর পর্ণ দেখার মাধ্যম হিসাবে না থেকে কাজের মাধ্যমে পরিণত হয়। যেমন এই মুহুর্তে টোটাল নেটে পর্নের পরিমান ১% এর অনেক কম। নেট কাজের মাধ্যম হতে কি লাগে ? ভাইজান ইন্টারনেট কামের মাধ্যম হতে দুইডা বেসিক জিনিষ লাগে ১. নাগরীকদের নেটে দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতা আর ২. নাগরীকের নেটে টাকা লেন এবং দেন মানে লেনদেন করনের পারমিশন। পৃথিবী সব দেশের সরকারের সাথে ২, ৩ ও ৪ নম্বর দেশও নেটকে কামের মাধ্যমে পরিণত করতে ২০০০ সাল থেকেই তার নাগরীকদের ব্রডব্যান্ড ও ইকমার্স দিতে থাকে।
মিয়ানমারে ০.২% হলেও ইউজার প্রতি ব্যন্ডউইথ এলোকেশন বাংলাদেশের একজনের চেয়ে কমপক্ষে ১০০ গুন বেশি এবং মিয়ানমার, টিমোর, কম্বোডিয়া সকল দেশই ইজারকে ইকমার্স এলাও করে। বিশ্বের একমাত্র বুদ্ধিমানের দেশ (?) বাংলাদেশ করে না ।
সুতরাং বাংলাদেশ প্রমান সহ ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ার ৪টি অন্ধকারতম দেশের মধ্যে ১-নম্বর-তম
তথ্যের সূত্র এখানে , সূত্রে উত্তর কোয়িয়া না পাইয়া খুশি হইয়েন না। সেখানকার অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুন ভালো। সেখানে দেখবেন আফগানিস্তান ৩.৪%, ভুটান ৭.১%, পাকিস্তান ১০%, মলয়েশিয়া ৬৪% ভিয়েতনাম ২৭.১%
এখন হয়তো বলবেন বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট দিয়া কি করবো ? আর সরকারের দেওয়ার কি আছে, লোকজন কিনবো আর ব্যবহার করবে । তাদের জন্য বলবো বোকার স্বর্গে বসবাস না করে বাস্তবে আসেন।একটা দেশে কতটুকু ও কতজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তার পরিকল্পনা, নির্ধারন ও নিয়ন্ত্রন সবই সে দেশের সরকারই করে কারন নেটের তিনটা বেসিক বিষয় ১. ব্যন্ডউইথ, ২. ইনফ্রাস্ট্রাকচার -ইডিজিই, থ্রীজি, ওয়াইম্যাক্স, অপটিক বেকবোন, ৩. নেটের দাম এই সবগুলির পার্মিশন নিয়ন্ত্রন ও লাইসেন্স সেই দেশেই সরকারের হাতেই, সরকারই অনুমতি দেয়, সবাই দিছে, বাংলাদেশের আছে দেয় নাই।যে দেশের সরকার যতটা চেয়েছে জনগণকে ততটা স্বাধীনতা পেয়েছে । বাংলাদেশ দিয়েছে ০.৪% ভুটান ৭.১%
তারপরও যদি না বুঝি তাহলে বলবো তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম মাধ্যম মোবইল ফোন ব্যবহারে বাংদেশের এবং অন্যান্য দেশের তথ্যগুলো একটু দেখেন আমাদের জনগণ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। মোবাইল ব্যবহারকারী বাংলাদেশ ৪০.২% পাকিস্তান ৬০.৩২%, ভিয়েতনাম ৩৮.৮ % ভারত ত ৬৪.৭%,
তার মানে সুজোগ দিলে এখানার জনগণের আইটি ব্যবহারের এ্যাপটিচিউড অনেক বেশি ধারন করে যেমন এদেশে অন্য সব দেশের পরে মাত্র ১৯৯৭ সালে মোবাইলফোন যাত্রা করার অনুমতি পেলেও ১৪ বছরে ৪০.২% এ পৌছে গেছে যেখানে পৃথিবীতে মোবাইলফোন যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৯ সালে।
সুতরাং আপনারা স্বীকার করেন বা না করেন সরকার বাংলাদেশকে শুধু এশিয়ার নয় পৃথিবীর একমাত্র অন্ধকারতম দেশ করে রেখেছে।
চলবে