আমাদের যে পলিটিকাল স্কুলিং একদমই নাই, এবং একই কারণে সোসাইটি আদতে একটা কূপমণ্ডূকে পরিণত হইছে, তাতে সন্দেহের কিছু নাই। একদল সুশীল জোকার আজাইরা বাতেলা দিয়া কয় সব কিছুতে পলিটিক্স টানি ক্যান! আন্দোলন নাকি এপলিটিকাল থাকতে পারেনা আমাদের জন্য। ওরে হারামজাদা, আন্দোলন টার্মটাই পলিটিক্যাল। এপলিটিকাল থাকবে কেমনে? তুই যখন রাস্তায় নাইমা আন্দোলন করস, তখন তুই রুলিং বডির ব্যর্থতার গল্প তারে ডাইক্কা শুনাইতে চাস। মানে হইলো আপনে সিস্টেমের বিরুদ্ধে বলতাছেন যে এই সো কল্ড ফাকিং সিস্টেমরে আপনি লিটেরালি দুচেন না। বা একটু একটু দুচলেও মোডিফিকেশন, ক্লারিফিকেশন চান।
আলবাত আপনে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না-ই করতে পারেন। দ্যাট'স আপ টু ইউ। কিন্তু আপনি আসলে পলিটিক্সের বাইরে বা আন্দোলন এপলিটিকাল হবে এমন আজায়রা বাকোয়াজ কইতে পারেন না। বইলা ফেললেও সেইটা আপনার মূর্খতা।
আরেকটা দল আবার কয় আমি নাকি গভার্নমেন্ট বা রুলিং পার্টির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনা। সেই রাইট আমাদের নাই। এইটা নাকি জাস্ট পলিটিকাল ফায়দা লুটতে করা। যার কারণে আবার আমাদের উপরে প্রায়শই আক্রমণ করে আরেকদল অকালকুষ্মাণ্ড। তোমার এই ফালতু একুইজিশন পাশে রাখো। নাহ হারামজাদা, তুমি এইটা করতে পারোনা! কেনো করতে পারোনা, সেইটা বলি বরং। যখন আমি বা জনগণ ভোট দিয়া একটা সরকার গঠন করছি, তখন সেই সরকার আমার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হইলে আমার ডেমোক্রেটিক এবং কন্সটিটিউশনাল রাইট আছে সেই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার।
এখন প্রশ্ন হইলো কয়টা ছেলে-মেয়ে কথা বলে? সেই সংখ্যাটা এতোটাই কম যে আপনার জরিপ করার দরকার হয়না। কিন্তু তারা বলেনা কেনো? কারণ শুরুতেই বলছি, আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষাই নাই। সেই ম্যাকানিজমটাই যাতে না গড়ে উঠে, তা রাষ্ট্রই ইচ্ছে করে ডমিনেট করে রাখে। পাছে ভয়... যাই হোক, আমাদের সিভিল সোসাইটিও রাজনীতিরে এমন স্টিগমাটাইজড করে রাখছে যে এপারেন্টলি ছেলে-মেয়ে "আই ফাক পলিটিক্স" বলাটারে স্মার্টনেস মনে করে৷ সমাজের জন্য পলিটিকাল স্কুলিং ব্যাডলি ইন নিড।