হটাৎ করে যদি কেউ লটারী পায় তবে পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় ঠিক তেমনী না চাইতে সারা দেশের বিপুল পরিমান ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামলীগ এর আজ ভরাডুবি। তাদের ভ্রান্ত ধারনা ছিল জনগন তো আমাদের সাথেই আছে তো যা খুশি করতে থাকি। যেমনি ভাবনা তেমনি কাজে তারা ব্যস্ত ছিল ৪.৫ বছর এখন নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সিটি নির্বাচন না দিলে হয়ত তাদের ঘুম ভাঙ্গতো ও না। তৃন মুল থেকে শুরু করে টপ পযন্ত যে যে ভাবে পেরেছে দুর্নিতি করেছে । এ তো সেদিন আমার বন্ধু প্রচন্ড মেধাবী হওয়া শর্তে পুলিশের ভাইবা থেকে টাকার জন্য ছিটকে পড়ল। যাই হোক এখন আওয়ামলীগ আরো দিশেহারা কারন তারা বুঝে ফেলেছে আর তো জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না তাই যে যেমনি পারে লুটতরাজ চালিয়ে যাবে ঠেকানোর কেউ নেই কারন চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে গেছে। কেউ কারো কথা শুনবে না কেউ কাউকে দাম দিবে না সুতরাং জনতার কোপাল চাপড়ানো ছাড়া কোন উপায় নেই পদে পদে জনতা মরবে হোক তা জীবন অথবা জীবিকার। ছাত্রলীগের জন্য সাধারন মেধাবীরা চাকরি পাবে না কারন ছাত্রলীগ যারা করেছে তারা বুঝে ফেলছে এখন চাকরিই এক মাত্র সম্বল। যুবলীগ বেস্ত পাসপোর্ট নিয়ে । আওয়ামলীগ কেন্দ্রিয় কমিটি ব্যস্ত নেতৃকে সান্তনা দিতে। তবে মজার ব্যাপার প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু তৃন মুল পর্যায়ের কোন তথ্যই জানেন না তাকে যা শোনানো হয় তিনি তাই শুনছেন। প্রধান মন্ত্রীর কাছে যারা তথ্য উপাত্ত প্রদান করেন তাদের বেপারে এবং ওনার পাশে থাকা মধ্যরাতের বুদ্ধিজীবি দের যদি রতবদল না করেন তবে জাতীয় নির্বাচনে এক তৃতীয় অংশ আসন পান কি না সন্দেহ। আমরা যারা বঙ্গ বন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি তারা সব সময় এ আদর্শ বুকে আখরে রাখবো তবে বাংলাদেশ আওয়ামীলিগের মধ্যে বর্তমান অদক্ষ মন্ত্রি সভার ক জন এ আদর্শ জানে আমি জানি না। গোলাম মাওলা রনি ভাই, পলক ভাই এদের দেখলে আবার মনে আশা জাগে। তবে ওনাদের কথা কেউ শোনে এটা ভাবা ঠিক না। বয়সের কারনে ওনারা সবসময় পিছনেই পরে থাকেন। জায়গা করে নেন পুরোনোরা যারা আওয়ামলীগ কে চালান। তোফায়েল আমু রাজ্জাক ভাই দের মত নিবেদিত এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রক্ষা কারী নেতৃবৃন্দ কোন অবস্থানে তা আজ অস্পষ্ট। আমার দৃষ্টিতে যে যে কারন গুলো বিদ্যুৎ বেগে আওয়ামলীগের নির্বাচনে হিট করেছে এবং আরো করবে তা ....
১। বিডিআর হত্যাকান্ড
২। শেয়ার মার্কেটে হাজার কোটি টাকার লুটপাট
৩। কুইকরেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুতখাতে অসহনীয় দুর্ণীতি
৪। ছাত্রলীগের ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে রামদা/চাপাতি দিয়ে কুপাকুপি
৫। ছাত্রলীগের/যুবলীগের টেন্ডার বাণিজ্য
৬। ডেসটিনি
৭। পদ্মাসেতুর দুর্ণীতি
.................................................... আরও কত কিছু।
আমরা স্বপ্ন দেখি দুর্নিতি মুক্ত , দুর্নিতি বাজ মুক্ত, কম কথা বলা এবং শিক্ষিত নেতৃবৃন্দ দ্বারা আওয়ামলীগ আবার জেগে উঠুক । জাগ্রত জনতার মনের কথা বুঝুক এবং বলুক । সংসদ হোক গালা গালী মুক্ত।
ধন্যবাদ