মাস কয়েক আগে আশ্রমের পুকুরে বর্ষায় আসা মাছ ধরা হয়েছিলো। সেই মাছ ধরে ফেলার পরে পরীক্ষামূলক ভাবে রুই, কাতলা তেলাপিয়া, সরপুটি, ফলি, কালিবাউস, টেংরা, মেনি, কার্ফ ইত্যাদি মাছ ছাড়া হয়েছিলো ১৫ কেজি। সেগুলি পুকুরে বেশ ভালোই লম্ফ-ঝম্ফ করছিলো এতো দিন। দেখতে বেশ লাগতো। পুকুর সেচে আমরা মাছ পাই অল্পই, কিন্তু আয়োজন আর আনন্দ হয় মেলা।
আমাদের পুকুরটি বর্ষার জল আসতে শুরু করলেই ডুবে যায়। এবার ঈদের পরের প্রথম শুক্রবার দিন ৬ বন্ধুর পরিবারের সবাই গিয়ে পুকুর সেচে মাছ ধরার আয়োজন করার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাত করেই জায়ারের পানি এসে গেলো। কোনো রকমে বাঁধ দিয়ে রাখার চেষ্টা করেও দেখা গেলো অবস্থা বেগতিক। ফলে বাধ্য হয়ে এখনই পুকুর সেচতে হয়েছে। মাছ গুলি খুব একটা বড় হয়নি। সব মিলিয়ে পুটি-মরা-ঢেলা গুড়া মাছ পেয়েছি ২০-২৫ কেজীর মতো। এতো গুড়া মাছ হবে সেটা আমরা কল্পনাও করি নাই। বেশ কিছু শোল মাছ পাওয়া গেলো যেগুলি আমরা ছাড়িনি। শোল সহ ছাড়া মাছ পেয়েছি প্রায় ৩৫-৪০ কেজীর মতো। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ কেজী, মন্দ না।
ঈদের পরের প্রথম শুক্রবার দিনটির প্রোগ্রামটা এখনো বলবত আছে। যদিও মাছ ধরা ও দেখার আনন্দটা বাচ্চারা আর পেলো না।