কত্তো সুন্দর সুন্দর লোভনীয় খাবার পথের পাশে দেখি অনেকেই আয়েশ করে খেয়ে নিচ্ছে-আমিও যায়-কিন্তু খায় না, ওদের খাওয়াটা দেখি। গরুর ভুরিভাজার (নাড়ীবুড়ি) বুনা প্লেটের উপর কাগজ এরপর কয়েকটুকরা বট, আহ কি মজা করেই না সব্বাই খায়। ঠিক একইভাবে শরবত-লাচ্ছি-জুস-পেয়ারা-আনারস-বুটভাজি-ছোলাবুট ত আছেই।
এসব লোভ ইতিমধ্যে সামলে নিয়েছি। কিন্তু নতুন একটি লোভ সামলাতে পারতেছিনা- তা হলো আচার। বিভিন্ন রকমের আচার বানিয়ে স্বচ্ছ গ্লাস ঢাকা ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রয় হয়। দু’য়েকদিন দাড়িয়েছি আর জিভের জল অতি কষ্টে সামলিয়ে নিয়েছি। ইদানিং আর পারছিনা। অগত্যা ঐ আচার বিক্রেতার সাথে কথা বললাম। ইতিমধ্যে প্রিয়তমার সাথেও শেয়ার করলাম আমার এই রাক্ষসি অভ্যেসের জন্য। তার কথামত আম-চুন-সিরকা-মসল্লা-চিনি কিনে ফেললাম। কনসালটেন্সির জন্য আচার বিক্রেতার শরণাপন্ন হলাম। আচার বিক্রেতার কথা মত ক্রয় করা আম ফেরত দিয়ে তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আম নিলাম আর সমস্ত উপাদান লিখে নিয়ে আসলাম।
শুরু হয়ে গেল আমার আচার বানানোর যুদ্ধ। রাত ৮টা হতে সাড়ে ১১টার মধ্যেই একটা আকারে নিয়ে যেতে পেরেছি। সারারাত ফ্যানের নিচে রেখে সকালে টেস্ট করিয়েছি স্বজনদের মাধ্যমে। জয় হোক আমের আচারের, জয় হোক হিমালয় জয়ের। বাইরে বানানো আচারের চাইতে আমার নিজহাতে তৈরী করা আচার যেন অমৃত। আপনিও চেষ্টা করুন, পারবেন। কোন প্রিজারভেটিভ বা ক্যামিক্যালের ব্যবহার ছাড়াই আমরা খেতে পারি কাঁচা আমের আচার বা আম সত্ব বা কাচা আমের মোরব্বা!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮